
আল মাসুদ,পঞ্চগড় প্রতিনিধিঃ
পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলায় যৌ’তুকের জন্য স্বামী ও শ্বশুর- শাশুড়ি কর্তৃক পা’শবিক নি’র্যাতনের শিকার হয়েছেন আসমা বেগম (২৫) নামে এক গৃহবধূ। অভিযোগ উঠেছে ১৫ বছরের সংসারে মাঝে মধ্যে যৌ’তুকের জন্য ওই গৃহবধূকে নি’র্যাতন করা হতো।
নি’র্যাতনের শিকার হয়ে ওই গৃহবধূ পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের নারী ওয়ার্ডের ৩ নং বেডে তীব্র যন্ত্রণায় কা’তরাচ্ছেন।
বৃহস্পতিবার (৩ মার্চ) দুপুরে সরেজমিনে বোদা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের নারী ওয়ার্ডে গেলে ওই গৃহবধূ এসব কথা বলেন। এদিকে আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তির বিষয়টি নিশ্চিত করে সকল প্রকার চিকিৎসা সেবা প্রদান করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে হাসপতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাক্তার সাদমান সাদিক।
জানা গেছে, গত ২৮ ফেব্রুয়ারি (সোমবার) পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলার মাগুড়া ইউনিয়নের বামুন রায় বাজার এলাকায় এ ঘটনাটি ঘটেছে। আসমা বামুন রায় বাজার এলাকার সমশের আলীর স্ত্রী।
গৃহবধূ আসমা অভিযোগ করে বলেন, গত ১৫ বছর আগে বামুন রায় বাজার এলাকার আলী আকবরের ছেলে সমশেরের সাথে তার বিয়ে হয়। এর মাঝে তাদের একটি ছেলে ও একটি মেয়ে সন্তান রয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে শ্বশুর বাড়ির লোকেরা যৌ’তুকের জন্য আসমাকে মাঝে মধ্যে নি’র্যাতন করে আসছে। এর পর গত ২৮ ফেব্রুয়ারি সব শেষে আবারো যৌ’তুকের জন্য তার উপর চড়াও হয়ে মা’রপিট করে শ্বশুর বাড়ির লোকেরা। এতে করে আমি গু’রুতর অসুস্থ হয়ে পড়ি। পরে স্থানীয় এক ভ্যান চালকের সহায়তায় হাসপাতালে ভর্তি হই। আমি এ ঘটনায় তাদের বিচার চাই। আমি সুস্থ হলে তাদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করবো।
আসমার ৭ বছরের কন্যা শিশু সোহানা বলে,আমি বলেছিলাম আমার আম্মুরে মারিও না, কষ্ট পাই। তার পর আব্বু ও তারা আম্মুর চুল ধরে টে’নেছে, আম্মুকে মে’রেছে। তার পর আম্মু হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।
আসমার ভাই সাদেকুল ইসলাম বলেন, আমি ঘটনা শোনার পর তার বাড়িতে গিয়ে তাকে পাইনি। পরে জানতে পারি সে হাসপাতালে। আমি এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করছি।
তবে অভিযুক্তদের সাথে যোগাযোগ করে তাদের পাওয়া যায়নি।
বোদা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু সাঈদ চৌধুরী বলেন, এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে আমাদের কাছে কোন অভিযোগ আসেনি। আমরা বিষয়টি দেখছি। তারা অভিযোগ করলে দ্রুত আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।