আকতার হোসেন ভুইয়া,নাসিরনগর(ব্রাহ্মণবাড়িয়া)সংবাদদাতা ॥ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে করোনায় মারা যাওয়া মালয়েশিয়া প্রবাসীর স্ত্রী‘র পর তার এমাত্র কন্যা ও ছোট ভাই করোনা আক্রান্ত ভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়েছে। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ অভিজিৎ রায় এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। সরকারের রোগতত্ত্ব,রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট(আইইডিসিআর)থেকে পাঠানো প্রতিবেদনে ওই দুইজনের শরীরে করোনা ভাইরাসের সংক্রমিত কোভিড-১৯ রোগ শনাক্ত হয়েছে। গত ১৪ এপ্রিল প্রবাসীর স্ত্রী‘র করোনা আক্রান্ত ভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়ে। এ নিয়ে নাসিরনগর চারজন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. অভিজিৎ রায় জানান, করোনার মারা যাওয়ার ব্যক্তির পিতা,মাতা,ভাই,স্ত্রী ও সন্তানের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছিল। গত মঙ্গলবার তার স্ত্রী‘র ও আজ বৃহস্পতিবার তার মেয়ে ও ছোট ভাইয়ের পরীক্ষার রিপোর্ট আসে পজেটিভ। তারাও করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত। করোনা আক্রান্তদেরকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা প্রদানের জন্য জেলা সদরে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে। বর্তমানে মৃত প্রবাসীর স্ত্রী ঢাকায় আইসোলেশনে রয়েছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ৩৫ বছর বয়সী ওই প্রবাসী গত ১৮ মার্চ মালয়েশিয়া থেকে দেশে ফিরেন। এরপর নাসিরনগর উপজেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগের নির্দেশনায় ১৪ দিন হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকেন তিনি। তবে কোয়ারেন্টাইনে থাকাকালে তার শারীরিক কোনো সমস্যা হয়নি। পরবর্তীতে ৪ এপ্রিল তিনি কিছুটা অসুস্থতা বোধ করলে তার শারীরিক কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করানো হয়। পরীক্ষায় তার টাইফয়েড ধরা পড়ে, তবে করোনাভাইরাসের কোনো উপসর্গ ছিল না। এরপর ৭ এপ্রিল রাতে শ্বশুরবাড়িতে জ্বর.কাশি ও শ্বাস কষ্ট দেখা দিলে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। পরবর্তীতে করোনা বাইরাস পরীক্ষার জন্য তার নমুনা সংগ্রহ করা হয়। নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা যান। এঘটনায় ওই প্রবাসীর নিজ বাড়ি ও তার শ্বশুরবাড়ি লকডাউন করে দেয় উপজেলা প্রশাসন। পাশাপাশি পূর্বভাগ ও গোকর্ণ ইউনিয়নের মানুষজনের চলাচলের ওপরও নিষেধাজ্ঞা জারী করা হয়।