নীলফামারী রিপোর্টার।। নীলফামারীর ডিমলায় কোদাল দিয়ে কু’পিয়ে নিজ বাবাকে হ’ত্যাকারী ঘাতক ছেলে নুর ইসলাম(৩৫)কে ২৪ ঘণ্টার আগেই গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর)দিবাগত রাতে জলঢাকার ডাউয়াবাড়ী ইউনিয়নের নেকবক্ত এলাকার বুড়িতিস্তা চরে আত্মীয়ের বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে জলঢাকা থানা পুলিশ।পরে তাকে ডিমলা থানায় নিয়ে আসা হয়।
এর আগে মঙ্গলবার ডিমলা উপজেলার ঝুনাগাছ চাপানী ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের উত্তর সোনাখুলীর মিলনপাড়া গ্রামে জমি নিয়ে বিরোধে ছেলে নুর ইসলাম তার নিজ বাবা আব্দুল আজিজ(৬২)কে কোদাল দিয়ে কু’পিয়ে হ’ত্যা করেন।নি’হত আব্দুল আজিজ ওই এলাকার মৃত কপদ্দির ছেলে।
স্থানীয়রা জানান,জমি-জমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে ঘটনার দিন সকাল প্রায় সাড়ে ৯টার সময় আব্দুল আজিজের সাথে তার বড় ছেলে নুর ইসলামের বাড়ির পাশে ভূট্টা লাগানোর জমিতে বা’কবিতন্ডা থেকে হাতা-হাতির ঘটনা ঘটে।সে সময় এক পর্যায়ে নুর ইসলাম হাতে থাকা কোদাল দিয়ে তার বাবা আব্দুল আজিজের মাথায় কো’প দেয়।সেই কো’পে আজিজ গুরুতর আহত হয়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে ডিমলা সরকারি হাসপাতালে নিলে সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করেন। রংপুর নেয়ার পথিমধ্যেই তিনি মারা যান। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ডিমলা থানার পুলিশ ময়নাতদন্তের জন্য মৃতদেহ উদ্ধার করেন।
ওই ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য নুর ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘ছেলে কোদাল দিয়ে কু’পিয়ে বাবাকে হ’ত্যা করবে এটা কখনো কল্পনাও করিনি।’
এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী বাদী হয়ে ডিমলা থানায় হ’ত্যা মামলা দায়ের করেন।
এ বিষয়ে জানতে চেয়ে জলঢাকা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি)মুক্তারুল ইসলামের মুঠো ফোনে কল করা হলে তিনি বিরক্ত হয়ে বিষয়টি নিশ্চিত না করেই কলটি কেটে দেন।
তবে গ্রেপ্তার অভিযানে থাকা জলঢাকা থানার একজন সাব ইন্সপেক্টর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।ডিমলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি)দেবাশীষ রায় বলেন, ‘এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী বাদী হয়ে ডিমলা থানায় একটি হ’ত্যা মামলা দায়ের করেছেন যার মামলা নম্বর ১৮,তারিখ ২৯ নভেম্বর ২০২৩ইং। গ্রেপ্তার আসামীকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।