crimepatrol24
২রা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, এখন সময় রাত ৯:৪৩ মিনিট
  1. অনুসন্ধানী
  2. অপরাধ
  3. অর্থনীতি
  4. আইটি বিশ্ব
  5. আইন-আদালত
  6. আঞ্চলিক সংবাদ
  7. আন্তর্জাতিক
  8. আফ্রিকা
  9. আবহাওয়া বার্তা
  10. আর্কাইভ
  11. ইউরোপ
  12. ইংরেজি ভাষা শিক্ষা
  13. উত্তর আমেরিকা
  14. উদ্যোক্তা
  15. এশিয়া

পঞ্চগড়ে গরুর খামার করে লাখ লাখ টাকা আয় করছেন খামারী মনির হোসেন

প্রতিবেদক
মো: ইব্রাহিম খলিল
ফেব্রুয়ারি ৬, ২০২১ ৮:৩৭ অপরাহ্ণ

আল মাসুদ, পঞ্চগড় প্রতিনিধি:
পঞ্চগড় সদর উপজেলার এক উদ্যমী যুবক মনির হোসেন। পেশায় একজন ব্যবসায়ী হলেও দেশের আর্থ সামাজিক উন্নয়নে গরুর খামার করে আয় করছেন লাখ লাখ টাকা। তিনি এখন সফল খামারী হিসেবে সবার কাছে বেশ পরিচিত। মনির হোসেন উপজেলার হাড়িভাসা ইউনিয়নের পাইকানীপাড়া এলাকার  হারেস আলীর ছেলে।
মনির হোসেন ২০১০ সালে চারটি গরু দিয়ে সীমিত পরিসরে একটি গরুর খামার শুরু করেন। খামার করে লাভবান হওয়ায়  ধীরে ধীরে খামারের পরিধি বাড়তে থাকেএবং আরো বেশি উদ্যমী হয়ে উঠে মনির।
এখন তার খামারে নেপালি ফ্রিজিয়ান, জার্সি ও শাহিওয়ালসহ বিভিন্ন  জাতের গরু রয়েছে। এগুলোর মধ্যে উন্নত জাতের দুগ্ধ গাভী, ষাঁড় ও বকনাসহ সব ধরনের গরু রয়েছে। তার খামারটিতে প্রতিনিয়ত  তিনজন কর্মচারী কাজ করেন এবং মাসে প্রত্যেককে ১৫ হাজার টাকা করে বেতন দিতে হয়।পাশাপাশি এই খামারটি রক্ষণাবেক্ষণ, পরিচর্যা ও ওষুধপত্রসহ অন্যান্য খরচ বাবদ  প্রতিদিন ব্যয় হচ্ছে প্রায় চার হাজার টাকা।
তার খামার থেকে প্রতিদিন ১২০ থেকে ১৫০ লিটার দুধ খুচরা ও পাইকারি দরে বিক্রি হচ্ছে স্থানীয়সহ বিভিন্ন হাট-বাজারে। বিভিন্ন জায়গা থেকে আসা পাইকাররা তার বাড়িতে এসে দুধ কিনে নিয়ে বিক্রি করেন হাট- বাজার ও দূর দূরান্তে । ফলে স্থানীয় ও আশপাশের এলাকাগুলোতে পুষ্টির চাহিদা মিটিয়ে এই দুধ যাচ্ছে বিভিন্ন এলাকায়।
মনিরের খামারটি দেখে তার কাজে উৎসাহী হয়ে একই এলাকার রেজাউল করিম মানিকসহ  আত্মকর্মী  হয়ে উঠেছেন বিভিন্ন এলাকার যুবকরা। তার খামারে এখন প্রায় ৩৮ টি গরু রয়েছে। গরুর পুষ্টিকর খাবারের চাহিদা মেটানোর জন্য ৩ বিঘা জমিতে ভুট্টা চাষের পাশাপাশি ৫ বিঘা জমিতে নেপিয়ার জাতের ঘাস লাগিয়েছেন।
পঞ্চগড় সদর উপজেলার প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, প্রাণিসম্পদ অফিস থেকে আমরা বিভিন্ন খামারিদের কার্যক্রমগুলো সম্প্রসারণ করছি এবং তার অংশ হিসেবে হাড়িভাসার মনির হোসেনের ডেইলি খামারটি আমরা নিয়মিত পরিদর্শন এবং তাদেরকে পরামর্শ দিচ্ছি।  বিভাগীয় ট্রেনিং প্রোগ্রামগুলোতে তাদেরকে রাখা হয়।তিনি একজন সফল এবং নিষ্ঠাবান খামারী। তার খামারটিতে প্রতিদিন যে দুগ্ধ হচ্ছে,তা বাজারজাত করে লাভবান হচ্ছে। তাকে অনুসরণ করে এলাকার ছোট ছোট অনেক খামারী এই পেশায় আগ্রহী হয়ে উঠছে ।
Share This News:

সর্বশেষ - লাইফ স্টাইল