মো: সাইফুল্লাহ খাঁন, জেলাপ্রতিনিধি, রংপুর : ২০২০-২০২১ অর্থবছরে প্রতি প্যাকেট বিড়িতে বৃদ্ধিকৃত ৪ টাকা মূল্যস্তর প্রত্যাহার, বিড়ির ওপর আরোপিত অগ্রিম ১০% আয়কর প্রত্যাহার, বিড়ি শিল্প ও লক্ষ লক্ষ শ্রমিকদের কর্মসংস্থান রক্ষায় বিমাতাসুলভ আচরণ বন্ধ, বাজার মূল্যের সাথে সঙ্গতি রেখে মজুরি কাঠামো নির্ধারণ করা ও বিড়ি শিল্পকে ভারতের ন্যায় কুটিরশিল্প ঘোষণা করাসহ শ্রমিকদের কল্যাণে ভারতের ন্যায় সুযোগ-সুবিধা পাওয়ার দাবিতে বৃহত্তর রংপুর জেলা বিড়ি শ্রমিক ইউনিয়নের শত শত বিড়ি শ্রমিক মানববন্ধন করেছে। সোমবার সকাল ১১টায় সুরভী উদ্যানের সামনে অনুষ্ঠিত মানব্বন্ধন সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন আমিন উদ্দিন বিএসসি, কার্যকারী সভাপতি বাংলাদেশ বিড়ি শ্রমিক ফেডারেশন, কেন্দ্রীয় কমিটি ও সভাপতি হারাগাছ বিড়ি শ্রমিক ইউনিয়ন। এসময় বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ বিড়ি শ্রমিক ফেডারেশন কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি এম.কে বাঙালী, সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান, যুগ্ম-সম্পাদক হেরিক হোসেন, ফেডারেশন কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ও হারাগাছ বিড়ি শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আবুল হাসনাত বাবলু, বাংলাদেশ বিড়ি শ্রমিক ফেডারেশন কেন্দ্রীয় কমিটির প্রচার সম্পাদক শামীম ইসলাম, বাংলাদেশ শ্রমিক ফেডারেশন কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সিরাজুল ইসলাম সিরাজ, হারাগাছ বিড়ি মজদুর ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আমিরুল ইসলাম প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, নদী ভাঙন বা চর এলাকার অসহায় বিধবা/ স্বামী পরিত্যক্তা ও পঙ্গু শ্রমিকরা বিড়ি শিল্পে কাজ করে। বিড়িতে অতিরিক্ত শুল্কারোপের ফলে বিড়ি কারখানাগুলো ক্রমাগত বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। । বিকল্প কাজ না পেয়ে করোনাকালে শ্রমিকরা বেকার জীবন যাপন করছে। অন্যদিকে সিগারেট কোম্পানিগুলো বিভিন্নভাবে এই বিড়ি শিল্পকে ধবংসের পাঁয়তারা করছে। তাই দাবিসমুহ বাস্তবায়নে গরিব, অসহায় ও মেহনতি মানুষের নেত্রী হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে অনুরোধ জানান বক্তরা। মানববন্ধন শেষে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেন তারা।