দিলীপ কুমার দাস, জেলাপ্রতিনিধি, ময়মনসিংহ>>
৯ ডিসেম্বর ফুলপুর হানাদার মুক্ত দিবস। বিজয়ের দ্বারপ্রান্তে বাংলাদেশ। পতনের সময় দ্রুত ঘনিয়ে আসতে শুরু করে এই মাটি আর বাংলার স্বাধীনতার শত্রুদের। বাঙালির জীবন -মরণ লড়াইয়ে বিজয় ধারা বাড়তে থাকে। পাকিস্তানি বাহিনীর শক্ত দু'র্গ বলে পরিচিত ফুলপুরে ৮ ডিসেম্বর বায়জিদ সিং এর নেতৃত্বে যৌথ বাহিনীর সাথে সরচাপুর-বাখাই-মধ্যনগরে পাক হানাদার বাহিনীর তুমুল র'ক্তক্ষয়ী সম্মুখ যুদ্ধের পর হা'নাদার মুক্ত হয় ফুলপুর। এ যুদ্ধে যৌথ বাহিনীর ২৫ জন এবং হা'নাদার বাহিনীর প্রায় ৪/৫ শত সৈন্য নিতহ হয়। যেন রক্তের গঙ্গা বয়ে যায় সরচাপুর-বাখাই-মধ্যনগরে। শত্রুসেনার সেলের আ'ঘাতে মা'রা যায় অনেক নিরীহ মানুষ।
সরচাপুর-বাখাই-মধ্যনগর যুদ্ধে ফুলপুর থানা সদর মুক্ত হলেও আরো দু'টি যুদ্ধ করতে হয়েছে মুক্তি পাগল দামাল সেনানীদের। হালুয়াঘাট-ময়মনসিংহ সড়ক ধরে ময়মনসিংহ শহরের দিকে এগিয়ে যাওয়ার সময় কাকনী ও মধুপুর-রুপচন্দ্রপুরে পাক হা'নাদার বাহিনীর সাথে যুদ্ধ হয় মুক্তি সেনানীদের। কোদালধর-রুপচন্দ্রপুর যুদ্ধে ৫৭ জন রা'জাকার আটক এবং ৫৪টি অ'স্ত্র উদ্ধার করে এগিয়ে যায় ময়মনসিংহ শহর মুক্ত করার লক্ষে। শ'ত্রুমুক্ত হয় ফুলপুর। আকাশে ওড়ে বিজয় পতাকা। গৌরবময় সেই দিনের এলাকাবাসীর স্মৃতিতে আজো অম্লান।
কিন্তু আজোও সংরক্ষিত হয়নি ব'ধ্যভূমি ও শহিদদের নামের তালিকা। ফুলপুর মুক্ত দিবস উপলক্ষে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ও উপজেলা প্রশাসন ৯ ডিসেম্বর দিনব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।
সম্পাদক মণ্ডলীর সভাপতি: প্রফেসর নূর মো. রহমত উল্লাহ। নির্বাহী সম্পাদকঃ ব্যারিস্টার মো. ইমরান খাঁন, ব্যবস্থাপনা সম্পাদক: মো. ওমর ফারুক
ইমেইল: [email protected] মোবাইল: ০১৭৫৪-২২২৫০২
অফিসঃ গ্রামঃ শ্রীমদ্দি(আলোনিয়াকান্দি), পোঃ- হোমনা, উপজেলাঃহোমনা, জেলাঃ কুমিল্লা।
সম্পাদক ও প্রকাশক: মো. ইব্রাহিম খলিল কর্তৃক কুমিল্লা জেলা থেকে সম্পাদিত ও প্রকাশিত।