আনিছুর রহমান মানিক, ডোমার (নীলফামারী) প্রতিনিধি>>
জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান ড.মুজিবুর রহমান হাওলাদার বলেছেন, ২৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে সারাদেশে নদী দখলকারীর চূড়ান্ত তালিকা অনলাইন ও প্রিন্ট মিডিয়ার মাধ্যমে প্রকাশ করা হবে। তাদের নাম প্রকাশ হলে তারা লজ্জা পাবে, সমাজ তাদের ঘৃণা করবে। নীলফামারীর ডোমার উপজেলার হরিণচড়ার ইউনিয়নের শেওটগাড়ী গ্রামে দেওনাই নদীর (হরিণচড়া- লক্ষীচাপ) পাড়ে শনিবার দিনব্যাপী দেওনাই নদীর (হরিণচড়া- লক্ষীচাপ) উদ্ধার উৎসব-২০১৯ খ্রিঃ এ তিনি এসব কথা বলেন। রিভাইন পিপলস এর পরিচালক ও বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. তুহিন ওয়াদুদের সভাপতিত্বে এ উৎসবে স্বাগত বক্তব্য রাখেন রিভাইন পিপলস দেওনাই নদী সুরক্ষা কমিটির আহবায়ক আব্দুল ওয়াদুদ। এ ছাড়াও জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের সার্বক্ষনিক সদস্য আলাউদ্দিন,নীলফামারী জেলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোঃ শাহিনুল আলম, জেলার পানি উন্নয়ন বোর্ডের নিবার্হী প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুন, নীলফামারী সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মামুন ভুইয়া, ডোমার উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা উম্মে ফাতিমা, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের শিক্ষক ওমর ফারুক, ডোমার থানার ওসি (তদন্ত) বিশ্বদেব রায়, সাংবাদিক (ডিবিসি) ও উন্নয়ন কর্মী নাজমুল ইসলাম নিশাত প্রমুখ।
জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মুজিবুর রহমান হাওলাদার আরো বলেন, যারা নদী জবর দখল করেছেন তাদের প্রতি ঘৃণা ও নিন্দা জানাই। বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর সময়েই নদী রক্ষা আইন উপস্থাপন ও পাশ হয়েছে এ জন্য বঙ্গবন্ধু কন্যাকে ধন্যবাদ জানাই। নদীর সকল সম্পদ কোন ব্যক্তি বা গোষ্ঠির নয় যেদিন থেকে জমি ভেঙ্গে নদী হয়, সেদিন থেকেই ওটি রাষ্ট্রের। তবে ৩০ বছরের মধ্যে জেগে উঠলে নিয়ম অনুসারে কালেক্টর মনে করলে ফেরত পাবে। দেওনাই নদীর ৮কিলোমিটার নদীকে জলাশয় হিসাবে যারা রির্পোট দিয়েছেন, তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা হবে। তারা ফৌজদারী অপরাধ করেছেন। আমরা খুব তাড়াতাড়ি হটলাইন খুলতে যাচ্ছি। কোথাও নদী দখল হলে সাথে সাথে জানাবেন, নদী আমাদের গর্ভ। এটা কৃষি,মাছ ও পরিবেশ ঠিক রাখে। সভা শেষে মনোজ্ঞ সাংস্কৃৃতিক অনুষ্ঠান ও নদীর বর্তমান অবস্থা বিষয়ে চিত্র প্রদর্শন করা হয়।
উল্লেখ্য, দেওনাই নদীটি নীলফামারীর সদর উপজেলা লক্ষীচাপ ও ডোমার উপজেলার হরিণচড়া ইউনিয়নের ওপর দিয়ে দীর্ঘদিন থেকে প্রবাহিত হয়ে আসছিল । কিন্তু লক্ষীচাপের সবুজপাড়া মৎস্য সমিতির নামে নদীটির এক অংশে মাছ ছেড়ে দিয়ে পুরো অংশটি দখল করে নেয় ২০১৭ সালে।এ নিয়ে ঊভয় পাড়ের মানুষের মধ্যে সংঘর্ষের সূত্রপাত ঘটে। যা দফায় দফায় দুই পাড়ের মানুষের মধ্যে সংঘর্ষ ও মামলায় পর্যন্ত গড়ায়। নদীটি উন্মুক্ত করার আন্দোলন চলছিল তখন থেকেই।
সম্পাদক মণ্ডলীর সভাপতি: প্রফেসর নূর মো. রহমত উল্লাহ। নির্বাহী সম্পাদকঃ মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন, উপ-সম্পাদক : মুন্সী নাজমুল হোসেন
ইমেইল: mdibrahimkhalil494@gmail.com মোবাইল: ০১৭৫৪-২২২৫০২
অফিস : শ্রীমদ্দি মোড়ের বাজার, হোমনা, কুমিল্লা।
সম্পাদক ও প্রকাশক: মো. ইব্রাহিম খলিল কর্তৃক কুমিল্লা জেলা থেকে সম্পাদিত ও প্রকাশিত।