ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ
নির্বাচনের দিন যতই ঘনিয়ে আসছে ততই হৃদস্পন্দন বাড়ছে প্রার্থীদের মধ্যে। নির্বাচন সামনে রেখে প্রার্থীদের ঘুম ও খাওয়া বন্ধ হয়ে গেছে। কারণ আর দুই দিন পরই (আগামী শনিবার ৩০ জানুয়ারি) ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ডু পৌরসভার নির্বাচন। তাই পাড়া মহল্লা পোস্টারে ছেঁয়ে গেছে। মাইকংয়ে মুখরিত হয়ে উঠেছে গ্রাম শহরের পরিবেশ। প্রার্থী ও তাদের এজেন্টরা গভীর রাত পর্যন্ত ভোটারদের দ্বারে দ্বারে ঘুরছে। মঙ্গলবার হরিণাকুন্ডু পৌর এলাকার বিভিন্ন পাড়া মহল্লা ঘুরে দেখা গেছে সবর্ত্রই উৎসবমুখর পরিবেশ। আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় টহল জোরদার করা হয়েছে। পৌর এলাকার ৯টি ভোট কেন্দ্র ঝুকিপূর্ণ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। এ পর্যন্ত কোন অপ্রীকর ঘটনা না ঘটলেও অজনা আশঙ্কা দিনকে দিন ভর করছে ভোটারদের মাঝে।
কারণ হিসেবে ভোরটাররা জানান, বিএনপি একক প্রার্থী দিতে পারলেও আওয়ামীলীগে একজন শক্তিশালী বিদ্রোহী প্রার্থী রয়েছেন। আবার দলীয় মনোনয়ন না পেয়েও অনেকের মধ্যে মান -অভিমান কাজ করছে। এ নিয়ে ক্ষমতাসীন দলে বিভেদ আর ফাটল ধরেছে বলে নৌকার সমর্থক ও ভোটারদের অভিমত। ফলে দলীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে দ্বিধা-দ্বন্দ্ব কাজ করছে। ইতোমধ্যে দলের হাই কমান্ড হরিণাকুন্ডু উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মশিউর রহমান জোয়ারদার ও বর্তমান মেয়র রিন্টুসহ ৩ জনকে দল থেকে সাময়িক বহিষ্কার করেছে। এই বহিষ্কারের বিরুদ্ধে ঝিনাইদহে পাল্টা সংবাদ সম্মেলন হয়েছে। বহিষ্কৃতদের ভাষ্য, তারা হরিণাকুন্ডু পৌর নির্বাচনে নৌকার পক্ষে মানুষের দ্বারে দ্বারে ভোট চাইলেও জেলা রাজনীতির বলি হয়েছেন তারা। যার প্রভাব পড়েছে ভোটারদের মধ্যে। তবে জেলা আওয়ামীলীগ নেতাদের বক্তব্য সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে তাদের বহিষ্কার করা হয়েছে।
ঝিনাইদহ জেলা নির্বাচন অফিসার রোকনুজ্জামান জানান, হরিণাকুন্ডু পৌর নির্বাচনে ৪ জন মেয়র প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এরা হলেন নৌকা প্রতিক নিয়ে ফারুক হোসেন (আ’লীগ), ধানের শীষ প্রতিক নিয়ে জিন্নাতুল হক (বিএনপি), ইসলামী আন্দোলনের নাসির উদ্দীন হাত পাখা প্রতিক নিয়ে ও আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী হিসেবে জগ প্রতিক নিয়ে সাইফুল ইসলাম টিপু মল্লিক প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এছাড়া সাধারণ কাউন্সিলর পদে ২৭ জন ও সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর পদে ১১ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। হরিণাকুন্ডু পৌরসভায় মোট ভেটার সংখ্যা ১৭ হাজার ৭৬ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৮৩৯৩ ও মহিলা ভোটার ৮৬৮৩ জন রয়েছে।
আ’লীগের প্রার্থী ফারুক হোসেন জানান, তৃনমুলে দলের নেতাকর্মীরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করছেন। ভোটাররাও নৌকার প্রতি আস্থা রাখছেন। ফলে জয় নিয়ে আমি আশাবাদী।
বিএনপি প্রার্থী জিন্নাতুল হক জানান, এটা হচ্ছে নিয়ম রক্ষার নির্বাচন। আমরা গনতন্ত্র উদ্ধার আন্দোলনের অংশ হিসেবে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছি। তাই জয় পরাজয় নিয়ে ভাবছি না। তবে ভোটাররা ভোট কেন্দ্রে আসতে পারলে ভোট বিপ্লব ঘটতে পারে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী প্রার্থী বিশিষ্ট ঠিকাদার সাইফুল ইসলাম টিপু জানান, নির্বাচনে প্রভাব ও পেশী শক্তি ব্যবহার না হলে আমি জয়ী হবো। তিনি বলেন, বেশির ভাগ তরুণ ভোটার আমার জন্য কাজ করছেন। তিনি প্রশাসনকে নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালনের আহবান জানান।
সম্পাদক মণ্ডলীর সভাপতি: প্রফেসর নূর মো. রহমত উল্লাহ। নির্বাহী সম্পাদকঃ ব্যারিস্টার মো. ইমরান খাঁন, ব্যবস্থাপনা সম্পাদক: মো. ওমর ফারুক
ইমেইল: [email protected] মোবাইল: ০১৭৫৪-২২২৫০২
অফিসঃ গ্রামঃ শ্রীমদ্দি(আলোনিয়াকান্দি), পোঃ- হোমনা, উপজেলাঃহোমনা, জেলাঃ কুমিল্লা।
সম্পাদক ও প্রকাশক: মো. ইব্রাহিম খলিল কর্তৃক কুমিল্লা জেলা থেকে সম্পাদিত ও প্রকাশিত।