তারেক জাহিদ, ঝিনাইদহঃ
ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ডুু উপজেলার ৪নং দৌলতপুর ইউনিয়নের ফতেপুর গ্রামের একই পরিবারে ৪ জন প্রতিবন্ধী রয়েছে। সবার প্রতিবন্ধী ভাতার কার্ড থাকলেও রাতে মাথা গোঁজার ঠাঁই নেই। ভাঙ্গাচোরা বাড়িতে তাদের বসবাস। তথ্য নিয়ে জানা গেছে, শাহাদত মন্ডলের ছেলে শহিদুল ইসলাম, খালা হাসিরন নেছা ও ছোটখালা কুলসুম সবাই প্রতিবন্ধী। এদের মধ্যে একজন শারীরিক ও তিনজন বুদ্ধি প্রতিবন্ধী।
শাহাদত মন্ডল জানান, আমি একজন অসহায় গরিব মানুষ। ঠিকমত চলতে পারি না। পায়ে সমস্যা। নিরুপায় হয়ে খোড়া পা নিয়ে ভ্যানগাড়ী চালিয়ে সংসার চালাতাম। বয়সের ভারে তাও পারি না। এখন ঝুড়ি বুনে সংসার চালাতে হয়। ঝুড়ি বিক্রি না হলে অনাহারে দিন কাটে। তিনি বলেন, আমার দৈনিক আয় দুই শত টাকা। বর্তমান বাজারে এই টাকা দিয়ে কিছুই হয় না। ফলে খুব কষ্টে আমার দিন কাটে। আমার কোন ঘরবাড়ী নেই। শুনেছি প্রধানমন্ত্রী অসহায় মানুষের বাড়ী তৈরি করে দিচ্ছেন। যদি তিনি আমাকে একটি ঘর করে দিতেন, তবে এই প্রতিবন্ধীদের নিয়ে বাকী জীবনটা পার করতাম। শাহাদত মন্ডল জানান, আমার পরিবারে আমিসহ চারজন প্রতিবন্ধী। এর মধ্যে শহিদুল, হাসিরণ ও কুলসুম সরকার থেকে ভাতা পায়। তাদের টাকা দিয়ে সংসার চলে। পরিবারটির ভাষ্য, অনেক সচ্ছল পরিবারকে সরকারি ঘর করে দেওয়া হচ্ছে। অথচ আমাদের ঘর হয় না। আমরা টাকা দিতে পারি না বলে আমাদের কেউ ঘর করে দেয় না বলে প্রতিবন্ধী পরিবারটি মনে করেন।
বিষয়টি নিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকতা সৈয়দা নাফিস সুলতানা জানান, ঘটনাটি আসলেই মর্মান্তিক। একই পরিবারে চারজন প্রতিবন্ধী এটা আমার জানা ছিল না। তিনি বলেন, এই পরবিারের কথা কেউ আমাকে বলেনি। তিনি খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নিবেন বলে জানান।
সম্পাদক মণ্ডলীর সভাপতি: প্রফেসর নূর মো. রহমত উল্লাহ। নির্বাহী সম্পাদকঃ ব্যারিস্টার মো. ইমরান খাঁন, ব্যবস্থাপনা সম্পাদক: মো. ওমর ফারুক
ইমেইল: mdibrahimkhalil494@gmail.com মোবাইল: ০১৭৫৪-২২২৫০২
অফিসঃ গ্রামঃ শ্রীমদ্দি(আলোনিয়াকান্দি), পোঃ- হোমনা, উপজেলাঃহোমনা, জেলাঃ কুমিল্লা।
সম্পাদক ও প্রকাশক: মো. ইব্রাহিম খলিল কর্তৃক কুমিল্লা জেলা থেকে সম্পাদিত ও প্রকাশিত।