আকতার হোসেন ভুইয়া,নাসিরনগর(ব্রাহ্মণবাড়িয়া)সংবাদদাতা ॥ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে বাণিজ্যিকভাবে চাষ করা হয়েছে সূর্যমুখী ফুল।এই প্রথম এ উপজেলার ফান্দাউ ও গোর্কণ ইউনিয়নের কয়েকজন কৃষক সরকারি সহযোগিতায় সূর্যমূখী চাষ করেছেন। মনমুগ্ধ এই ফুল দেখতে প্রতিদিন ভিড় করছেন দর্শনার্থী।হলুদ ফুলের সমারোহে হারিয়ে যেতে দূর-দূরান্ত থেকে দর্শনার্থীরা সকাল-বিকাল ভিড় জমাচ্ছেন এ সূর্যমুখী জমিতে। কম খরচে লাভজনক হওয়ায় সূর্যমুখী চাষে কৃষকদের আগ্রহ বাড়াতে সরকারের এই উদ্যোগ।
সূর্যমুখী ফুলের জমিতে সরজমিনে গেলে গোর্কণ ইউনিয়নের চটিপাড়া গ্রামের কৃষক আতিকুর রহমান খসরু জানান, আগে আমি জমিতে ধান চাষ করতাম। ধানের দাম কম। তাই আমি ধান না বুনে পরীক্ষামূলকভাবে ৮ বিঘা জমিতে সূর্যমুখী ফুলের চাষ করেছি।আমার এই সূর্যমুখী জমি দেখতে অনেকেই আসছেন। আবার এই ফসল চাষ করার জন্য অনেকেই আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। তবে কৃষি অফিস থেকে বিনামূল্যে সূর্যমুখীর বীজ ও সার প্রদানসহ সার্বিক সহযোগিতা ও পরামর্শ পাওয়ায় সূর্যমুখী চাষ আমার জন্য অনেক সহজ হয়েছে।আশা করছি, এতে লাভবান হতে পারবো। তিনি আরও জানান , গাছগুলোতে ফুল ধরেছে অনেক। জমিতে সূর্যমুখী ফুল ফোটার পর থেকে এখানে দেখতে সারাদিনই ভিড় থাকে নারী-শিশুসহ তরুণ তরুণীদের।সবাই ফুলের সাথে নিজেকে সেলফি ও ছবি তুলে ফ্রেমবন্দি করছেন।
জেঠাগ্রাম ডিঘরের আরেক কৃষক মাহবুবুর রহমান জানান,উপজেলা কৃষি অফিসের পরামর্শ নিয়ে বাণিজিকভাবে প্রায় দুই বিঘা জমিতে সূর্যমুখীর আবাদ করেছি। ভাল ফলনের আশা করছি।
দায়িত্ব প্রাপ্ত উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. আসাদুজ্জামান আসাদ জানান,নাসিরনগরে প্রথমবারের মত পরীক্ষামূলকভাবে সূর্যমুখী ফুল চাষ করা হয়েছে। বাংলাদেশ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সহযোগিতায় সূর্যমুখী ফুল চাষের জন্য কৃষকদের সরকারিভাবে বিনামূল্যে বীজ ও সার সরবরাহ করা হয়েছে। কৃষি অফিস থেকে সব সময় তদারকি করা হচ্ছে। সবকিছু কৃষক বুঝতে পারলেই এই ফসল চাষ করতে তারা উৎসাহিত হবে।চলতি মৌসুমে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ও সূর্যমুখীর চাষ ভাল হওয়ায় লাভের আশা করছেন কৃষকরা।
সম্পাদক মণ্ডলীর সভাপতি: প্রফেসর নূর মো. রহমত উল্লাহ। নির্বাহী সম্পাদকঃ ব্যারিস্টার মো. ইমরান খাঁন, ব্যবস্থাপনা সম্পাদক: মো. ওমর ফারুক
ইমেইল: [email protected] মোবাইল: ০১৭৫৪-২২২৫০২
অফিসঃ গ্রামঃ শ্রীমদ্দি(আলোনিয়াকান্দি), পোঃ- হোমনা, উপজেলাঃহোমনা, জেলাঃ কুমিল্লা।
সম্পাদক ও প্রকাশক: মো. ইব্রাহিম খলিল কর্তৃক কুমিল্লা জেলা থেকে সম্পাদিত ও প্রকাশিত।