ক্রাইম পেট্রোল ডেস্ক:
সিলেটে গৃহকর্মীর শরীরে গরম খুন্তির ছ্যাঁকা দেওয়ার ঘটনায় মামলার পর তোলপাড় শুরু হয়েছে। এ ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর কর্মস্থল ছেড়ে স্বামী-সন্তানসহ নিরুদ্দেশ অভিযুক্ত সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের স্টাফ নার্স শাহনাজ আক্তার সাবিহা।
কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ আলী মাহমুদ বলেন, 'কিশোরী গৃহপরিচারিকাকে নি'র্যাতনের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেছে। তার পুরো শরীরে আ'ঘাতের চিহ্ন, দগদগে ঘা। অভিযুক্ত নার্সকে গ্রেফতারে অভিযান চলছে।'
পুলিশ জানায়, গৃহকর্মী জান্নাত (১৩) বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এ ঘটনায় নি'র্যাতনের শিকার গৃহকর্মী জান্নাতের বাবা জাকির হোসেন খান মামলা করেছেন। অভিযুক্ত সাবিহার বাড়ি গোয়াইনঘাট উপজেলার জাফলং এলাকার চৈলাখেল গ্রামে। নি'র্যাতিত জান্নাত মাসিক ১৫০০ টাকা বেতনে গৃহপরিচারিকা হিসেবে কাজ করত।
মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, ভাত বেশি খাওয়াসহ বিভিন্ন অপবাদ ও অজুহাতে জান্নাতকে শাহনাজ ও তার স্বামী পলাশ মিয়া (৩৮) এবং বোন রেহেনা আক্তার রুমি (২৪) মা'রধর করতেন। শরীরের বিভিন্ন অংশে ছ্যাঁ'কা দিত স্টিলের খু'ন্তি আ'গুনে গ'রম করে। এসব বিষয় পরিবারকে জানালে জান্নাতকে প্রাণে মে'রে ফেলার হু'মকি দিতেন শাহনাজরা। তাই এতদিন জান্নাত মুখ খোলেনি।
এবার ঈদুল আজহায় বাড়ি বেড়াতে গেলে শরীরের দ'গদগে ঘা দেখতে পান পরিবারের লোকজন। তারপর তারা মামলা করেন থানায়। মামলার পর কর্মস্থল ওসমানী মেডিকেল, বাসা ও বাড়িতে অভিযান চালিয়েও শাহনাজকে পাওয়া যাচ্ছে না বলে জানিয়েছে পুলিশ।
ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নার্সিং কর্মকর্তা ও বাংলাদেশ নার্সেস অ্যাসোসিয়েশনের (বিএনএ) মহাসচিব ও মো. ইসরাইল আলী সাদেক জানান, 'শাহনাজ হাসপাতালে অনুপস্থিত রয়েছেন। তাকে ফোনেও পাওয়া যাচ্ছে না। তবে কোনো ব্যক্তির দায় প্রতিষ্ঠান নেবে না।'
সম্পাদক মণ্ডলীর সভাপতি: প্রফেসর নূর মো. রহমত উল্লাহ। নির্বাহী সম্পাদকঃ ব্যারিস্টার মো. ইমরান খাঁন, ব্যবস্থাপনা সম্পাদক: মো. ওমর ফারুক
ইমেইল: mdibrahimkhalil494@gmail.com মোবাইল: ০১৭৫৪-২২২৫০২
অফিসঃ গ্রামঃ শ্রীমদ্দি(আলোনিয়াকান্দি), পোঃ- হোমনা, উপজেলাঃহোমনা, জেলাঃ কুমিল্লা।
সম্পাদক ও প্রকাশক: মো. ইব্রাহিম খলিল কর্তৃক কুমিল্লা জেলা থেকে সম্পাদিত ও প্রকাশিত।