ঝিনাইদহ প্রতিনিধি>>
ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার শামীম আহম্মেদ খানের বিরুদ্ধে করোনা প্রণোদনার ভাতা আত্মসাৎসহ নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ তদন্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিদর্শক মোহাম্মদ হেলাল উদ্দীন।
ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসকের কাছে ১১৬৫/১(৫) নাং স্মারকে পাঠানো চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে শিক্ষা অফিসার শামীম আহম্মেদ খানের বিরুদ্ধে করোনা প্রণোদনার ভাতা আত্মসাৎসহ নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ করেছেন শৈলকুপার চরপরমান্দপুর এবতেদায়ী মাদ্রাসার প্রধাণ শিক্ষক হাফিজা খাতুনসহ ৬ জন শিক্ষক। অভিযোগটি তদন্ত করে জরুরি ভিত্তিতে মতামতসহ প্রতিবেদন প্রেরণের জন্য বলা হয়েছে।
এবতেদায়ী মাদ্রাসার প্রধাণ শিক্ষক হাফিজা খাতুন অভিযোগ করেন, ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার শামীম আহম্মেদ খান টাকা ছাড়া তিনি এমপিওভুক্ত, করোনাকালীন নন এমপিও শিক্ষকদের তালিকা তৈরী ও সরকারি বই দেন না। নন এমপিও শিক্ষকদের করোনা প্রণোদনার ভাতা প্রকৃত শিক্ষকদের না দিয়ে ভুয়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের দেওয়া হয়েছে। শৈলকুপার ১৪ নং দুধসর ইউনিয়নের রাবেয়া খাতুন নিম্ন মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের সালমা খাতুন নামে এক ভুয়া শিক্ষকের নাম দেখিয়ে মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার শামীম আহম্মেদ খান এবং ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক নাহিদুজ্জামান নাহিদ ওরফে নাজমুল আত্মসাৎ করেন। শৈলকুপার বেড়বাড়ি ও পুরাতন বাখরবা গ্রামে এবতেদায়ী স্বতন্ত্র মাদ্রাসা কাগজ কলমে না থাকলেও মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার শামীম আহম্মেদ খান দুইটি মাদ্রাসার নামে করোনার টাকা তুলে নিয়েছেন। শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও শিক্ষা অধিদপ্তরে শৈলকুপায় ৬টি এবতেদায়ী মাদ্রাসা রয়েছে। এসব মাদ্রাসা শিক্ষকদের করোনার প্রণোদনার টাকা প্রদান করা হবে বলে মোবাইলে নিজ দপ্তরে ডেকে নিয়ে ঘুষ দাবি করেন শামীম খান। ঘুষ না দেওয়ায় কারোর টাকা প্রদান করা হয়নি। ২০২০ সালের ৫ আগস্ট শিক্ষা অফিসার শামীম খানের দুর্নীতি নিয়ে তৎকালীন ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসক সরোজ কুমার নাথের কাছে লিখিত অভিযোগ দিলেও কোন প্রতিকার পাননি তারা।
শৈলকুপার পুরাতন বাখরবা গ্রামের প্রধান শিক্ষক মুমিনুর রহমান জানান, যে কোন বেসরকারী প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নিয়োগ হলেই শিক্ষা অফিসার শামীম খানকে ম্যানেজ করতে বড় অংকের টাকা দিতে হয়। এছাড়া তিনি এমপিওভুক্তকরণ, শিক্ষকদের উচ্চতর গ্রেড ও বেতন ছাড়ের ফাইলের জন্য টাকা দিতে হয়।
শৈলকুপার বিষ্ণুপুর মাদ্রাসার মিজানুর রহমান, রাবেয়া খাতুন মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের সুমি খাতুন ও কামরুন নাহার অভিযোগ করেন, একই স্টেশনে ৬ বছর ধরে থাকার কারণে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার শামীম আহম্মেদ খান অকুণ্ঠ দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত।
এ বিষয়ে জেলা শিক্ষা অফিসার তাসলিমা খাতুন বলেন, শামীম আহম্মেদ খানের বিরুদ্ধে তদন্ত করার চিঠি পেয়েছি। জেলা প্রশাসক মহোদয় তদন্ত করবেন। তিনি বলেন, আমি নতুন যোগদানের পর থেকেই তার বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ পাচ্ছি।
সম্পাদক মণ্ডলীর সভাপতি: প্রফেসর নূর মো. রহমত উল্লাহ। নির্বাহী সম্পাদকঃ ব্যারিস্টার মো. ইমরান খাঁন, ব্যবস্থাপনা সম্পাদক: মো. ওমর ফারুক
ইমেইল: [email protected] মোবাইল: ০১৭৫৪-২২২৫০২
অফিসঃ গ্রামঃ শ্রীমদ্দি(আলোনিয়াকান্দি), পোঃ- হোমনা, উপজেলাঃহোমনা, জেলাঃ কুমিল্লা।
সম্পাদক ও প্রকাশক: মো. ইব্রাহিম খলিল কর্তৃক কুমিল্লা জেলা থেকে সম্পাদিত ও প্রকাশিত।