জাহিদুর রহমান তারিক, ঝিনাইদহঃ
প্রচণ্ড শব্দ দূষণের কবলে পড়েছে ঝিনাইদহ। ন্যূনতম মাইকিং ন্যুইসেন্স আইন মানা হয় না। সকাল, সন্ধ্যা গভীর রাতে মাইকের শব্দে মানুষের কান ঝালাপালা হয়ে পড়ে। অতিষ্ঠ হয় জনজীবন। এদিকে শব্দ দূষণ রোধে ঝিনাইদহ শহরে যত্রতত্র মাইকিং বন্ধের দাবিতে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। ঝিনাইদহ যুব ফেডারেশন নামের একটি সংগঠন এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন যুব ফেডারেশনের আহবায়ক এস এম রবি। উপস্থিত ছিলেন অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ খন্দকার হাফিজ ফারুক, অ্যাড. লিয়াকত আলী, পূজা উদযাপন পরিষদের অ্যাড. কানন কুমার দাস, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের একরামুল হক লিকু, রাজু আহমেদ মিজান, বিএম আনোয়ার হুসাইন ও এস ঘরানা ইন্সটিটিউটের পরিচালক শাহানাজ পারভিন সেতু।
লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, ঝিনাইদহ শহরের শব্দদূষণ সহ্যসীমা অতিক্রম করেছে। ফুল ভলিউম সাউন্ডে মাছ, মাংস, কোচিং সেন্টারে ভর্তি, প্রাইভেট হাসাপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের প্রচার, এনার্জি বাল্ব এবং ইঁদুর মারার ঔষধ বিক্রি, পাড়া মহল্লায় পিকনিকের নামে রাতভর গান-বাজনাসহ নানা অজুহাতে প্রচার মাংকিং অব্যাহত রয়েছে। এছাড়াও যানবাহনের হর্ন, রাতে ইটভাঙ্গার শব্দ, সিমেন্ট মিশ্রণের শব্দ, গ্রীলের দোকানের হাতুড়ি পেটানো, জেনারেটরের শব্দ ও দোকানে উচ্চ আওয়াজে গান বাজানো শব্দসহ নসিমন করিমন ও ভটভটির শব্দে অতিষ্ট হয়ে পড়েছে শহরবাসী। অতিমাত্রায় শব্দ দূষণের ফলে মানুষের শ্রুতিশক্তি হারিয়ে ফেলছে। শব্দদূষণের ফলে মারাত্মক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে শিশু, গর্ভবতী মা এবং হৃদরোগে আক্রান্ত ব্যক্তিরা। মাত্রাতিরিক্ত শব্দদূষণের ফলে শ্রবণশক্তি লোপ, উচ্চ রক্তচাপ, মাথাধরা, অনিদ্রা, হৃদযন্ত্রের সমস্যাসহ নানারকম মানসিক সমস্যা সৃষ্টি হয়। পরিবেশ অদিদপ্তরের এক জরিপের উদ্বৃতি দিয়ে সাংবাদিক সম্মেলনে বলা হয়, মাত্রাতিরিক্ত শব্দের কারণে ইতোমধ্যেই দেশের প্রায় ১২ শতাংশ মানুষের শ্রবণশক্তি হ্রাস পেয়েছে। শব্দ দূষণ থেকে পরিত্রাণ পেতে যুব ফেডারেশনের পক্ষ থেকে প্রশাসনের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করা হয়েছে।
সম্পাদক মণ্ডলীর সভাপতি: প্রফেসর নূর মো. রহমত উল্লাহ। নির্বাহী সম্পাদকঃ ব্যারিস্টার মো. ইমরান খাঁন, ব্যবস্থাপনা সম্পাদক: মো. ওমর ফারুক
ইমেইল: [email protected] মোবাইল: ০১৭৫৪-২২২৫০২
অফিসঃ গ্রামঃ শ্রীমদ্দি(আলোনিয়াকান্দি), পোঃ- হোমনা, উপজেলাঃহোমনা, জেলাঃ কুমিল্লা।
সম্পাদক ও প্রকাশক: মো. ইব্রাহিম খলিল কর্তৃক কুমিল্লা জেলা থেকে সম্পাদিত ও প্রকাশিত।