মো. আনোয়ারুল ইসলাম অপূর্ব, লালমনিরহাট:
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হওয়া ঘূর্ণিঝড় দানার প্রভাবে লালমনিরহাটে ৩-৪দিন ধরে শুরু হয়েছে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টিসহ বাতাস। গত বুুধবার বিকেল থেকে আকাশ ছিল মেঘলা, সন্ধ্যার পর শুরু হয় বৃষ্টি আর বাতাস।এ অবস্থা বুুধবার থেকে শুক্রবার পর্যন্ত চলতে থাকে। ঘূর্ণিঝড় দানার প্রভাবে অসময়ে বৃষ্টি আর বাতাসে লালমনিরহাটের অধিকাংশ এলাকার জমির ধানও শীতের আগাম শাকসবজি এবং রবি শস্যসহ বিভিন্ন ফসলের
ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে।
লালমনিরহাটের উপজেলা আদিতমারী, সদর উপজেলার মোঘলহাট,দুর্গাপুর ভেলাবাড়ী কমলাবাড়ী ও সাপ্টিবাড়ী ইউনিয়নের তালুকদুলালী বারঘড়িয়া হাজিগঞ্জ বাগদিবাজার মহিষতুলি
শঠিবাড়ী বটতলা আমেনাবাজারে, কৃষকের অধিকাংশ জমির কাঁচা-পাকা ধান বাতাসের প্রভাবে মাটিতে নুয়ে পড়েছে।
এবিষয়ে ভেলাবাড়ী ইউনিয়নের কৃষক জলিল মিয়া বলেন, 'মাটিতে নুয়ে পড়া আধা পাকা এবং কাঁচা ধানের মধ্যে যেগুলোতে এখনো দানা আসেনি
সে ধানগুলো পাতানে পরিণত হবে।
এ অঞ্চলের অনেক কৃষক বলেন, রোপা আমন ধান কাটার এটাই সময়, এলাকার অনেকেই ধান কাটতে শুরু করেছে আবার কেউ কেউ ধান কাটার প্রস্ততি নিচ্ছে।এমতাবস্থায় দানার প্রভাবে হঠাৎ
ঝড়ো বাতাসে ধানের গাছ মাটিতে নুয়ে পড়ায় ব্যাপক ক্ষয় -ক্ষতি হয়েছে। বর্তমান ধান বা অন্যান্য ফসলের এই অবস্থা নিয়ে কৃষকেরা খুবই দুশ্চিন্তায় আছেন।
এবিষয়ে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক ড. মো. সাইখুল আরেফিন বলেন, 'জেলাতে এবার ৮৬হাজার ৬৫০ হেক্টর জমিতে আগাম বিভিন্ন জাতের ধানের চাষ করা হয়েছে, এবং ৫হাজার হেক্টর জমির ধান আগাম কাটা হয়েছে।আর ঘূর্ণিঝড় দানার প্রভাবে যেসব জমির ধান ঝড়ো বাতাসে মাটিতে নুয়ে পড়েছে তেমন কোনো ক্ষয়-ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা বর্তমান নেই।তবে যেসব জমির পাকা ধান মাটিতে নুয়ে পড়েছে সেসব ধানগুলো আমরা দ্রুত কাটার
জন্য কৃষকদের পরামর্শ দিয়েছি। এ নিয়ে কৃষকেরা কিছুটা দুশ্চিন্তায় রয়েছেন।
লালমনিরহাটের উপরোল্লিখিত উপজেলার বেশ কয়েকটি এলাকা ঘুরে ঘূর্ণিঝড় দানার প্রভাবের ধানসহ অন্যান্য ফসলের ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতির এই চিত্র দেখা যায়।
সম্পাদক মণ্ডলীর সভাপতি: প্রফেসর নূর মো. রহমত উল্লাহ। নির্বাহী সম্পাদকঃ ব্যারিস্টার মো. ইমরান খাঁন, ব্যবস্থাপনা সম্পাদক: মো. ওমর ফারুক
ইমেইল: [email protected] মোবাইল: ০১৭৫৪-২২২৫০২
অফিসঃ গ্রামঃ শ্রীমদ্দি(আলোনিয়াকান্দি), পোঃ- হোমনা, উপজেলাঃহোমনা, জেলাঃ কুমিল্লা।
সম্পাদক ও প্রকাশক: মো. ইব্রাহিম খলিল কর্তৃক কুমিল্লা জেলা থেকে সম্পাদিত ও প্রকাশিত।