মোঃআনোয়ারুল ইসলাম, লালমনিরহাট প্রতিনিধিঃ লালমনিরহাটের আদিতমারীর প্রায় অধিকাংশ হাট-বাজারের ক্রেতা -বিক্রেতা মানছেনা, স্বাস্থ্যবিধি এবং সামাজিক দূরত্ব। এমনকি তাদের মুখে নেই মাস্ক। মনে হয় যেন ভুলেই গেছে করোনা সংক্রমণের কথা। এ পরিস্থিতিতে, দিন- দিন বেড়েই চলছে করোনা সংক্রমণের আশঙ্কা।
গতকাল আদিতমারী উপজেলার, ভেলাবাড়ী ও দূর্গাপুর ইউনিয়নের, শটি বাড়ী সানকারচওড়া ও, তালুকদুলালী বাজারে গিয়ে দেখা যায় দূর-দূরান্ত থেকে আসা ক্রেতা বিক্রেতাদের প্রচন্ড ভীড়। সামাজিক দূরত্বের কোন বালাই নেই। অনেকেরই মুখে নেই মাস্ক। হাতেগোনা মাত্র দু-এক জনের মুখে মাস্ক থাকলেও তা আবার নামিয়ে রাখছে গলায়।হাট কমিটির পক্ষ থেকে তেমন কোন সচেতনামূলক প্রচারণা দেখা যায়নি।বাজারগুলোতে হাত ধোয়ার ব্যবস্থা নেই। বাজারের কোথাও নেই স্যানিটাইজারের ব্যবহার।
মাস্ক না পরার বিষয় জানতে চাইলে, কয়েক জন পকেট থেকে তড়িঘড়ি করে,মাস্ক বের করেন।যে কেউ দেখে ভাববে এখানে করোনা ভাইরাসের কোন বালাই নেই।
হাটে আসাবারঘড়ি গ্রামের মোঃনূরুলইসলাম মিয়া তার মুখে মাস্ক না থাকার বিষয়ে তাকে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, পকেটে মাস্ক আছে , আল্লাহর রহমতে আমাদের কিছুই হবেনা।
হাটে আসা কুদ্দুছ আলী বলেন, সাপ্তাহিক বাজার না করলে পরিবার নিয়ে খামু কী? চলমু কেমনে?আমাদের তো আর চাকরির জমানো টাকা নেই যে, এক মাসের বাজার একবারে করবো।
আলু বিক্রি করেতে আসা জব্বার মিয়া জানান,যদিও এই ভয়ানক পরিস্থিতিতে হাট বাজারে আসা এবং জনসমাগমে চলাফেরা নিষেধ। তবুও শত বাধা- নিষেধ বিপদ আপদের মধ্যে ও আসতে হচ্ছে টাকা পয়সার প্রয়োজন বলে।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জানান, নির্দেশনা মেনে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে দোকান খোলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যদি ব্যতিক্রম ঘটে তাহলে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সম্পাদক মণ্ডলীর সভাপতি: প্রফেসর নূর মো. রহমত উল্লাহ। নির্বাহী সম্পাদকঃ ব্যারিস্টার মো. ইমরান খাঁন, ব্যবস্থাপনা সম্পাদক: মো. ওমর ফারুক
ইমেইল: [email protected] মোবাইল: ০১৭৫৪-২২২৫০২
অফিসঃ গ্রামঃ শ্রীমদ্দি(আলোনিয়াকান্দি), পোঃ- হোমনা, উপজেলাঃহোমনা, জেলাঃ কুমিল্লা।
সম্পাদক ও প্রকাশক: মো. ইব্রাহিম খলিল কর্তৃক কুমিল্লা জেলা থেকে সম্পাদিত ও প্রকাশিত।