লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি: গত দুই দশকে লক্ষ্মীপুরের কমলনগর ও রামগতি উপজেলার বিস্তীর্ণ এলাকা মেঘনার অব্যাহত ভাঙনে বিলীন হয়ে গেছে। ভিটেমাটি হারিয়ে নিঃস্ব হয়েছে অনেক পরিবার। তাদের মধ্যে কয়েক হাজার পরিবারের প্রায় ১০/১২ হাজার মানুষ রামগতি-লক্ষ্মীপুর সড়কে আশ্রয় নিয়েছে। খেয়ে না-খেয়ে তাদের জীবন কোনো রকমে চলে যাচ্ছে বটে, তবে পরিবারের কেউ মারা গেলে লাশ দাফন নিয়ে পড়ে বিপাকে। কবর দেওয়ার মতো জায়গা পাওয়া যায় না। এই অসহায় মানুষের কথা চিন্তা করে সদর উপজেলার পশ্চিম চরমনসা গ্রামে ২৯.৫০ শতাংশ জমি কিনে কবরস্থান ও মসজিদ নির্মাণ করা হয়েছে। পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদের উদ্যোগে এটি সম্ভব হয়েছে। চলতি মাসের শেষের দিকে তিনি এই করবস্থান ও মসজিদ উদ্বোধন করবেন বলে জানা গেছে।
জেলা পুলিশ সূত্র জানায়, মৃতদের কবর দেওয়া নিয়ে নদীভাঙা মানুষের দু:শ্চিন্তা ও স্থানীয় ২৫/৩০ জন যুবকের উদ্যোগ নেওয়ার বিষয়ে খবর প্রকাশিত হয় গণমাধ্যমে। বিষয়টি নজরে পড়ায় আইজিপি বেনজীর আহমেদ এ ব্যাপারে পদক্ষেপ নিতে নির্দেশ দেন। সে অনুযায়ী জমি কেনাসহ প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়া হয়।
ভবানীগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের ৫ নম্বর ওয়ার্ড মেম্বার তুহিন আহমেদ বলেন, সড়কের পাশে বসবাসকারী নদীভাঙনের শিকার ব্যক্তিরা সহায়-সম্বলহীন। পরিবারের কেউ মারা গেলে বিপদে পড়ে। কোথায় কবর দেবে, জায়গা পায় না।
এই জনপ্রতিনিধি বলেন, আইজিপি বেনজীর আহমেদের আন্তরিকতার কথা মানুষ মনে রাখবে । প্রায় একই কথা বলেন লক্ষ্মীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অপরাধ) পলাশ কান্তি নাথও।
সম্পাদক মণ্ডলীর সভাপতি: প্রফেসর নূর মো. রহমত উল্লাহ। নির্বাহী সম্পাদকঃ ব্যারিস্টার মো. ইমরান খাঁন, ব্যবস্থাপনা সম্পাদক: মো. ওমর ফারুক
ইমেইল: [email protected] মোবাইল: ০১৭৫৪-২২২৫০২
অফিসঃ গ্রামঃ শ্রীমদ্দি(আলোনিয়াকান্দি), পোঃ- হোমনা, উপজেলাঃহোমনা, জেলাঃ কুমিল্লা।
সম্পাদক ও প্রকাশক: মো. ইব্রাহিম খলিল কর্তৃক কুমিল্লা জেলা থেকে সম্পাদিত ও প্রকাশিত।