মো. সাইফুল্লাহ খাঁন, জেলাপ্রতিনিধি, রংপুর : সঞ্চয় ছিলো সাত হাজার, এখন আছে বিশ টাকা। কাল সকালে লাগবে কিস্তিসহ এক হাজার টাকা। তাই টান টান অবস্থা জামিলের। বলছিলাম রংপুর নগরীর সিটি পার্ক মার্কেটের ২য় তলায় অবস্থিত মেঘনা হেয়ার ড্রেসার এর স্বত্বাধিকারী জামিল হোসেন এর কথা। সরকার ঘোষিত লকডাউনের কবলে শুধু জামিল না এরকম লাখো কোটি মানূষের অবস্থা শোচনীয়। কথা হয় জামিলের বৃদ্ধ বাবা কোরবানআলীর সাথে।
তিনি বলেন, আমার পরিবারে সদস্য দশজন । তাদের মধ্যে উপার্জন করে দুইজন ।আর বাকী সব দুজনের উপার্জনের উপর কোনরকমে কষ্টে জীবনযাপন করছে। গেলো বারের লকডাউনে দোকানের ভাড়া এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে পরিশোধ করার ধকল পুষিয়ে উঠতে না উঠতেই ফের লকডাউন শুরু। এ যেনো মরার উপর খারার ঘা। কী থেকে কী করবো তা বুঝে উঠতে পারছেন না কোরবান আলী।
মেঘনা হেয়ার ড্রেসার এর স্বত্বাধিকারী জামিল হোসেন জানান, একেই তো করোনাকাল তার উপর আবার লকডাউন। ব্যবসায় মহামন্দা। সেলুনে কাজ নাই। কিস্তির টাকা পরিশোধ করি, না দোকান ভাড়া পরিশোধ করি,খুব দুঃচিন্তায় আছি। বাড়ীতে মা বাবা ভাই বোনের চোখে মুখে শুকনো ছাপ। তাদের মুখে তুলে দিতে পারি না ঠিকমত খাবার। সঞ্চিত টাকা শেষ। রাত পোহালে কিস্তি। এখন মরণ ছাড়া কোনো উপায় নেই। লকডাউনের মাঝেও দোকান খুললেও কাস্টমার নাই। রমজান মাস। বেহাল অবস্থা ব্যবসার। হয়তো ব্যবসা বন্ধের উপক্রম হতে যাচ্ছে।
অপর ব্যবসায়ী লিটন বলেন, আগের লক ডাউনে সরকার যদিও চাল ডাল দিয়ে সাহায্য সহযোগিতা করেছিলো এবার তাও নাই। সংসার চালানো মুশকিল হয়ে পড়েছে। সারা দিন বসে আছি, কাজ কাম নাই। এভাবে চলতে থাকলে আত্মহত্যা ছাড়া আর কোনো উপায় নাই।
সম্পাদক মণ্ডলীর সভাপতি: প্রফেসর নূর মো. রহমত উল্লাহ। নির্বাহী সম্পাদকঃ ব্যারিস্টার মো. ইমরান খাঁন, ব্যবস্থাপনা সম্পাদক: মো. ওমর ফারুক
ইমেইল: [email protected] মোবাইল: ০১৭৫৪-২২২৫০২
অফিসঃ গ্রামঃ শ্রীমদ্দি(আলোনিয়াকান্দি), পোঃ- হোমনা, উপজেলাঃহোমনা, জেলাঃ কুমিল্লা।
সম্পাদক ও প্রকাশক: মো. ইব্রাহিম খলিল কর্তৃক কুমিল্লা জেলা থেকে সম্পাদিত ও প্রকাশিত।