ক্রাইম পেট্রোল ডেস্ক:
লক্ষ্মীপুরের রামগতিতে পুলিশ পরিচয়ে মো. সুমন নামের এক যুবককে তুলে নিয়ে বি'বস্ত্র করে গাছের সঙ্গে বেঁ'ধে পে'টানোর মামলায় তিন আসামিকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। সোমবার (২৪ জুলাই) দুপুরে লক্ষ্মীপুর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মোহাম্মদ মুমিনুল হাসান আসামিদের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
বাদীর আইনজীবী মো. ইয়াহিয়া সোহাগ বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, 'মামলার পর আসামিরা উচ্চ আদালত থেকে চার সপ্তাহের জামিন নেন। মেয়াদ শেষ হওয়ায় ৩ আসামি লক্ষ্মীপুর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে উপস্থিত হয়ে জামিন আবেদন করেন।আদালতের বিচারক মোহাম্মদ মুমিনুল হাসান তাদের জামিন নামঞ্জুর করে গ্রে'ফতারের নির্দেশ দিয়েছেন। পরে আদালতের নির্দেশনায় তাদেরকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।'
এদিকে মামলার প্রধান আসামি চরবাদাম ইউনিয়ন পরিষদের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য ও ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি আবদুর রহিমসহ আরো ৪ জন পলাতক।বাদীর অভিযোগ মামলা তুলে নিতে ভূক্তভোগী সুমন ও বাদী আব্দুল মাজেদ রাজীবকে বিভিন্ন ধরণের হু'মকি দিয়ে আসছেন ইউপি সদস্য।
সোমবার আদালত প্রাঙ্গণে বাদি সাংবাদিকদের বিষয়টি জানিয়েছেন।
গ্রেফতার আসামিরা হলেন মো. শাহীন (৩২), মো. শাহজাহান (৫৫) ও মামুনুর রশিদ মিলন (২৭)। তারা রামগতি উপজেলার চরবাদাম ইউনিয়নের পূর্ব চরসীতা গ্রামের বাসিন্দা। সুমন পূর্বচরসীতা গ্রামের বাসিন্দা আবুল বাশারের ছেলে।
মামলা সূত্র জানায়, ৭ জুন সুমনদের এলাকা পঞ্চায়েত বাড়ির জামে মসজিদের সামনের রাস্তায় দুটি সিএনজি অটোরিকশাযোগে কয়েকজন লোক আসে। একপর্যায়ে মামলা আছে বলে তারা পুলিশ পরিচয়ে সুমনকে তু'লে নিয়ে যায়। পঞ্চায়েত বাড়ির জামে মসজিদ থেকে প্রায় দেড় কিলোমিটার দূরে ভুলুয়া নদীর পাশে ফিরোজ মিয়ার প্রকল্প এলাকার নির্জনস্থানে তাকে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে গিয়ে তিনি সবাইকে চিনতে পারেন। এ সময় গাছের সঙ্গে দুই হাত বেঁ'ধে সুমনের মোবাইল থেকেই ইউপি সদস্য আবদুর রহিমকে কল দেওয়া হয়। এরপর আবদুর রহিম এসে তাকে বি'বস্ত্র করার নির্দেশ দেন। একপর্যায়ে তার শরীরে পিঁপড়া ছেড়ে এলোপাতাড়ি লা'থি-ঘু'ষি মারতে থাকে। পরে মুখে কাঁ'দা ঢুকিয়ে দিলে বমি করেন। এ সময় ফের মুখে ল'তাপাতা ঢু'কিয়ে দেওয়া হয়। পরে মুখমন্ডলে কালোকাপড় বেঁ'ধে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায় তারা। পরদিন সুমনের ভাই আবদুল মাজেদ রাজিব বাদী হয়ে থানায় অ'পহরণ মামলা দায়ের করেছেন। এতে ইউপি সদস্য আবদুর রহিমসহ সাতজনের নাম উল্লেখ ও অচেনা আরো ৪-৫ জনকে আসামি করা হয়।
তবে মামলার ঘটনায় আবদুর রহিম দাবি করেছেন, 'ঘটনা সম্পর্কে তিনি কিছুই জানেন না। পূর্ব শত্রুতার জের ধরে তার বিরুদ্ধে নাটক সাজিয়ে সুমনরা উদ্দেশ্যমূলকভাবে মামলা দিয়ে তাকে হয়রানি করছে।'
রামগতি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আলমগীর হোসেন বলেন, 'আসামিরা উচ্চ আদালত থেকে জামিনে ছিলেন। তাদের জামিনের মেয়াদ শেষ হয়েছে। তিন আসামিকে আদালত কারাগারে পাঠিয়েছে। ইউপি সদস্যসহ পলাতক আসামিদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা' হবে।
সম্পাদক মণ্ডলীর সভাপতি: প্রফেসর নূর মো. রহমত উল্লাহ। নির্বাহী সম্পাদকঃ ব্যারিস্টার মো. ইমরান খাঁন, ব্যবস্থাপনা সম্পাদক: মো. ওমর ফারুক
ইমেইল: mdibrahimkhalil494@gmail.com মোবাইল: ০১৭৫৪-২২২৫০২
অফিসঃ গ্রামঃ শ্রীমদ্দি(আলোনিয়াকান্দি), পোঃ- হোমনা, উপজেলাঃহোমনা, জেলাঃ কুমিল্লা।
সম্পাদক ও প্রকাশক: মো. ইব্রাহিম খলিল কর্তৃক কুমিল্লা জেলা থেকে সম্পাদিত ও প্রকাশিত।