ক্রাইম পেট্রোল ডেস্কঃ
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, রাজধানীতে জনদুর্ভোগ ও যানজট কমাতে সরকার কর্তৃক নির্ধারিত স্থানে পাইকারি ও খুচরা কাঁচাবাজার বসাতে হবে।
মানুষের চলাচলের রাস্তা দখল করে কেউ দোকান বসালে তাদের বিরুদ্ধে অবশ্যই ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান মন্ত্রী।
আজ উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলামকে সাথে নিয়ে রাজধানীর কাওরানবাজারস্থ কাঁচাবাজার স্থানান্তরের লক্ষ্যে গাবতলী কাঁচাবাজার এলাকা পরিদর্শনে এসে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন ।
মন্ত্রী বলেন, কাওরানবাজার অনেক আগে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এখান থেকে সারা ঢাকা শহরের খুচরা বাজারগুলোতে পণ্য ডিস্ট্রিবিউশন হয়। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে যারা শাক-সবজি-মাছসহ অন্যান্য পণ্য কাওরান বাজারে নিয়ে আসেন তাদের জন্য কষ্টকর হয়। ঢাকা অত্যন্ত ঘনবসতিপূর্ণ হওয়ায় আবার খুচরা বাজারে পৌঁছাতে অনেক যানজট ও সমস্যা হয়। কাওরানবাজার থেকে ঢাকার ভিন্ন পয়েন্টে সুবিধাজনক স্থানে কীভাবে স্থানান্তর করা যায় সেটা নিয়ে আমরা কাজ শুরু করে দিয়েছি। সকলের প্রচেষ্টায় এই সমস্যার সমাধান করা সম্ভব হবে।
তিনি বলেন, আমাদের লক্ষ্য থাকবে যে সকল ব্যবসায়ীরা সেখান থেকে চলে আসবেন তারা যাতে ক্ষতিগ্রস্ত এবং মানুষেরও ভোগান্তি না হয়। তা সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। কাউকে হঠাৎ করে চলে যেতে বললে সে চলে যাবে না। আর গেলে কোথায় যাবে। যদি তাদের জন্য জায়গা দেয়া ও অন্যান্য সুযোগ সুবিধা দেয়া হয়, তাহলে তারা অবশ্যই যাবে। কাঁচাবাজার তিন তলা বা পাঁচতলা করা যৌক্তিক না। কিন্তু এখানে এধরনের ভবন করার কারণ উপরে ইলেক্ট্রিকসহ অন্যান্য পণ্য বিক্রি করা হয়। পরিকল্পিত এবং দৃষ্টিনন্দন ঢাকা গড়ায় আমাদের মূল লক্ষ্য।
মো. তাজুল ইসলাম জানান, ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় পাইকারি ও খুচরা কাঁচাবাজার এক জায়গায় হওয়া উচিত নয়। এতে করে একদিকে যেমন জনদুর্ভোগ তৈরি হবে, অন্যদিকে যানজটও সৃষ্টি হবে। আমরা চাই পাইকারি ও খুচরা বাজারগুলো একটি নির্দিষ্ট জায়গায় হোক। পাইকারি কাঁচাবাজারগুলো শহরের বাহিরে হলেই বেশি ভালো হবে। মন্ত্রণালয়, ঢাকা দুই সিটি কর্পোরেশনের মেয়র, কাউন্সিলরসহ সংশ্লিষ্ট সকলে মিলে এ লক্ষ্যে কাজ করছে। সবাইকে নিয়ে বসে করণীয় ঠিক করা হবে।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, যত্রতত্র পাইকারি খুচরা বাজার না রেখে কোন এলাকায় কতটি বাজার লাগবে মেয়র এবং কাউন্সিলর বসে সিদ্ধান্ত নিয়ে বাস্তবায়ন করবে। জায়গা চিহ্নিত করে যদি নতুন করে আরো কাঁচা বাজার প্রয়োজন হলে তা করা হবে।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন পূরণের জন্য বাংলাদেশকে উন্নত দেশে রূপান্তরের জন্য শুধু স্বপ্ন দেখেননি সেটি বাস্তবায়ন করতে কাজ করেছেন। এ ধরাবাহিকতায় বাংলাদেশের অভূতপূর্ব উন্নতি হয়েছে। এখন আমাদের অনেক সীমাবদ্ধতা আছে। সরকার কারো বিরুদ্ধে নয়। মানুষ ও দেশের উন্নয়নে কাজ করে। একটা সমস্যা শেষ হলে আর একটা নতুন সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে। সরকার সেটিও বিবেচনায় নিয়ে কাজ করছে।
অপরিকল্পিতভাবে ঢাকা শহর গড়ে উঠেছে উল্লেখ করে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, অনেক সীমাবদ্ধ থাকা সত্ত্বেও ঢাকা দুই সিটি কর্পোরেশনের মেয়র জনগণের আশা- আকাঙ্খা পূরণ ও একটি পরিকল্পিত নগর গড়ে তোলার জন্য মন্ত্রণালয়ের সাথে সমন্বয় করে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।
পরিদর্শনকালে স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ্ উদ্দিন চৌধুরী, স্থানীয় সরকার বিভাগ ও ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং কাউন্সিলর অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন।
সম্পাদক মণ্ডলীর সভাপতি: প্রফেসর নূর মো. রহমত উল্লাহ। নির্বাহী সম্পাদকঃ ব্যারিস্টার মো. ইমরান খাঁন, ব্যবস্থাপনা সম্পাদক: মো. ওমর ফারুক
ইমেইল: [email protected] মোবাইল: ০১৭৫৪-২২২৫০২
অফিসঃ গ্রামঃ শ্রীমদ্দি(আলোনিয়াকান্দি), পোঃ- হোমনা, উপজেলাঃহোমনা, জেলাঃ কুমিল্লা।
সম্পাদক ও প্রকাশক: মো. ইব্রাহিম খলিল কর্তৃক কুমিল্লা জেলা থেকে সম্পাদিত ও প্রকাশিত।