মো. সাইফুল্লাহ খাঁন, জেলাপ্রতিনিধি, রংপুর :
রংপুরের পীরগাছায় চাচা শ্বশুরের বাড়ি থেকে স্ত্রীকে আনতে না পেরে ফেসবুক লাইভে এসে বি'ষপানে আ'ত্মহত্যা করেছেন ইমরোজ হোসেন রনি (৩০) নামের এক যুবক। লাইভে তিনি স্ত্রী, শ্বশুর, চাচা শ্বশুর ও ভায়রা এমদাদুল হককে দায়ী করেন।
রোববার (১৩ ফেব্রুয়ারি) সকালে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃ'ত্যু হয়। রনি উপজেলার ছাওলা ইউনিয়নের নিজ তাজ গ্রামের মৃত তৈয়ব মিয়ার ছেলে। এর আগে শনিবার (১২ ফেব্রুয়ারি) সকালে বি'ষপান করেন ইমরোজ হোসেন রনি।
স্থানীয়রা জানান, চার বছর আগে ভালোবেসে পশ্চিম হাগুরিয়া হাসিম গ্রামের প্রবাসী বাদল মিয়ার মেয়ে শামীমা ইয়াসমিন সাথীকে বিয়ে করেন ইমরোজ হোসেন রনি। বিয়ের পর তাদের সংসারে একটি পুত্র সন্তান জন্ম নেয়।
কয়েকদিন ধরে রনির কাছে দেনমোহরের পাঁচ লাখ টাকা ও শ্বশুর-শাশুড়ির ভরণপোষণ দাবি করে আসছিলেন তার স্ত্রী। এ নিয়ে উভয়ের মধ্যে ম'নোমালিন্য দেখা দেয়। একপর্যায়ে কাউকে না বলে বুধবার পাশের রতনপুর গ্রামে চাচা মুকুল মিয়ার বাড়িতে চলে যান স্ত্রী। শনিবার সকালে তাকে আনতে গিয়ে ব্যর্থ হয়ে ফেসবুক লাইভে আসেন ইমরোজ হোসেন রনি।
লাইভে তিনি বলেন, আমাকে না বলে তিন দিন আগে আমার স্ত্রী চাচা মুকুল মিয়ার বাড়িতে চলে যান। আমি আনতে গেলে তারা আমার কাছে দেনমোহরের পাঁচ লাখ টাকা দাবি করেন। আমি এখন ফেসবুক লাইভে এসে বি'ষপানে আ'ত্মহত্যা করব। আমার মৃত্যুর জন্য আমার স্ত্রী, শ্বশুর, চাচা শ্বশুর ও ভায়রা এমদাদুল হক দায়ী। এ বলে একটি সাদা বোতলের মুখ খুলে বিষপান করেন রনি। এসময় তার সঙ্গে এক কিশোরকে দেখা যায়। কিন্তু তার পরিচয় পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে পীরগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সরেস চন্দ্র বলেন, ওই যুবক রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা গেছেন। ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
সম্পাদক মণ্ডলীর সভাপতি: প্রফেসর নূর মো. রহমত উল্লাহ। নির্বাহী সম্পাদকঃ ব্যারিস্টার মো. ইমরান খাঁন, ব্যবস্থাপনা সম্পাদক: মো. ওমর ফারুক
ইমেইল: [email protected] মোবাইল: ০১৭৫৪-২২২৫০২
অফিসঃ গ্রামঃ শ্রীমদ্দি(আলোনিয়াকান্দি), পোঃ- হোমনা, উপজেলাঃহোমনা, জেলাঃ কুমিল্লা।
সম্পাদক ও প্রকাশক: মো. ইব্রাহিম খলিল কর্তৃক কুমিল্লা জেলা থেকে সম্পাদিত ও প্রকাশিত।