মো. সাইফুল্লাহ খাঁন, জেলাপ্রতিনিধি, রংপুর : রংপুর মহানগরীর মুলাটোল এলাকার বাসিন্দা অবসরপ্রাপ্ত মহিলা অডিট কর্মকর্তা আরজুমান্দ বানু ওরফে মিনুকে (৭০) পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন তার একমাত্র মেয়ে তানিয়া মাহজাবীন সুমি। আজ বৃহস্পতিবার (১০সেপ্টেম্বর) দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ করেন তিনি । রংপুর রিপোর্টার্স ইউনিটির সদস্যসহ রংপুরের কর্মরত সাংবাদিকবৃন্দ সংবাদ সম্মেলনে অংশ নেন। তানিয়া মাহজাবীন সুমি তার লিখিত বক্তব্যে বলেন, ১৯৮৮ সালে রংপুরের দক্ষিণ মুলাটোল এলাকার বেলায়েত হোসেনের ছেলে এনায়েত হোসেন মোহনের সাথে তার বিয়ে হয়। বিয়ের পর জানতে পারি মোহন একজন মাদকাসক্ত ব্যক্তি। এছাড়াও মোহন আমাকে ও আমার মাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজসহ শারীরিকভাবে নির্যাতন করতেন। আমি প্রতিবাদ করলে এবং নির্যাতনের কথা মাকে জানালে মোহন আমাকে প্রাণনাশের হুমকি দেয়। পরবর্তীতে নিরাপত্তার জন্য আমি গত তিন বছরে ঢাকার বিভিন্ন থানায় একাধিক জিডি করি। চাকুরির সুবাদে এবং বিভিন্ন জায়গায় বদলির কারণে মায়ের একমাত্র সন্তান হয়েও মাকে রংপুরে রেখে ঢাকায় বসবাস করতে হয়েছে।
তিনি আরও জানান, এনায়েত হোসেন মোহন আমার ও সন্তানের জন্য বিপদজনক হওয়ায় ২০১৭ সালের ১১মে আদালতের মাধ্যমে তাকে ডিভোর্স প্রদান করি। ডিভোর্সের পর থেকে মোহন আমার মায়ের সম্পত্তি হাতিয়ে নিতে নানা ফন্দিফিকির করেন। এক পর্যায়ে মোহন আমিসহ আমার মায়ের লাশ গুম করবে বলে হুমকি দেয়। তানিয়া মাহজাবীন সুমি আরও জানান, আমার মা আরজুমান্দ বানু ওরফে মিনু গত ১৯ মে নিজ বাসভবনে নৃশংসভাবে খুন হয় । তার শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ক্ষত ও মাথায় জখম রয়েছে। পুলিশ মায়ের মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায় । ফোনের মাধ্যমে আমি পুলিশের সাথে খুনের বিষয়ে কথা বলি। এছাড়াও পুলিশ খুনের রহস্য উদঘাটনে তদন্ত শুরু করে। পরবর্তীতে মরদেহ হস্তান্তর ও দাফনকার্য সম্পাদনের জন্য আমার নিকটস্থ আত্মীয়'র নাম প্রস্তাব করি। কিন্তু পুলিশ তা না করে আমার ডিভোর্স প্রাপ্ত স্বামী মোহনের কাছে মায়ের মরদেহ হস্তান্তর করে এবং খুনের অভিযোগ করেন। এটি আইন বিরোধী। সুমি আরো অভিযোগ করে বলেন, খুনের ঘটনায় পুলিশ তাৎক্ষণিকভাবে মোহনকে গ্রেফতার করলেও অজ্ঞাত কারণে তাকে ছেড়ে দেয়। পরবর্তীতে আমি রংপুর মেট্রোপলিটন কোতোয়ালি থানায় উপস্থিত হয়ে মায়ের খুনের মামলার এজাহারকারী হতে চাইলে পুলিশ প্রাক্তন স্বামী মাদকাসক্ত এনায়েত হোসেন মোহনকে মামলার এজাহারকারী হিসেবে বহাল রাখেন। কিন্তু অনেক পরিতাপের বিষয় যে, আমার মায়ের খুনের প্রকৃত রহস্য উদঘাটন এবং খুনি ও তার নেপথ্যের নায়কদের আড়াল করতে নানামুখি ফন্দিফিকিরের অপচেষ্টা চালিয়ে আসছে হত্যাকারীরা। তাই রংপুর মেট্রোপলিটন কমিশনারের কাছে আমার জীবনের নিরাপত্তা ও মায়ের হত্যাকারীদের গ্রেফতারপূর্বক দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।
সম্পাদক মণ্ডলীর সভাপতি: প্রফেসর নূর মো. রহমত উল্লাহ। নির্বাহী সম্পাদকঃ ব্যারিস্টার মো. ইমরান খাঁন, ব্যবস্থাপনা সম্পাদক: মো. ওমর ফারুক
ইমেইল: mdibrahimkhalil494@gmail.com মোবাইল: ০১৭৫৪-২২২৫০২
অফিসঃ গ্রামঃ শ্রীমদ্দি(আলোনিয়াকান্দি), পোঃ- হোমনা, উপজেলাঃহোমনা, জেলাঃ কুমিল্লা।
সম্পাদক ও প্রকাশক: মো. ইব্রাহিম খলিল কর্তৃক কুমিল্লা জেলা থেকে সম্পাদিত ও প্রকাশিত।