মো. সাইফুল্লাহ খাঁন,জেলাপ্রতিনিধি, রংপুর>> বাংলাদেশ মেডিক্যাল এন্ড ডেন্টাল কাউন্সিলের (বিএমডিসি) নিবন্ধন ছাড়াই প্রতারণার মাধ্যমে প্রতিবছর শিক্ষার্থী ভর্তি করছে রংপুরের নর্দান প্রাইভেট মেডিক্যাল কলেজ। এতে বিপর্যায়ের মুখে পড়ছে একদল মেধাবী শিক্ষার্থীদের জীবন। বিভিন্ন অনিয়মের কারণে নর্দান প্রাইভেট মেডিকেল কলেজ রংপুর এর বিএমডিসি এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদন বাতিল ও উক্ত মেডিক্যাল কর্তৃক প্রতারণার জেরে বিএমডিসি প্রেসিডেন্ট কর্তৃক আন্দোলনরত শিক্ষার্থীবৃন্দকে প্রদত্ত মাইগ্রেশনের মৌখিক আশ্বাস দ্রুত বাস্তবায়নের দাবিতে মানববন্ধন করেছে প্রতিষ্ঠানটি হতে প্রতারিত হওয়া দেশী ও বিদেশী শিক্ষার্থীরা। আজ মঙ্গলবার বেলা ১২টার দিকে রংপুর প্রেসক্লাব চত্বরে অনুষ্ঠিত এ মানববন্ধন সমাবেশে নেতৃত্ব দেন পঞ্চম বর্ষের শিক্ষার্থী আশরাফুল ইসলাম।
সমাবেশে উপস্থিত শিক্ষার্থীরা বলেন, আমরা নর্দান প্রাইভেট মেডিক্যাল কলেজের ১ম থেকে ৫ম বর্ষ পর্যন্ত এখানে শিক্ষারত ২৫০জন শিক্ষার্থী আজ চরমভাবে প্রতারণার শিকার, ভবিষ্যৎ নিয়ে শঙ্কিত। তারা আরও বলেন, মন্ত্রণালয় থেকে নির্ধারিত ফি’র থেকে অনেক বেশি টাকা আদায় করা হয় শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে। ১৫-২০ লাখ অর্থ ডেভেলপমেন্ট ফি দিয়ে সন্তানদের এখানে ভর্তি করিয়েছে অভিভাবকরা। মাসিক বেতন ৮ থেকে ১০ হাজার টাকা নেওয়া হয়। গরীব ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের বিনামূল্যে শিক্ষার কোটা থাকলেও তাদের কাছ থেকে ১০ থেকে ১২ লাখ টাকা আদায় করা হয়। আজ আমাদের অভিভাবকরা সর্বস্ব হারিয়ে নিঃস্ব।
নর্দান প্রাইভেট মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থী আশরাফুল ইসলাম বলেন, ২০০০ সালে গড়ে উঠা এই মেডিকেল কলেজ মন্ত্রণালয় ও অধিদফতরের কোন শর্ত পূরণ না করায় ২০০৪ সালে কলেজটির কার্যক্রম বন্ধ করা হয়। তারপরও উচ্চ আদালতের নির্দেশনা নিয়ে শিক্ষার্থী ভর্তি শুরু করে কলেজ কর্তৃপক্ষ। এ পর্যন্ত বিএমডিসি’র অনুমোদন নেয়নি। ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্ভুক্ত প্রতিষ্ঠান হিসেবে নিবন্ধিত থাকলেও পরবর্তীতে সেটিও নবায়ন করেনি। এখন মালিক পক্ষ আমাদের জীবন নিয়ে টালবাহানা করছে। বর্তমানে মালিকপক্ষকে মাইগ্রেশন বাস্তবায়নের দাবিতে একাধিকার বার মিটিংয়ে বসার আহবান করা হলেও তাদের সাড়া পাওয়া যায়নি। বরং বর্তমানে শিক্ষার্থী প্রাণ নিয়ে হুমকিতে আছেন, আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ফোন নম্বর ট্রেসিং চলছে, আমরা জীবনের নিরাপত্তা নিয়ে আতঙ্কিত। এদিকে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা তাদের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র বিনাশর্তে ফেরত ও দ্রুত অন্য কোনো বেসরকারি মেডিক্যালে মাইগ্রেশন চেয়ে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করে।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, শিক্ষার্থী আছে কিন্তু শিক্ষক নেই, হাসপাতাল আছে চিকিৎসক ও রোগী নেই। এমনকি অপারেশন থিয়েটার, আইসিইউ ও সিসিইউ নেই। নামমাত্র বিভাগ থাকলেও কোনও বিভাগেরই নেই বিভাগীয় প্রধান, প্রফেসর, সহকারী-সহযোগী অধ্যাপক ও রেজিস্ট্রার। এমনকি বিএমডিসি’র নিবন্ধনও নেই বিশ্ববিদ্যালয়টির।
সম্পাদক মণ্ডলীর সভাপতি: প্রফেসর নূর মো. রহমত উল্লাহ। নির্বাহী সম্পাদকঃ ব্যারিস্টার মো. ইমরান খাঁন, ব্যবস্থাপনা সম্পাদক: মো. ওমর ফারুক
ইমেইল: [email protected] মোবাইল: ০১৭৫৪-২২২৫০২
অফিসঃ গ্রামঃ শ্রীমদ্দি(আলোনিয়াকান্দি), পোঃ- হোমনা, উপজেলাঃহোমনা, জেলাঃ কুমিল্লা।
সম্পাদক ও প্রকাশক: মো. ইব্রাহিম খলিল কর্তৃক কুমিল্লা জেলা থেকে সম্পাদিত ও প্রকাশিত।