চকরিয়া সংবাদদাতা : কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার ডুলাহাজারা ইউনিয়নের মালুমঘাটে ১শত ২০শতক জমির পাকা ধান দুর্বৃত্তরা কেটে নিয়ে গেছে বলে অভিযোগ বর্গাচাষী কবির আহমদের।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, জমির মালিক ডুলাহাজারা ইউপির ৭নং ওয়ার্ডের মৃত হাজী মো. ইসমাইলের পুত্র মাহবুব আলম থেকে ১শত ২০শতক ধানি জমি বর্গাচাষ করার জন্য নেন একই ইউপির ৩নং ওয়ার্ডের চা-বাগান গ্রামের মৃত আব্দু করিমের পুত্র কবির আহমদ।বর্ষার মৌসুমে চাষকৃত জমির পাকা ধান কেটে নিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা। প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন,এলাকার প্রভাবশালী লাঠিয়াল বাহিনী দিয়ে পাকা ধান কেটে নিয়ে যাচ্ছে।কিন্তু এই ধানতো আমাদের গ্রামের কবির আহমদ চাষ করেছিল।কেন এ ধানগুলো পার্বত্য এলাকার লোকে কেটে নিয়ে যাচ্ছে কিছুইতো বুঝলাম না।
জমির বর্গাচাষী মালিক কবির আহমদ বলেন, আমি ১শত ২০শতক জমি বর্ষা মৌসুমের জন্য বর্গা নিয়ে ধান চাষ করি।হঠাৎ লোভের বশীভূত হয়ে পাবর্ত্য লামা উপজেলার ফাসিয়াঁখালী ইউপির ৬নং ওয়ার্ডের পশ্চিম হায়দার নাশী গ্রামের কবির আহমদের স্ত্রী নুর জাহান যে কারো কূ-পরামর্শে নিয়ে বাদী হয়ে চকরিয়া বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে সাজানো একখানা আমার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে,যার মামলা নং-সি.আর-১০৬৫/১৯ইং।মামলাটি চকরিয়া থানাকে তদন্তভার দিয়েছে আদালত।তদন্ত কর্মকর্তা তদন্তে আসার পূর্বে পাকা ধান কেটে তারা ঘরে তুলে নিচ্ছে।কেন আমার চাষকৃত ধান কেটে নিচ্ছে জানতে চাইলে,প্রতি উত্তরে পার্বত্য এলাকার কবির বলে, আমার জমি তাই ধান কেটে নিচ্ছি।এতে আমি বাধাঁ দিতে চাইলে আমাকে খুন করবে কিরিচ দেখিয়ে হুমকি দিলে আমি সরে দাঁড়ািই।কারণ আমি জনবলশূন্য এক নিরীহ ব্যক্তি।তাই আমি আইনের আশ্রয় নেওয়ার পূর্বে এলাকার মেম্বার সর্দার, সচেতন ব্যক্তি ও জমির মালিককে বিষয়টি জানিয়েছি।এছাড়া জমির মালিক আমাকে বর্গাচাষী হিসেবে লিখিত একটি টুকেন দিয়েছেন বিধায় আমি এবিষয়ে আইনের আশ্রয় নিব।
জমির মালিক মাহবুব আলমের সাথে প্রতিবেদক মুঠোফোনে এবিষয় সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন,আমি বর্ষায় এক মৌসুমের জন্য চা-বাগানের কবির আহমদকে নগদ টাকা নিয়ে বর্গা দিয়েছি ১শত ২০শতক জমি।সে চাষ করেছে।এখন শুনছি পার্বত্য এলাকার কবির আহমদ নাকি পাকা ধানগুলো কেটে নিয়ে যাচ্ছে।আমিতো পার্বত্য এলাকার কাউকে জমি লাগিয়াত করিনি।কেন সে ধান কাটবে? তাই আমি চা-বাগানের কবিরকে চাষা হিসেবে লিখিত একটি টুকেন দিয়েছি। তবে লাগিয়াত করার সময় চা-বাগানের কবির অর্থ্যাৎ আমার বর্গাচাষীর সাথে সঙ্গী হিসেবে পাবর্ত্য এলাকার কবিরও আমার কাছে আসছিল।তবে তার সাথে আমার কোন কথা বার্তা হয়নি।সুতরাং সে যদি আমার বর্গাচাষী দাবি করে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট বলে জানান জমির মালিক মাহবুব।
সম্পাদক মণ্ডলীর সভাপতি: প্রফেসর নূর মো. রহমত উল্লাহ। নির্বাহী সম্পাদকঃ ব্যারিস্টার মো. ইমরান খাঁন, ব্যবস্থাপনা সম্পাদক: মো. ওমর ফারুক
ইমেইল: mdibrahimkhalil494@gmail.com মোবাইল: ০১৭৫৪-২২২৫০২
অফিসঃ গ্রামঃ শ্রীমদ্দি(আলোনিয়াকান্দি), পোঃ- হোমনা, উপজেলাঃহোমনা, জেলাঃ কুমিল্লা।
সম্পাদক ও প্রকাশক: মো. ইব্রাহিম খলিল কর্তৃক কুমিল্লা জেলা থেকে সম্পাদিত ও প্রকাশিত।