ক্রাইম পেট্রোল ডেস্কঃ

মাদারীপুরে ইজিবাইকের গতিরোধ করে ৯ম শ্রেণির এক শিক্ষার্থীকে তুলে নিয়ে গ'ণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে ব'খাটেদের বিরুদ্ধে। গু'রুতর অবস্থায় ওই মেয়েটিকে জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয় ।

এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করেছেন স্বজন ও এলাকাবাসী। এরই মধ্যে অভিযুক্তদের গ্রেফতার করতে কাজ শুরু করেছে পুলিশ।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বছরের প্রথম দিন শ্রেণিকক্ষে পাঠদান করার কথা থাকলেও ভাগ্যের নির্মম পরিহাসে হাসপাতালের বিছানায় কাতরাচ্ছে ১৩ বছরের মেয়েটি।

স্বজনদের অভিযোগ, মাদারীপুর সদর উপজেলার একটি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণির বার্ষিক পরীক্ষার ফলাফল প্রদান করা হয়। ১৩ বছরের মেয়েটি পরীক্ষায় ওই বিদ্যালয় থেকে উত্তীর্ণ হলে শনিবার বিকালে মিষ্টি নিয়ে ইজিবাইকযোগে নিজবাড়ি থেকে শাখারপাড় নানার বাড়িতে যাচ্ছিল। মাঝপথে অপর একটি ইজিবাইকে এসে রাব্বি ও হাসান নামে দুই ব'খাটে মেয়েটির ইজিবাইকের গতিরোধ করে।পরে জোরপূর্বক ওই তাকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয় পাশের কবিরাজপুরের একটি নির্জন স্থানে। এরপর রাব্বি ও হাসান পা'লাক্রমে ধ'র্ষণ করে বলে অভিযোগ নির্যাতিতার। গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে পালিয়ে যায় ব'খাটেরা।
অনেক খোঁজাখুঁজির পর একজন ভ্যানচালকের সহযোগিতায় রাত সাড়ে ১১টার দিকে স্বজনরা মেয়েটিকে ভর্তি করেন জেলা সদর হাসপাতালে। এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করেছেন স্বজন ও এলাকাবাসী। এদিকে ঘটনার পর পলাতক রয়েছে অভিযুক্ত রাব্বি ও হাসান।

নি'র্যাতিতার মা বলেন, 'আমার স্বামী ঘটনা শোনার পর হৃদক্রিয়া বন্ধ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। একই সঙ্গে দুটি ঘটনা মেনে নিতে পারছি না। এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই।'

প্রতিবেশীরা জানান, 'অভিযুক্তদের এমন বিচার চাই, যাতে ভবিষ্যতে এমন জঘন্য কাজ অন্য কেউ করতে সাহস না পায়।'

মাদারীপুর জেলা সদর হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. শাওলীন আফরোজা জানান, 'মেয়েটির অবস্থা গু'রুতর। তার শরীরে প্রচুর র'ক্তপাত হয়েছে। এখনও চিকিৎসা চলছে।'

মাদারীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. আলাউল হাসান জানান, 'এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এরই মধ্যে ঘটনাস্থল ও হাসপাতাল দুই স্থানেই পুলিশ গিয়েছিল। প্রথমে মেয়েটির চিকিৎসা দরকার। শিক্ষার্থীর পরিবার অভিযোগ দিলে মামলা রেকর্ড করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'