ক্রাইম পেট্রোল ডেস্ক:
ফরিদপুরের মধুখালীতে প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর নির্মাণে জমির মালিকানা নিয়ে বিরোধের জেরে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আশিকুর রহমান চৌধুরীসহ ৮ জন আ'হত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (৪ মে,২০২৩ খ্রি.) দুপুর দেড়টার দিকে উপজেলার ডুমাইন ইউনিয়নের নিশ্চিন্তপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, নিশ্চিন্তপুর গ্রামে আশ্রয়ণ প্রকল্প করার জন্য একটি জায়গা দেখা হয়। জায়গাটি বিএস রেকর্ডে সরকারি খাস জমি হলেও এসএ রেকর্ডে ব্যক্তি মালিকানাধীন জমি। এ নিয়ে এলাকাবাসীর সঙ্গে স্থানীয় প্রশাসনের বিরোধ ছিল। বৃহস্পতিবার দুপুরে এলাকাবাসী ওই জমির মালিকানা তাদের নিজেদের দাবি করে আশ্রয়ণ প্রকল্পের বিরুদ্ধে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করছিলেন। এসময় খবর পেয়ে ইউএনও আনসার ও পুলিশ সদস্যদের নিয়ে সেখানে যান। আনসার সদস্যরা নারীদের কাছ থেকে মানববন্ধনের ব্যানার কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। এ সময় নারীদের সঙ্গে তাদের ধ'স্তাধস্তি হয়। আনসার সদস্যরা রাইফেলের বাট দিয়ে কয়েকজন নারীকে আ'ঘাত করেন।
পরে মাইকে ঘোষণা দিলে এলাকাবাসী ঘটনাস্থলে এসে হামলা চালায়। এতে ইউএনওসহ কয়েকজন আনসার সদস্য আ'হত হন। এসময় ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী ইউএনও'র গাড়ি ভা'ঙচুর করে। পরে পুলিশ ও স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
ডুমাইন ইউপি চেয়ারম্যান শাহ্ আসাদুজ্জামান তপন বলেন, 'ইউএনও সাহেবের ফোন পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা করি।'
সহকারী পুলিশ সুপার (মধুখালী সার্কেল) সুমন কর বলেন, 'পুলিশের একটি টহল দল ঘটনাস্থলের কাছাকাছি থাকায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা সহজ হয়। পরে জেলা প্রশাসক কামরুল আহসান তালুকদার ঘটনাস্থলে আসেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আশিকুর রহমান চৌধুরী বলেন, 'আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর নির্মাণের বিষয়ে স্থানীয় জমির মালিকদের সঙ্গে আলোচনা করি গত দুই মাস যাবৎ। কিছু জমি এসএ রেকর্ডে ব্যক্তি মালিকানায় থাকায় ওই জমিগুলো বাদ দিয়ে সরকারি খাস জমিতে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর নির্মাণের উদ্যোগ নেই। নির্মাণ কাজের জন্য সেখানে একটি ছোট ঘর তৈরি করা হয়। সে ঘরটি ভে'ঙে ফেলেছে শুনে আনসার ও পুলিশ সদস্যদের নিয়ে ওই এলাকায় যাই। সেখানে গেলে তারা হা'মলা চালায় ও গাড়ি ভা'ঙচুর করে।'
ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক মো. কামরুল আহসান তালুকদার জানান, 'ইউএনও'র বাম চোখে আ'ঘাত লেগেছে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসার জন্য নেওয়া হয়েছে। জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে পুলিশ সুপারকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।'
সম্পাদক মণ্ডলীর সভাপতি: প্রফেসর নূর মো. রহমত উল্লাহ। নির্বাহী সম্পাদকঃ ব্যারিস্টার মো. ইমরান খাঁন, ব্যবস্থাপনা সম্পাদক: মো. ওমর ফারুক
ইমেইল: [email protected] মোবাইল: ০১৭৫৪-২২২৫০২
অফিসঃ গ্রামঃ শ্রীমদ্দি(আলোনিয়াকান্দি), পোঃ- হোমনা, উপজেলাঃহোমনা, জেলাঃ কুমিল্লা।
সম্পাদক ও প্রকাশক: মো. ইব্রাহিম খলিল কর্তৃক কুমিল্লা জেলা থেকে সম্পাদিত ও প্রকাশিত।