মো. সাইফুল্লাহ খাঁন, জেলাপ্রতিনিধি, রংপুর : রংপুরে করোনা সংক্রমণ রোধে ‘জনউদ্বুদ্ধকরণ ক্যাম্পেইন’ শুরু করেছে স্বাস্থ্য বিভাগ। তিন দিনব্যাপী ক্যাম্পেইনে বিভাগের আট জেলায় ভারতীয় ভ্যারিয়েন্টের বিস্তার রোধসহ সঠিক নিয়মে মাস্ক পরিধান, স্বাস্থ্যবিধি মানা ও স্বাস্থ্য সচেতনতা সৃষ্টিতে দুই হাজার ৩৪০টি পথসভার আয়োজন করা হয়েছে। সোমবার (১৭ মে) দুপুরে রংপুর বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক কার্যালয়ের সম্মুখে ‘জনউদ্বুদ্ধকরণ ক্যাম্পেইন’ কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন সিটি করপোরেশনের মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা।

উদ্বোধনকালে মেয়র মোস্তফা বলেন, আমাদের উদাসীনতার কারণে করোনার ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। সরকার চেষ্টা করছে করোনায় মানুষের প্রাণহানি ও আক্রান্ত রোধ করতে। কিন্তু জনসাধারণ করোনার ভীতি ভুলে যেভাবে চলাফেরা করছে তা ভয়ঙ্কর পরিস্থিতির ইঙ্গিত দিচ্ছে। এ পরিস্থিতিতে রংপুরকে নিরাপদ রাখতে আমরা ক্যাম্পেইন শুরু করছি। সবার মধ্যে স্বাস্থ্যসচেতনতা বাড়ানোসহ করণীয় সম্পর্কে অবগত করা হবে।

মেয়র আরও বলেন, বর্তমানে রংপুরে করোনায় আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা সহনীয় পর্যায়ে রয়েছে। কিন্তু রংপুর বিভাগে ভারতীয় সীমান্ত ও স্থলবন্দর থাকায় আমরা নিরাপদ নই। এখন আমাদের সাবধান হতে হবে। সরকারি নির্দেশনা অনুসরণ করে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। ভারতের দিকে তাকিয়ে দেখেন, করোনা নিয়ে অবহেলা করার সুযোগ নেই।

বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. আহাদ আলী বলেন, সরকারের কঠোর বিধি-নিষেধের সুফল হিসেবে করোনায় আক্রান্তের হার এখন নিম্নমুখী। এ সফলতা ক্রামাগত ধরে রাখা বড় চ্যালেঞ্জ। এখন আক্রান্তের হার ৫% এর নিচে বা শূন্যে নামিয়ে আনতে ব্যাপক জনউদ্বুদ্ধকরণ ক্যাম্পেইন আবশ্যক। ভারতের ভ্যারিয়েন্ট মারাত্মক ক্ষতিকর ও রংপুর বিভাগে ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা বেশি। করোনা প্রতিরোধে এ মুহূর্তে মাস্ক পরা ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার বিকল্প নেই।

তিনি আরও বলেন, ক্যাম্পেইনে রংপুর সিটি করপোরেশনে চারটি, বিভাগের আট জেলা সদরে ১৬টি, ৫৮ উপজেলা সদরে একটি করে মোট ৭৮টি টিম প্রতিদিন ১০টি করে সচেতনতামূলক পথসভা করবে। জনউদ্বুদ্ধকরণ পথসভা শেষে প্রতিটি এলাকায় করা হবে মাইকিং। তিনদিনে মোট ২ হাজার ৩৪০ পথসভায় স্বাস্থ্য বিভাগের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ছাড়াও স্বাস্থ্যকর্মীরা অংশ নেবেন। উদ্বোধনী কার্যক্রমে করোনা প্রতিরোধে জনউদ্বুদ্ধকরণ ক্যাম্পেইন কমিটির আহ্বায়ক ও রংপুর জেলা সিভিল সার্জন ডা. হিরম্ব কুমার রায়, রংপুর বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক জওয়াহেরুল আনাম সিদ্দিকী, রংপুর সিটি করপোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. কামরুজ্জামান তাজসহ স্বাস্থ্য বিভাগ, সিটি করপোরেশন ও সিভিল সার্জন কার্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।