দিলীপ কুমার দাস, জেলা প্রতিনিধি ( ময়মনসিংহ )>>
কিশোরগঞ্জের বাজিতপুরে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে মাইকে ঘোষণা দিয়ে দুই গ্রামের লোকজনের মধ্যে ‘রক্তক্ষয়ী’ ‘সংঘর্ষে’ মো. শফি মিয়া (৪৫) নামে একজন ‘নিহত’ হয়েছে। এ ঘটনায় শতাধিক মানুষ ‘আহত’ হয়েছেন।
শুত্রুবার (১৯ নভেম্বর) সকালে উপজেলার কৈলাগ ইউনিয়নের পূর্ব কৈলাগ ও রাহেলা গ্রামের বিবদমান দুই পক্ষের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনাটি ঘটে। নিহত মো. শফি মিয়া পূর্ব কৈলাগ গ্রামের মৃত আব্দুর রহিমের ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, পূর্ব কৈলাগের আলমগীর মেম্বার ও রাহেলা গ্রামের রঙ্গু মিয়ার মধ্যে পূর্ব শুত্রুতার জের ধরে গত বৃহস্পতিবার (১৮ নভেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে পাঁচটা থেকে রাত সাড়ে নয়টা পর্যন্ত টানা চার ঘন্টাব্যাপী সংঘর্ষ চলে।খবর পেয়ে বাজিতপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মাজাহারুল ইসলামের নেতৃত্বে ৩০/৩৫ জন পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।এ ঘটনার জের ধরে শুক্রবার (১৯ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ছয়টা থেকে সাড়ে নয়টা পর্যন্ত মাইকে ঘোষণা দিয়ে দুই পক্ষ ‘রক্তক্ষয়ী’ ‘সংঘর্ষে’ লিপ্ত হয়। এতে বল্লমের ‘আঘাতে’ মো. শফি মিয়া মারাত্মক ‘আহত’ হলে তাকে বাজিতপুর জহুরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।এছাড়া ‘সংঘর্ষে’ ‘আহত’ হন শতাধিক মানুষ। তাদের মধ্যে মারাত্মক ‘জখমি’ মস্তু মিয়া (৪৬) সালমান (২৫) ও ইমরান (২৬) কে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
বাজিতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও জহুরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয় অন্তত ৩০ জনকে। বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়।‘সংঘর্ষের’ সময় ‘ভাঙচুর’ করা হয় ৭০/৮০টি ঘর।পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ১০ রাউন্ড টিয়ারগ্যাস ছুঁড়ে।বর্তমানে এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।
এই বিষয়ে বাজিতপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মাজাহারুল ইসলাম জানান, নিহতের ‘লাশ’ কিশোরগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতাল মর্গে ময়না তদন্তের জন্য প্রেরণ করা হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
সম্পাদক মণ্ডলীর সভাপতি: প্রফেসর নূর মো. রহমত উল্লাহ। নির্বাহী সম্পাদকঃ ব্যারিস্টার মো. ইমরান খাঁন, ব্যবস্থাপনা সম্পাদক: মো. ওমর ফারুক
ইমেইল: [email protected] মোবাইল: ০১৭৫৪-২২২৫০২
অফিসঃ গ্রামঃ শ্রীমদ্দি(আলোনিয়াকান্দি), পোঃ- হোমনা, উপজেলাঃহোমনা, জেলাঃ কুমিল্লা।
সম্পাদক ও প্রকাশক: মো. ইব্রাহিম খলিল কর্তৃক কুমিল্লা জেলা থেকে সম্পাদিত ও প্রকাশিত।