ক্রাইম পেট্রোল ডেস্কঃ একটি সফল অভিযান চালিয়েছে বগুড়ার সিআইডি। সেনাবাহিনীর সৈনিক পদে চাকরির ভুয়া নিয়োগ দেওয়া প্রতারক সিন্ডিকেটের মূলহোতাকে গ্রেফতার করেছে। এ সময় প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত ৩টি মোবাইল ফোন আলামত হিসেবে জব্দ করা হয়। শুক্রবার (২৯ জানুয়ারি) ভোররাতে গাইবান্ধা জেলার সাঘাটা থানা এলাকার জুম্মারবাড়ী গ্রাম থেকে শাহিন ওরফে শফিক (৩২) নামের এই প্রতারককে গ্রেফতার করে। সে পঞ্চগড় জেলার দেবীগঞ্জ আলিয়ার-খাঁ গ্রামের আজিজার রহমানের ছেলে। গ্রেফতার আসামিকে শুক্রবার বগুড়ার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে-৪ এ হাজির করে সিআইডি। বিচারক মোছা. আসমা মাহমুদ এর আদালতে ফৌজদারী কার্যবিধি আইনের ১৬৪ ধারায় মামলার সকল তথ্য প্রকাশ করে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে প্রতারক সিন্ডিকেটের মূলহোতা শাহিন ওরফে শফিক।
বগুড়া সিআইডির সহকারী পুলিশ সুপার মো. হাসান শামীম ইকবাল জানান, সেনাবাহিনীর সৈনিক পদে চাকরি দেওয়ার কথা বলে বগুড়ার গাবতলী থানা এলাকার বাহাদুরপুর গ্রামের সোলায়মান আকন্দের ছেলে রাসেল মিয়ার কাছ থেকে ২০১৯ সালের অক্টোবর মাসের বিভিন্ন সময় পর্যায়ক্রমে নগদ এবং বিকাশের মাধ্যমে মোট ৭ লাখ ৩০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয় একটি পেশাদার প্রতারক সিন্ডিকেট। পরে ভুয়া নিয়োগপত্রও প্রদান করে। নিয়োগপত্র পেয়ে রাসেল মিয়া ঢাকা সেনানিবাসে যোগদান করতে গিয়ে জানতে পারে তার নিয়োগপত্র সঠিক না (ভুয়া)। টাকা হাতিয়ে নেওয়া প্রতারক সিন্ডিকেটের সক্রিয় সদস্য শাহিন ওরফে শফিক সহ আরো কয়েকজন প্রতারক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে গা ঢাকা দেয়।
সিআইডির সহকারী পুলিশ সুপার জানান, ভুক্তভোগী রাসেল মিয়ার বড়ভাই আমিরুল ইসলাম বাদী হয়ে ২০১৯ সালের ৪ নভেম্বর বগুড়া সদর থানায় মামলা (নং ১৭) দায়ের করেন। ২২ নভেম্বর মামলার তদন্তভার গ্রহণ করে সিআইডি।
মামলার তদন্তকারী অফিসার বগুড়া সিআইডির পুলিশ পরিদর্শক এটিএম শিফাতুল মাজদার জানান, বিশেষ পুলিশ সুপার মোহাম্মদ কাউছার সিকদারের প্রত্যক্ষ দিকনির্দেশনায় তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহারসহ বিজ্ঞানভিত্তিক তদন্ত করে মামলার অন্যতম প্রধান আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
সম্পাদক মণ্ডলীর সভাপতি: প্রফেসর নূর মো. রহমত উল্লাহ। নির্বাহী সম্পাদকঃ ব্যারিস্টার মো. ইমরান খাঁন, ব্যবস্থাপনা সম্পাদক: মো. ওমর ফারুক
ইমেইল: [email protected] মোবাইল: ০১৭৫৪-২২২৫০২
অফিসঃ গ্রামঃ শ্রীমদ্দি(আলোনিয়াকান্দি), পোঃ- হোমনা, উপজেলাঃহোমনা, জেলাঃ কুমিল্লা।
সম্পাদক ও প্রকাশক: মো. ইব্রাহিম খলিল কর্তৃক কুমিল্লা জেলা থেকে সম্পাদিত ও প্রকাশিত।