মো. সাইফুল্লাহ খাঁন, জেলাপ্রতিনিধি, রংপুর : রংপুর সিটি কর্পোরেশনের ২৩ নং ওয়ার্ডের নিউ জুম্মাপাড়া পাকার মাথা এলাকার বাসিন্দা রিকশাচালক রেজাউল ইসলাম এর ছেলে রাশেদ (১৫) শারীরিক ও মানসিক প্রতিবন্ধী। একটু আধটু কথা বলতে পারে, ঠিকমত হাঁটতে পারে না। স্থানীয় জনপ্রতিনিধির সহায়তায় পেয়েছে প্রতিবন্ধী কার্ড। গত দুই মাস থেকে রাশেদের সার্বিক অবস্থার চরম অবনতি হতে শুরু করেছে। সে নিজের শরীরে ভয়ানকভাবে কামড়াচ্ছে আর এভাবে প্রতিনিয়ত নিজেকে রক্তাক্ত করার মধ্য দিয়ে তার শরীরের বিভিন্ন অংশে ক্ষত বেড়েছে। এছাড়াও সামনে যা পাচ্ছে তা দিয়ে শরীরে অসহ্য আঘাত করছে। অন্যরাও রেহাই পাচ্ছে না তার কবল থেকে। পরিবার ও আশপাশের কেউ কাছে ভিড়তে পারছে না ভয়ে। রাশেদ এর মানসিক অবস্থা এখন যেন আগ্রাসী রূপ ধারণ করেছে যা তার শরীরের ভয়ঙ্কর প্রভাব ফেলছে। বর্তমানে তাকে একটি ঘরে তালাবন্ধ করে রেখেছে তার পরিবার। অর্থের অভাবে অসহায় এই প্রতিবন্ধীর চিকিৎসা বন্ধ রয়েছে। সম্প্রতি রাশেদকে রংপুর মেডিক্যালের মানসিক রোগ বিশেষজ্ঞ ডাক্তার দেখানো হয়েছে। ডাক্তার বলেছেন, ওর চিকিৎসা অত্যন্ত ব্যয়বহুল। ৭/৮টি টেস্ট দিয়েছে, পুষ্টিকর খাবার খাওয়াতেও বলেছে।
রাশেদের বাবা রেজাউল ইসলাম বলেন, করোনা আসার আগে টাউন হলের সামনে ফুটপাতে ছোট্ট চায়ের দোকান করতাম। সিটি কর্পোরেশনের উচ্ছেদ অভিযানে বেকার ও নিরূপায় হয়েও অতিকষ্টে পরিবার চালাচ্ছি। মাস ছয়েক থেকে ভাড়ায় অটোরিকশা চালিয়ে বর্তমানে পরিবারের ৪ সদস্যের খাবার রোজগার করা কষ্টকর হয়ে দাঁড়িয়েছে। রাশেদের চিকিৎসা জন্ম থেকেই চলছে। বর্তমানে মাথা গোঁজার ঠাঁইটুকু ছাড়া কিছুই নেই। চিকিৎসা করার ক্ষমতা ও সাহস কোনটাই পাচ্ছি না।
রাশেদের মা রওশন আরা বেগম কান্না বিজড়িত কণ্ঠে বলেন, খেয়ে না খেয়ে কোনো রকম সংসার চলছে। কারও কাছে জীবনে হাত পাতিনি, সন্তানের এই দুর্দিনে চিকিৎসা করাতে পারছি না। চিকিৎসা ছাড়া ছেলেকে বাঁচানো সম্ভব নয়। তাই এ দেশের দায়িত্বশীল, সমাজসেবক ও হৃদয়বানদের প্রতি অনুরোধ আমার এই প্রতিবন্ধী সন্তানকে বাঁচাতে এগিয়ে আসুন। (যোগাযোগ করুন : ০১৮৭৯-৯৫১০৮৮ )
সম্পাদক মণ্ডলীর সভাপতি: প্রফেসর নূর মো. রহমত উল্লাহ। নির্বাহী সম্পাদকঃ ব্যারিস্টার মো. ইমরান খাঁন, ব্যবস্থাপনা সম্পাদক: মো. ওমর ফারুক
ইমেইল: [email protected] মোবাইল: ০১৭৫৪-২২২৫০২
অফিসঃ গ্রামঃ শ্রীমদ্দি(আলোনিয়াকান্দি), পোঃ- হোমনা, উপজেলাঃহোমনা, জেলাঃ কুমিল্লা।
সম্পাদক ও প্রকাশক: মো. ইব্রাহিম খলিল কর্তৃক কুমিল্লা জেলা থেকে সম্পাদিত ও প্রকাশিত।