আল মাসুদ, পঞ্চগড় জেলা প্রতিনিধিঃ
পঞ্চগড় সদর উপজেলার দেওয়ান হাট দ্বি-মূখী উচ্চ বিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষার্থীর উপবৃত্তির তালিকায় নাম থেকেও টাকা না পেয়ে তার খোঁজে পুলিশ সুপারের বরাবরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে শিক্ষার্থীদের পক্ষে শিমু আক্তার নামে এক এসএসসি’র ছাত্রী।
বাদ পড়া শিক্ষার্থীরা জানান, উপবৃত্তির নামের তালিকায় আমাদের নাম থাকলেও কে বা কাহারা মোবাইল নম্বর পরিবর্তন করে টাকা তুলছে। আমরা এ বছর একবারও উপবৃত্তির টাকা পাই নি।
শিক্ষার্থীরা উপবৃত্তির টাকা না পেয়ে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে জানালে কর্তৃপক্ষ অনুসন্ধান করে দেখে বিকাশ এজেন্টের কর্মীরা শিক্ষার্থীদের মোবাইল নম্বরের পরিবর্তে নিজেদের মোবাইল নম্বর দিয়ে তাদের সঙ্গে প্রতারণা করেছে।
মোলানী পাড়া গ্রামের আব্বাস আলী বলেন, ‘আমার মেয়ে আফরোজার নামে বিকাশ একাউন্ট হয়। কিন্তু টাকা পায় না, টাকা অন্য নম্বরে চলে যায়। আমি এই প্রতারণার বিচার চাই।’
পঞ্চগড়ে ডায়না টেক হাউজ (বিকাশ) অফিসে তৎকালীন বিকাশের খণ্ডকালীন কর্মীদের কোন তথ্য দিতে পারেন নি। শিক্ষার্থীদের মোবাইল নম্বর পরিবর্তন করে যে নম্বর দেয়া হয়েছে তাতে তৎকালীন দুইজন বিকাশ কর্মীর আসাদ ও আলিম নাম পাওয়া গেছে। বিকাশ অফিসের এক কর্মকর্তা জানান, এমন দু-একটা সমস্যা ছিল।
দেওয়ান হাট দ্বি-মুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি কাগজপত্র প্রধান শিক্ষক যাচাই- বাছাই না করে উপবৃত্তির জন্য বিকাশ অফিসে জমা করায় শিক্ষার্থীরা উপবৃত্তি থেকে বঞ্চিত হয়েছে।
প্রধান শিক্ষক অশোক কুমার দত্ত বলেন, ‘আমরা বিকাশ একাউন্ট করি নি। ছাত্রীদের একাউন্ট নিবন্ধনে বিকাশ কর্মীরা প্রতারণা করেছে। শিক্ষার্থীদের মোবাইল নম্বরের পরিবর্তে তাদের মোবাইল নম্বর ব্যবহার করেছে।’
শিক্ষার্থীরা উপবৃত্তি হতে বঞ্চিত হওয়ায় কোন ব্যবস্থা নিলেন না কেন- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমি কেন ব্যবস্থা নিব। এটা আমার কাজ না।’
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো. সাইফুল ইসলাম প্রামাণিক বলেন, ‘শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান যদি লিখিতভাবে জানান, তাহলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
পঞ্চগড়ের ডায়না টেক হাউজের (বিকাশ) ম্যানেজার মাহাবুবুর রহমান বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের একাউন্ট নিবন্ধন করে একটা তালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে দেওয়া হয়, তিনি যাচাই-বাছাই করে সাক্ষর করে আমাদের দেন। সেখানে কে কী করল আমরা কীভাবে বুঝব।’
পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ইউসুফ আলী এ বিষয়ে বলেন, ‘শিক্ষার্থীর উপবৃত্তির বিষয়টা জেলা প্রশাসক দেখেন, ঠিকমত শিক্ষার্থী টাকা পেল কিনা । অভিযোগটা সেখানেই দিতে পারলে ভাল হত। যেহেতু অভিযোগ দিয়ে ফেলেছে, অবশ্যই আমরা বিষয়টা দেখব।’
সম্পাদক মণ্ডলীর সভাপতি: প্রফেসর নূর মো. রহমত উল্লাহ। নির্বাহী সম্পাদকঃ ব্যারিস্টার মো. ইমরান খাঁন, ব্যবস্থাপনা সম্পাদক: মো. ওমর ফারুক
ইমেইল: [email protected] মোবাইল: ০১৭৫৪-২২২৫০২
অফিসঃ গ্রামঃ শ্রীমদ্দি(আলোনিয়াকান্দি), পোঃ- হোমনা, উপজেলাঃহোমনা, জেলাঃ কুমিল্লা।
সম্পাদক ও প্রকাশক: মো. ইব্রাহিম খলিল কর্তৃক কুমিল্লা জেলা থেকে সম্পাদিত ও প্রকাশিত।