প্রতীকী ছবি
ক্রাইম পেট্রোল ডেস্ক>> নোয়াখালীতে থানা বেষ্টনীর মধ্যেই ২৩ বছর বয়সী তরুণীকে ধ-র্ষ-ণে-র অভিযোগ উঠেছে ট্রাফিক পুলিশের এক সদস্যের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের পর অভিযুক্ত ওই পুলিশ কনস্টেবলসহ ৪ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলার মাদলা গ্রামের আব্দুল ওহাবের ছেলে ও নোয়াখালী জেলার সদর ট্রাফিক পুলিশের কনস্টেবল (কং/২৬৪) মকবুল হোসেন (৩২), বেগমগঞ্জ উপজেলার নাজিরপুর গ্রামের মৃত আমান উল্যার ছেলে সিএনজিচালক মো. কামরুল (২৫), সদর উপজেলার দাদপুর গ্রামের মৃত মফিজ উল্যার ছেলে আবদুল মান্নান (৪৯), বেগমগঞ্জ উপজেলার অনন্তপুর গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে নুর হোসেন কালু (৩০)।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সুধারাম মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশন) মিজানুর রহমান পাঠান জানান, বৃহস্পতিবার দুপুরে ভিকটিম ঢাকা থেকে ব্যক্তিগত কাজে নোয়াখালী জেলা শহর মাইজদীতে আসেন। জেলা শহরে অবস্থানকালে তার টাকা-পয়সার সংকট দেখা দিলে ভিকটিম তার পূর্বপরিচিত সিএনজি চালক মো. কামরুলের সঙ্গে দেখা করেন। একপর্যায়ে কামরুল এবং তার দুই সহযোগী আবদুল মান্নান ও নুর হোসেন কালু ভিকটিমকে সদর ট্রাফিক পুলিশের কনস্টেবল (মুন্সি) মকবুল হোসেনের কাছে নিয়ে যায়। এ সময় তাদের সহযোগিতায় মুন্সি মকবুল হোসেন ভিকটিমকে ট্রাফিক পুলিশের বাবুর্চি আবুল কালামের রুমে নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। ঘটনার পরপরই ভিকটিম পাশের সুধারাম থানা পুলিশকে বিষয়টি অবগত করেন।
এদিকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের গাইনি ওয়ার্ডে পুলিশ পাহারায় ভর্তি থাকা ভিকটিম বলেন, ধ-র্ষি-ত হওয়ার পরও দুই দিন ধরে আমি পুলিশ কর্তৃক নির্যাতিত হচ্ছি এবং আমাকে শুক্রবার মেডিকেল টেস্ট করানোর চেষ্টা করা হয়েছিল। আমি বলেছি ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে জবানবন্দি দেওয়ার আগে কোনো মেডিকেল টেস্ট করাব না। কারণ এখানে আমার জীবনের নিরাপত্তা নাই।
সুধারাম মডেল থানার ওসি মো. সাহেদ উদ্দিন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এ ঘটনায় ভিকটিমের মা বাদী হয়ে ৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন। মামলার ৪ আসামিকেই গ্রেফতারের পর আদালতে পাঠানো হয়েছে। নোয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভিকটিমের শারীরিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে।
সম্পাদক মণ্ডলীর সভাপতি: প্রফেসর নূর মো. রহমত উল্লাহ। নির্বাহী সম্পাদকঃ মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন, উপ-সম্পাদক : মুন্সী নাজমুল হোসেন
ইমেইল: mdibrahimkhalil494@gmail.com মোবাইল: ০১৭৫৪-২২২৫০২
অফিস : শ্রীমদ্দি মোড়ের বাজার, হোমনা, কুমিল্লা।
সম্পাদক ও প্রকাশক: মো. ইব্রাহিম খলিল কর্তৃক কুমিল্লা জেলা থেকে সম্পাদিত ও প্রকাশিত।