আনিছুর রহমান মানিক, ডোমার (নীলফামারী) প্রতিনিধি>>
নীলফামারী থানা পুলিশের সহায়তায় চিকিৎসা সেবা পেয়ে প্রসূতি মা ও নবজাতক শিশু এখন সুস্থ। পুলিশের এ ধরনের ভাল কাজের জন্য সাধুবাদ জানিয়েছেন এলাকার সচেতন মহল।
থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ২৫ আগস্ট গভীর রাতে জেলার সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মাহমুদ উন নবী’র নেতৃত্বে এসআই আরমান, বাকিনুরসহ সঙ্গীয় ফোর্স বিশেষ অভিযান পরিচালনা কালে শহরের গাছবাড়ি এলাকায় রাস্তার পাশে বসে একজন মহিলার আহাজারির শব্দ শুনে গাড়ী দাঁড় করায়। কাছে গিয়ে দেখতে পায় প্রসব বেদনায় কাতরাচ্ছেন এক প্রসূতি মা মিম আক্তার (২০)। রাত তখন ৩টা, এতো রাতে নেই কোন যানবাহন, স্ত্রীর প্রসববেদনায় স্বামী মিজানুর রহমান তখন দিশেহারা। রোগীর অবস্থা বেগতিক দেখে তাৎক্ষণিকভাবে প্রসূতি মা মিম ও তার স্বামী মিজানুরকে টহলরত পুলিশের গাড়ীতে তুলে নিয়ে হাজীগঞ্জ মাহবুবা মেমোরিয়াল হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে ডাক্তারের সাথে কথা বলে রক্ত লাগবে বলে জানান। তাৎক্ষণিক ভাবে পুলিশ সদস্যরা ২ ব্যাগ রক্ত জোগাড় করে। ভোর রাত্রী পর্যন্ত পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মাহমুদ উন-নবীসহ সকল পুলিশ প্রসূতির সিজার শেষ না হওয়া পর্যন্ত হাসপাতালে অবস্থান করেন। এরই মধ্যে সিজারিয়ান অপারেশনের মাধ্যমে জন্ম নেয় ফুটফুটে চাঁদের মতো সুন্দর একটি পুত্র সন্তান। বর্তমানে মা ও নবজাতক দুজনই সুস্থ আছেন। মধ্যরাত থেকে শুরু করে ভোর রাত পর্যন্ত পুলিশের বিশেষ এই সেবায় কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন নবজাতকের বাবা মিজানুর রহমান। তিনি জানান, ওই দিন বিভিন্ন হাসপাতালে খোঁজ নিয়ে রাতে সিজারের ব্যবস্থা করতে পারিনি বাড়ি ফিরে যাচ্ছি। কিন্তু ততক্ষণে অনেক রাত এক পর্যায়ে গাছবাড়ি এলাকায় অবস্থান নেই। কিন্তু কোনো যানবাহন ছিল না। হঠাৎ করে আমার স্ত্রীর প্রসব বেদনা ওঠে। আমি তো কি করবো ভেবে উঠতে পারছিলাম না। আমার স্ত্রীর চিৎকার শুনে গাড়ী দায় করেন পুলিশ ভাইয়েরা। তাদের সহযোগিতায় আজ আমি ফুটফুটে পুত্র সন্তানের জনক হলাম। আমি চির কৃতজ্ঞ পুলিশ ভাইদের প্রতি।
পরদিন বিকালে হাসপাতালে গিয়ে মা ও নবজাতককে দেখে আসে পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মাহমুদ উন নবীসহ থানা পুলিশের একটি টিম।
পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মাহমুদ উন নবী জানান, রাতে ডিউটি করার সময় হঠাৎ নারী কন্ঠের চিৎকার শুনতে পাই। তাৎক্ষণিক ভাবে আমরা রোগীকে হাসপাতালে ভর্তি করিয়ে সব ব্যবস্থা করি। এমন ভাল কাজ করতে পেরে আমরা আনন্দ বোধ করছি। বর্তমানে মা ও শিশু সুস্থ আছে ।আমরা সার্বক্ষণিক তাদের খোঁজ খবর নিচ্ছি। এই ভাল কাজের পেছনের কারিগর সুযোগ্য পুলিশ সুপার জনাব মোঃ মোখলেছুর রহমান, বিপিএম. পিপিএম মহোদয়। মিজানুর ও তার স্ত্রী মিম আখতারের বাড়ী উপজেলার চওড়া বড়গাছা ইউনিয়নের চাকধাপাড়া গ্রামে।
সম্পাদক মণ্ডলীর সভাপতি: প্রফেসর নূর মো. রহমত উল্লাহ। নির্বাহী সম্পাদকঃ ব্যারিস্টার মো. ইমরান খাঁন, ব্যবস্থাপনা সম্পাদক: মো. ওমর ফারুক
ইমেইল: [email protected] মোবাইল: ০১৭৫৪-২২২৫০২
অফিসঃ গ্রামঃ শ্রীমদ্দি(আলোনিয়াকান্দি), পোঃ- হোমনা, উপজেলাঃহোমনা, জেলাঃ কুমিল্লা।
সম্পাদক ও প্রকাশক: মো. ইব্রাহিম খলিল কর্তৃক কুমিল্লা জেলা থেকে সম্পাদিত ও প্রকাশিত।