অনলাইন ডেস্ক : নড়াইল সদরের হবখালী ইউনিয়নে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে একই পরিবারের আটজন অগ্নিদগ্ধ হয়েছেন। আজ শুক্রবার দুপুরে ইউনিয়নের সাধুখালী গ্রামে সবুর ফকিরের বাড়িতে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন- আবদুস সোবহানের মেয়ে মুন্নি আক্তার (১৬) ছেলে সিফাত (১০), আলতাফ হোসেনের ছেলে খন্দকার ইমরান (৪২), ইউসুফ ফকিরের ছেলে সবুর ফকির (৪৫), খবির মোল্যার স্ত্রী লিপি বেগম (৩০)। তারা নড়াইল সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। বাকিরা প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে বাড়ি ফিরে গেছেন।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, আজ শুক্রবার দুপুরের দিকে কাপড় ধোয়ার জন্য পানি গরম করতে রান্নাঘরে রাখা গ্যাসের চুলা জ্বালাতে যায় সোবহান ফকিরের মেয়ে মুন্নী আক্তার। রান্নাঘরে আগুন জ্বালানোর সাথে সাথেই পুরো ঘরে আগুন ছড়িয়ে পড়ে।মুন্নী অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় চিৎকার করতে করতে রান্নাঘর থেকে বের হয়ে আসে। সে সময় মুন্নীর পাশে থাকা ছেলে সিফাতও দগ্ধ হয়।এসময় সোবহান ফকিরের ভাই ও অন্য প্রতিবেশীরা বালুর বস্তা দিয়ে বিস্ফোরিত সিলিন্ডারটি ও চুলা চাপা দেয়। আগুন নিভে গেছে মনে করে পুনরায় ঘরে গিয়ে বস্তা সরাতে গেলে সিলিন্ডারটি ফের বিস্ফোরিত হয় একং আগুন ধরে যায়। এতে অন্যরাও অগ্নিদগ্ধ হয়।
খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে গ্যাস সিলিন্ডারটি বাড়ির বাহিরে এনে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এ সময় অগ্নিদগ্ধ আটজনকে উদ্ধার করে নড়াইল সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তিনজন বাড়ি ফিরে যান।
এ ব্যাপারে নড়াইল ফায়ার সার্ভিসের ষ্টেশন অফিসার মো: আহাদুজ্জামান জানান, সংবাদ পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে গ্যাসের সিলিন্ডারটি বাড়ির বাহিরে এনে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ সময় অগ্নিদগ্ধ আটজনকে উদ্ধার করে নড়াইল সদর হাসপাতালে আনা হয়।
নড়াইল সদর হাসপাতালের জরুরী বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসক হাফিজুর রহমান মুক্ত জানান, আহতদের ৪০ থেকে ৯০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে। তাদের প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
সম্পাদক মণ্ডলীর সভাপতি: প্রফেসর নূর মো. রহমত উল্লাহ। নির্বাহী সম্পাদকঃ ব্যারিস্টার মো. ইমরান খাঁন, ব্যবস্থাপনা সম্পাদক: মো. ওমর ফারুক
ইমেইল: [email protected] মোবাইল: ০১৭৫৪-২২২৫০২
অফিসঃ গ্রামঃ শ্রীমদ্দি(আলোনিয়াকান্দি), পোঃ- হোমনা, উপজেলাঃহোমনা, জেলাঃ কুমিল্লা।
সম্পাদক ও প্রকাশক: মো. ইব্রাহিম খলিল কর্তৃক কুমিল্লা জেলা থেকে সম্পাদিত ও প্রকাশিত।