বিশেষ প্রতিনিধি>> গত ৬ এপ্রিল ফরিদপুর নগরকান্দার শশা উত্তর পাড়ায় পুকুর পাড়ে গৃহবধূ কুহিনূর আক্তারের মৃত্যুর ঘটনা রহস্যজনক বলে ধারণা সচেতন মহলের।
সরজমিনে গিয়ে জানা গেছে, যেখান থেকে কুহিনূর আক্তারের (৩৮) মৃত দেহ উদ্ধার করা হয়েছে সেখানে পানি ছিল হাঁটু পরিমাণ। নিহতের শরীরের বিভিন্ন স্থানে ছিল আঘাতের চিহ্ন।
স্থানীয় পঞ্চায়েত নেতা আমান জানান, কুহিনূরের চোখের কোণে বের হয়ে আসছিল জমাট বাঁধা রক্ত, গলার নিচে জখমের দাগ, হাত দুটোই গরম পানিতে ঝলসানো । আমাদের গ্রামের বউ কুহিনূর আক্তার প্রায় দীর্ঘ ১৮ বছর মতো লিটন মিয়ার সংসার করছে আজ পর্যন্ত কোন খারাপ কিছু দেখিনি এবং এই গ্রামের কারও সাথে খারাপ আচরণ করতে শুনি নাই। তবে কুহিনূরের বাড়ির লোকের কাছ থেকে জেনেছি স্বামী -স্ত্রীর মাঝে প্রায়ই ঝগড়া বিবাদ হতো। এলাকার অনেকেই বলাবলি করছে কুহিনূর কে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে ।
এবিষয়ে কুহিনূরের স্বামী লিটন মিয়ার বড় ভাইয়ের স্ত্রী মমতাজ আক্তার বলেন, "আমরা ঘটনার কিছু-ই জানি না, তবে এটা আত্মহত্যা হয়েছে "। আত্মহত্যা করে থাকলে কুহিনূরের শরীরে আঘাতের চিহ্ন কেন? গণমাধ্যমের এমন প্রশ্নের জবাবে মমতাজ আক্তার বলেন, আমি আর কিছু বলতে রাজি না।
এবিষয়ে লিটন মিয়া বড় ভাই মিজানুরকে প্রশ্ন করলে দ্রুত সটকে পড়ে।
এ বিষয়ে নগরকান্দা থানার লষ্করদিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বাবুল মিয়ার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ময়নাতদন্তের পরে বলা যাবে আসল সত্য ঘটনা। তবে এই ঘটনাটা পুলিশ আমাকে কিছু জানায়নি এবং পুলিশ সুরত হালের রিপোর্টের সময় আমাকে ডাকেনি। তবে অপরাধী যেই হউক আমি সঠিক বিচার চাই।
এবিষয়ে এলাকাবাসীর মন্তব্য, আমাদের একটি আর্দশ গ্রাম। এই গ্রামে এমন মর্মান্তিক ঘটনা মেনে নেওয়া যায় না। অপরাধী যে-ই হউক আমরা গ্রামবাসী কুহিনূর আক্তারের মৃত্যুর সঠিক বিচার চাই।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, লিটন মিয়া কেমন স্বামী ঘটনার রাতে তাকে আমরা দেখেছি কিন্তু ঘটনার পরে এখনও পর্যন্ত আর দেখছি না। এখানে নিশ্চয়ই কোন ঘটনা লুকিয়ে আছে। কেন লিটন মিয়ার খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না এমন প্রশ্নের উদয় হয়েছে তাদের মনে।
নগরকান্দা থানার ওসি বলেন, আমরা ময়নাতদন্তের রিপোর্ট সংগ্রহ না করা পর্যন্ত কোন কিছুই করতে পারবোনা। কুহিনূরের মৃতদেহ পুলিশ উদ্ধার করার পড়ে লিটন মিয়ার বড় ভাই মিজানুর রহমান নগরকান্দা থানায় অপমৃত্যুর একটি মামলা করেন।
কুহিনূর আক্তারের স্বামী লিটন মিয়ার সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও তার মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
কুহিনূর আক্তারের ছেলে কৌশিক আহমেদ বলেন, আমার মাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। আমার ধারণা, আমার মায়ের হত্যার সাথে আমার, চাচা, জেঠা, চাচি, ফুপি, চাচাতো বোন, সৎ মা ও বাবাসহ পরিবারের সবাই জড়িত আছে। আজ ১৪/১৫ দিন হয়ে যাচ্ছে আমার বাবা মায়ের লাশটা পর্যন্ত দেখতে আসেনি এবং মায়ের মৃত্যুর আগের দিন দীর্ঘ সময় ফোনে কথা বলতে দেখেছি।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই সেলিম বলেন, এ বিষয়ে আপাতত আমার কিছুই করার নেই, আমি ও ওসি নিজেই ভিকটিমের লাশ উদ্ধার করেছি এবং লজ্জা স্থান ছাড়া সবই দেখেছি। তেমন কিছুই আমাদের চোখে পড়ে নি। তারপর ও বলছি ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসলে দেখমুনে।
নগরকান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বলেন, আমরা ময়নাতদন্তের রিপোর্ট সংগ্রহ না করা পর্যন্ত কোন কিছুই করতে পারবোনা। কুহিনূরের মৃতদেহ পুলিশ উদ্ধার করার পড়ে লিটন মিয়ার বড় ভাই মিজানুর রহমান নগরকান্দা থানায় অপমৃত্যুর একটি মামলা করেন।
সম্পাদক মণ্ডলীর সভাপতি: প্রফেসর নূর মো. রহমত উল্লাহ। নির্বাহী সম্পাদকঃ ব্যারিস্টার মো. ইমরান খাঁন, ব্যবস্থাপনা সম্পাদক: মো. ওমর ফারুক
ইমেইল: [email protected] মোবাইল: ০১৭৫৪-২২২৫০২
অফিসঃ গ্রামঃ শ্রীমদ্দি(আলোনিয়াকান্দি), পোঃ- হোমনা, উপজেলাঃহোমনা, জেলাঃ কুমিল্লা।
সম্পাদক ও প্রকাশক: মো. ইব্রাহিম খলিল কর্তৃক কুমিল্লা জেলা থেকে সম্পাদিত ও প্রকাশিত।