দিলীপ কুমার দাস, জেলা প্রতিনিধি(ময়মনসিংহ):
ময়মনসিংহের ধোবাউড়া উপজেলার পুড়াকান্দুলিয়া ইউপির পাতাম গ্রামের রাক্ষসখালী সেতুর পাশে সংযোগ সড়কে আরো একটি সেতু নির্মিত হচ্ছে। যার নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে ৩২ লাখ টাকা। তবে নির্মাণের নির্ধারিত সময় পার হলেও সেতুটির কাজ শেষ করতে পারেনি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।ফলে দুই বছর ধরে দুর্ভোগ সহ্য করে বাঁশের সাঁকো আর নৌকা ব্যবহার করে যাতায়াত করছেন ১০ গ্রামের লক্ষাধিক মানুষ।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, জনপ্রতিনিধি ও বিভিন্ন মহলে একাধিকবার অবগত করার পরও এ ভোগান্তি লাঘবে কোনো উদ্যোগ নেয়া হয়নি।
স্থানীয়রা জানান, উপজেলার পুড়াকান্দুলিয়া ইউপির বতিহালা, পুডিয়ারকান্দা, জিরাআলী, দর্শা, বাটুয়াকান্দা, টিগুরিয়া, রাজদেওমা, পাতাম ও চরেরভিটা গ্রামের মানুষের চলাচল সুবিধার জন্য সংযোগ সড়কটিতে সেতুর কাজ শুরু হয়। তবে প্রায় এক বছর ধরে অজানা কারণে বন্ধ রয়েছে এর কাজ। ফলে ভোগান্তি চরমে পৌঁছেছে বাসিন্দাদের।
টিগুরিয়া গ্রামের কৃষক নোয়াব আলী বলেন, দুই বছর আগে কাজ শুরু হয়েছিল। তবে বছরখানেক কোনো কাজই করছে না। এদিকে আমাদের বাজারে ধান বিক্রি করতে যেতে হয়। নৌকা নিয়ে পারাপার হতে আমাদের অনেক কষ্ট হচ্ছে।
বতিহালা গ্রামের শফিকুল ইসলাম নামে একজন বলেন, এই সংযোগ সড়কের সেতুটির কাজ শেষ না হওয়ার কারণে আমরা বৃদ্ধ, নারী ও শিশুসন্তান নিয়ে ধোবাউড়া সদরে হাসপাতালে যেতে পারছি না। অনেক সময় এখানে বাঁশের সাঁকো পার হতে গিয়ে দুর্ঘটনার শিকার হতে হয়।
রাজদেওমা গ্রামের আরজ খাঁ ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, একমাত্র সংযোগ সড়কের সেতুর জন্য আমরা দুর্ভোগ পোহাচ্ছি। শুনেছি মেয়াদ শেষ হলেও কাজ হচ্ছে না। কিন্তু এটা কেউ দেখছে না। এভাবে তো চলতে পারে না। আমরা দ্রুত সেতুটির নির্মাণ কাজ শেষ করার দাবি জানাচ্ছি।
স্থানীয় ইউপি সদস্য শশি মিয়া বলেন, আমরা এলাকার অনেক মানুষ মিলে উপজেলায় গিয়েছিলাম। তারা কাজ করে দেবে বলেছিল। কিন্তু এখনো কাজ করেনি।
আরেক ইউপি সদস্য হাকিম মিয়া বলেন, কাজের শুরুতে একজন সাব–কন্ট্রাক্টর ছিলেন। তিনি মারা যাওয়ায় পর থেকে কাজ বন্ধ। এরপর আর কেউ কাজ করতে আসেনি।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন দফতর সূত্রে জানা গেছে, দুধনই বাজার থেকে পুড়াকান্দুলিয়া সড়কে রাক্ষস খালী সেতুর পাশের সংযোগ সড়কের সেতুর জন্য ২০১৯-২০ অর্থবছরে ৩২ লাখ ৪১ হাজার টাকা বাজেটে টেন্ডার হয়। তরফদার এন্টারপ্রাইজ নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সেতুটির কাজ পায়। গত জুন-জুলাইয়ে শেষ করার কথা থাকলেও সেতুর ওপরের ঢালাই না দিয়ে এক বছর ধরে কাজ বন্ধ রাখা হয়েছে।
এ ব্যাপারে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান তরফদার এন্টারপ্রাইজের মালিক জাহাঙ্গীর তরফদার বলেন, এ কাজটির টাকা এখনো তোলা হয়নি। সেতুর চারপাশে পানি রয়েছে। পানি কমলে সাত দিনের মধ্যে কাজ শেষ হয়ে যাবে।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ইশতিয়াক হোসেন উজ্জ্বল বলেন, ঠিকাদারের গাফিলতির কারণে সেতুটির কাজ শেষ হচ্ছে না। কয়েকবার ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে দ্রুত কাজ শেষ করার জন্য চিঠি দিয়েছি। তারা কোনো কর্ণপাত করছে না।
সম্পাদক মণ্ডলীর সভাপতি: প্রফেসর নূর মো. রহমত উল্লাহ। নির্বাহী সম্পাদকঃ মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন, উপ-সম্পাদক : মুন্সী নাজমুল হোসেন
ইমেইল: mdibrahimkhalil494@gmail.com মোবাইল: ০১৭৫৪-২২২৫০২
অফিস : শ্রীমদ্দি মোড়ের বাজার, হোমনা, কুমিল্লা।
সম্পাদক ও প্রকাশক: মো. ইব্রাহিম খলিল কর্তৃক কুমিল্লা জেলা থেকে সম্পাদিত ও প্রকাশিত।