ক্রাইম পেট্রোল ডেস্ক:
যুব ও ক্রীড়া এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেছেন, 'দ্রব্যমূল্য ইস্যুতে এবার হার্ডলাইনে যাচ্ছে সরকার। যেসব করপোরেট প্রতিষ্ঠান ইচ্ছাকৃতভাবে সিন্ডিকেট করছে, তাদের বিশেষ ক্ষমতা আইনে গ্রেফতার করা হবে।'
মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর২০২৪ খ্রি.) সচিবালয়ের গণমাধ্যম কেন্দ্রে বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরাম (বিএসআরএফ) আয়োজিত মতবিনিময় সভায় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, 'একের পর এক অনেকগুলো চ্যালেঞ্জ আমরা মোকাবিলা করছি। দ্রব্যমূল্যের সঙ্গে অনেকগুলো বিষয় জড়িত। বন্যায় অনেক ফসল নষ্ট হয়েছে, যে কারণে শাক-সবজির দাম বেশি। কিন্তু অন্যান্য পণ্যের ক্ষেত্রে সিন্ডিকেটের একটা বড় প্রভাব আছে।'
উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ বলেন, 'সিন্ডিকেট ভাঙার জন্য আমরা কাজ করছি। কিন্তু ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনকে দুর্বল করা হয়েছে। করপোরেটদের সঙ্গে আগের সরকারের যোগাযোগ থাকার কারণে এটাকে এত দুর্বল করা হয়েছে যে, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে একটা প্রতিবেদন আসে যে, অভিযান হলো। সেখানে ৩ হাজার টাকা, ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়, এটা তো ইফেক্টিভ না।'
তিনি বলেন, 'আগে যেমন ছিল, তাদের একটা জেল দেওয়ারও ক্ষমতা ছিল আইনে। ব্যাপারগুলো এমনভাবে নষ্ট করা হয়েছে, এটা টাইম নেবে একটু। আইন সংশোধন করা, শক্তিশালী করার ক্ষেত্রে সময় লাগবে। কিন্তু এর আগে আমরা ভাবছি যে আমাদের তো হার্ডলাইনে যেতে হবে, না হলে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ করা যাবে না। সে ক্ষেত্রে বিশেষ ক্ষমতা আইনে যারা একদম কি পারসন আছেন বিভিন্ন সিন্ডিকেটের; প্রয়োজনে করপোরেটের যেসব কোম্পানি এটা করছে ইচ্ছাকৃতভাবে- আমাদের কাছে কিছু রিপোর্ট আছে-আমরা তাদের বিশেষ ক্ষমতা আইনে অ্যারেস্ট করব।'
এখন চাঁদাবাজির সিন্ডিকেট কারা নিয়ন্ত্রণ করছে- এ সম্পর্কে জানতে চাইলে উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ বলেন, 'আগে যে সিন্ডিকেট ছিল, সেটা আওয়ামী লীগ সরকার নিয়ন্ত্রণ করত। কিন্তু সিন্ডিকেটের ভেতরে তো ব্যবসায়ীরাই বসে ছিলেন। তারা এখনো রয়ে গেছেন। তাদের ব্যবসায়িক স্বার্থ বাঁচাতে কোনো কোনো রাজনীতিবিদের সঙ্গে লিয়াজোঁর মাধ্যমে সিন্ডিকেট টিকিয়ে রেখেছেন। সে ক্ষেত্রটা আমরা শনাক্ত করছি। সেটা অ্যাডজাস্ট করার চেষ্টা করছি।'
তিনি আরও বলেন, 'কারাওয়ান বাজারে চাঁ'দাবাজির সঙ্গে যারা জড়িত, তাদের অনেককে গ্রেফতার করা হয়েছে। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে, একজন চাঁ'দাবাজকে গ্রেফতার করা হলে সেই জায়গায় অন্যজন রিপ্লেস হয়ে যায়। আমরা গোড়াটা শনাক্ত করার চেষ্টা করছি, কাজ করছি। এ ক্ষেত্রে রাজনৈতিক দলগুলোকেও সহায়তা করতে হবে।'
বিএসআরএফের সাধারণ সম্পাদক মাসউদুল হকের সঞ্চালনায় এতে সভাপতিত্ব করেন সভাপতি ফসিহ উদ্দীন মাহতাব।
সম্পাদক মণ্ডলীর সভাপতি: প্রফেসর নূর মো. রহমত উল্লাহ। নির্বাহী সম্পাদকঃ ব্যারিস্টার মো. ইমরান খাঁন, ব্যবস্থাপনা সম্পাদক: মো. ওমর ফারুক
ইমেইল: [email protected] মোবাইল: ০১৭৫৪-২২২৫০২
অফিসঃ গ্রামঃ শ্রীমদ্দি(আলোনিয়াকান্দি), পোঃ- হোমনা, উপজেলাঃহোমনা, জেলাঃ কুমিল্লা।
সম্পাদক ও প্রকাশক: মো. ইব্রাহিম খলিল কর্তৃক কুমিল্লা জেলা থেকে সম্পাদিত ও প্রকাশিত।