প্রিন্ট এর তারিখঃ এপ্রিল ১৬, ২০২৫, ৬:৩৭ পি.এম || প্রকাশের তারিখঃ আগস্ট ২, ২০২১, ৯:১৮ অপরাহ্ণ
দাউদকান্দিতে ৯২ টি ছিন্নমূল পরিবারের মুখে হাসি ফোটালেন প্রধানমন্ত্রী

কামরুল হক চৌধুরী : চট্টগ্রাম বিভাগের প্রবেশদ্বার দাউদকান্দি একটি গুরুত্বপূর্ণ এবং ঐতিহাসিক স্থান। রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক এবং ভৌগলিক কারণে এর গুরুত্ব অনেক। মুজিব জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে ভূমিহীন ও গৃহহীনদের আশ্রয়ণ প্রকল্প হাতে নেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এই প্রকল্পে কুমিল্লার দাউদকান্দিতে ৯২টি অসহায় পরিবার ঘর পাচ্ছেন। ইতোমধ্যে ২০টি ঘরে সুবিধাভোগীরা উঠেছেন। বাকী ৭২টি ঘরেও খুব শীঘ্রই পরিবারগুলো উঠতে পারবেন। এই খুশিতে তাদের চোখে মুখে ফুটে উঠেছে আনন্দের ঝিলিক।
এক অনিশ্চিত জীবন থেকে সুন্দর জীবনে যাবার অপেক্ষায় থাকা আব্দুল কাদির জানান, জায়গা-জমি, ঘর-দরজা নেই বলে এতদিন তার বিবাহযোগ্যা মেয়েকে বিয়েও দিতে পারছেন না। তিনি আশা করছেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার দেয়া ঘরে ওঠার পর তিনি তার মেয়েকে বিয়ে দেবেন।
আমিরাবাদের ১৮ নং ঘরের বাসিন্দা জাকির মিজির স্ত্রী লাইলী বেগম জানান, ঘর-বাড়ি না থাকায় তার মেয়েকে বিয়ে দিতে অনেক কষ্ট হয়েছে। আগে যদি এই ঘর তাদের থাকতো তাহলে আরো ভালো বিয়ে দিতে পারতেন নিজের মেয়েকে।
লাইলী বেগম বলেন, আমরা এই ঘর পাওয়ায় এখন মেয়ের শ্বশুর-বাড়িতেও আমাদের মেয়েকে সম্মান করে কথা বলে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দীর্ঘায়ূ কামনা করে দোয়া করতে করতে কেঁদে ওঠেন লাইলী বেগম।
এ বিষয়ে দাউদকান্দি উপজেলা নির্বাহী অফিসার কামরুল ইসলাম খান জানান, মুজিব জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে দাউদকান্দিতে ৯২টি ঘর পাচ্ছেন অসহায় দরিদ্র পরিবার। গোলাপেরচর, আমিরাবাদ, কলাকোপা, ভিকতলা, লক্ষীপুর ও নূতনবাজারে ঘরগুলো নির্মাণ করা হয়েছে। এর মধ্যে গোলাপেরচরেই ৫২টি ঘর নির্মাণ করা হয়েছে। এখানে পানি, বিদ্যুৎ, ঈদগাহ ও যাতায়াত সুবিধাসহ কোমলমতি শিশুদের লেখাপড়ার জন্য নির্মিত হচ্ছে প্রাথমিক বিদ্যালয়, থাকবে কমিউনিটি ক্লিনিকও। গ্রোথসেন্টার কাছাকাছি থাকায় তারা আয়বর্ধক বিভিন্ন কাজে নিজেদেরকে সম্পৃক্ত করতে পারবেন।
তিনি বলেন, এমন লক্ষ লক্ষ পরিবারকে একসঙ্গে আবাসন ব্যবস্থা করে দেয়ার ঘটনা বিশ্বের কোথাও আছে বলে আমার জানা নেই। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর এটি একটি যুগান্তকারী উদ্যোগ। দাউদকান্দির এই আশ্রয় ণ প্রকল্পটি বিভিন্ন সময় ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ পরিদর্শন করেছেন। তাঁরা হলেন, খাদ্য সচিব নাজমুন আরা, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক মহাপরিচালক (প্রশাসন) মো. খলিলুর রহমান, চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার মোহাম্মদ কামরুল হাসান এনডিসি এবং কুমিল্লা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামরুল হাসান।তাঁরা ঘরগুলোর নির্মাণের মান এবং সার্বিক অবস্থা দেখে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।
সম্পাদক মণ্ডলীর সভাপতি: প্রফেসর নূর মো. রহমত উল্লাহ। নির্বাহী সম্পাদকঃ ব্যারিস্টার মো. ইমরান খাঁন, ব্যবস্থাপনা সম্পাদক: মো. ওমর ফারুক
ইমেইল: mdibrahimkhalil494@gmail.com মোবাইল: ০১৭৫৪-২২২৫০২
অফিসঃ গ্রামঃ শ্রীমদ্দি(আলোনিয়াকান্দি), পোঃ- হোমনা, উপজেলাঃহোমনা, জেলাঃ কুমিল্লা।
সম্পাদক ও প্রকাশক: মো. ইব্রাহিম খলিল কর্তৃক কুমিল্লা জেলা থেকে সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
Design & Developmen By HosterCube