প্রিন্ট এর তারিখঃ এপ্রিল ১৪, ২০২৫, ৫:১৩ এ.এম || প্রকাশের তারিখঃ আগস্ট ২, ২০২২, ৯:৪৪ অপরাহ্ণ
তিস্তার পানি বি’পদসীমার উপরে,নতুন করে বন্যার আশঙ্কা
![]()
সুজন মহিনুল, নীলফামারী প্রতিনিধি॥ ভারী বর্ষণ ও উজানের ঢলে ফের তিস্তা নদীর পানি বি'পদসীমা অতিক্রম করে ২৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।এতে করে নীলফামারীর ডিমলা উপজেলা ও লালমনিরহাটের মাঝামাঝি অবস্থিত তিস্তা ব্যারেজের ডালিয়া পয়েন্টে সোমবার (১ আগস্ট) সকাল থেকে বি'পদসীমার ২ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে পানি প্রবাহিত হলেও বিকেল ৩টায় তা বেড়ে বি'পদসীমার ১০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে ও সন্ধ্যা ৬ টায় ২৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল।ব্যারেজের ৪৪টি জলকপাট খুলে দিয়ে নদীবেষ্টিত এলাকার মানুষদের সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র।আর তাই নতুন করে বন্যার আশঙ্কা করছেন অনেকেই।
ডিমলা উপজেলার টেপাখড়িবাড়ি ইউনিয়নের তিস্তা নদীর বাম তীরের চরখড়িবাড়ি এলাকার দেড় কিলোমিটারের বালুর বাঁধের প্রায় একশত মিটার নদী গর্ভে বিলীন হয়েছে।বাঁধের ভেতর দিয়ে নদীর পানি চরে প্রবেশ করায় সেখানকার শত-শত বিঘার আমন ধান ক্ষেত তলিয়ে যেতে শুরু করেছে বলে জানিয়েছেন স্থানীরা।এ ছাড়া নদীর ডান তীরের প্রধান বাঁধ ঘেষে নদীর পানি প্রবাহিত হওয়ায় সেখানকারও শত-শত বিঘা জমির আমন ক্ষেতও পানিতে তলিয়ে গেছে। অন্যদিকে উজানের ঢল অব্যাহত থাকায় পানি অস্বাভাবিক হারে বেড়ে যাওয়ায় নিম্নাঞ্চল এলাকাগুলো প্লাবিত হয়েছে।
টেপাখড়িবাড়ি ইউনিয়নের চরখড়িবাড়ি এলাকার বাসিন্দারা জানান, বামতীরে যে বালির বাঁধটি রয়েছে সেটি তারা স্বেচ্ছাশ্রমে তৈরি করেছিল পাঁচ বছর আগে।সেই বাঁধটি নদীগর্ভে বিলীন হতে শুরু করেছে।এই ইউনিয়নে হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন।খগাখড়িবাড়ি এলাকায় সারে তিনশত পরিবার, খালিশাচাঁপানী এলাকায় চারশত পরিবার, ঝুনাগাছ চাপানী এলাকার তিনশত পরিবারের বসত ভিটা তলিয়ে গেছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট জনপ্রতিনিধিরা।সব থেকে বেশি ভাঙন দেখা দিয়েছে খালিশা চাঁপানী ইউনিয়নে।
খালিশা চাপানী ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান সহিদুজ্জামান সরকার জানান,আমার ইউনিয়নের বেশকিছু এলাকার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন।ক্ষতি হয়েছে অনেক আমন চারা রোপণকৃত ক্ষেতের।
টেপাখড়িবাড়ি ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান ময়নুল হক জানান,উজানের ঢল ও নদীর পানি বাম তীরে চাপ বেশি থাকায় বালির বাঁধটি ভাঙতে শুরু করেছে।
পূর্ব ছাতনাই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ খাঁন জানান,তার এলাকার কয়েক শতাধিক পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।
ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আসফাউদদৌলা বলেন, সোমবার সকাল থেকে ডালিয়া পয়েন্টে তিস্তার পানি বিপদসীমার দুই সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল।বিকেল তিনটায় বিপদসীমা অতিক্রম করে ১০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হলেও সন্ধ্যা ৬টায় পানি আরও বৃদ্ধি পেয়ে ২৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল।ব্যারেজের সবকটি জলকপাট খুলে দেয়া হয়েছে।
সম্পাদক মণ্ডলীর সভাপতি: প্রফেসর নূর মো. রহমত উল্লাহ। নির্বাহী সম্পাদকঃ ব্যারিস্টার মো. ইমরান খাঁন, ব্যবস্থাপনা সম্পাদক: মো. ওমর ফারুক
ইমেইল: mdibrahimkhalil494@gmail.com মোবাইল: ০১৭৫৪-২২২৫০২
অফিসঃ গ্রামঃ শ্রীমদ্দি(আলোনিয়াকান্দি), পোঃ- হোমনা, উপজেলাঃহোমনা, জেলাঃ কুমিল্লা।
সম্পাদক ও প্রকাশক: মো. ইব্রাহিম খলিল কর্তৃক কুমিল্লা জেলা থেকে সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
Design & Developmen By HosterCube