তিতাস (কুমিল্লা) সংবাদদাতা:
কুমিল্লার তিতাসে তিনটি বসতঘর ভে'ঙে নগদ টাকাসহ ঘরের আসবাবপত্র লুট করে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে পার্শ্ববর্তী মেঘনা উপজেলার মো. শফিউল্লা গ্রুপের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার উপজেলা মজিদপুর ইউনিয়ন চর-মোহনপুর আবদুর রশিদের বাড়িতে।
এ ঘটনায় উভয় পক্ষের সং'ঘর্ষে ৮/১০ জন আ'হত হয়েছে বলে জানা যায়।
এ বিষয়ে তিতাস থানায় ৯ জনকে আসামি করে আরো ৩০/৪০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে একটি অভিযোগ করলে ওইদিন বিকালে সেনাবাহিনীর সহায়তায় ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন তিতাস থানা পুলিশ।
আসামিরা হল, মেঘনা উপজেলা বালুর-চর গ্রামের, মৃত সামাদ মিয়ার ছেলে মো. মোস্তফা, মো. মোস্তফার ছেলে মো. সফিউল্লাহ, কামাল হোসেনের ছেলে জাকির হোসেন ,আলতু মিয়ার ছেলে মো. জিলানী, আ. সালামের ছেলে মো.শরিফ মিয়া, মোস্তফার ছেলে মো. বিল্লাল হোসেন, মৃত আইয়ুব মিয়ার ছেলে মো. জালাল মিয়া, মো. জালাল মিয়ার ছেলে মোখলেছ মিয়া, কামাল হোসেনের ছেলে মো. দেলোয়ার হোসেন হোসেনসহ আরো অজ্ঞাতনামা ৩০/৪০জন।
ভুক্তভোগী আব্দুর রশিদ অভিযোগ করে বলেন, 'গত ৩৫ বৎসর যাবত আমার বসত বাড়ীতে আমি ৩টি দোচালা টিনের বসত ঘর উঠাইয়া আমিসহ আমার পরিবারের লোকজন বসবাস করে আসছি । উল্লিখিত আসামীরা আমার পাশাপাশি থানার লোক ও পরস্পর আত্মীয়।
তাদের সাথে পূর্ব হতে জায়গা সম্পত্তি নিয়ে আমার বিরোধ ও বিজ্ঞ আদালতে মামলা মোকাদ্দমা চলমান । এরই জেরে বৃহস্পতিবার শফিউল্লার নেতৃত্ব ৩০/৪০ জনের ভাড়াটিয়া গু'ন্ডাবাহিনী, লা'ঠিসোটা, লো'হার রড, লো'হার পাইপ, লোহার শা'বল, ছু'রি, চা'পাতি ও রা'মদা নিয়ে এসে আমার বসতঘর ভাং'চুর শুরু করে। তখন আমি বসতঘর ভাং'চুর করতে বাধা দিলে তারা আমার ছেলে, স্ত্রী,আমার মেয়ে, বোন, ভাগনী,পুত্রবধু ও আমার ভাতিজী আমাকে রক্ষা করতে এগিয়ে এলে,এসময় তারা আমার ভাগ্নির পরনের কাপড়চোপড় ছিঁড়ে শ্লী'লতাহানির চেষ্টা করে। স'ন্ত্রাসীরা তাদের এলোপাতারি পি'টিয়ে জ'খম ও র'ক্তাক্ত করে। এসময় আমার মেয়ের গলায় থাকা ১টি ১ভরি ওজনের স্বর্ণের চেইন, ঘরের ভিতর থাকা ১টি স্টীলের আলমারী, ফ্রিজ, সেলাই মেশিন, নগদ দুই লক্ষ টাকা, ৩ ভরি স্বর্নালংকার , ঘরের ড্রাম ভর্তি ২৫ মণ চাউল, ১৬ ভরি রুপা, তিনটি মোবাইল সেটসহ আমাদের গোয়ালের গরু লুট করে নিয়ে যায়। এতে আমি নিঃস্ব হয়ে গেছি।আমি এর বিচার চাই।'
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত শফিউল্লাহ জানান, এই যায়গা আমার পিতার নামে যা ৪৫ বছর যাবৎ আমরা ভোগদখল করে আসছি । তাছাড়া বিএস এবং বি আরও আমার বাবার নামে। আব্দুর রশিদ এই সম্পত্তির মালিক হয় কীভাবে? ওইখানে দুইটি বসতঘরও আমাদেরই তোলা। তাছাড়া ঘর করার জন্য কিছুদিন পূর্বে আমি বালুও ভরাট করেছি। ওই জায়গায় ঘর উঠাতে গেলে রশিদ মিয়ার পরিবার উল্টো আমাদের উপর হা'মলা করেছে।'
এ ব্যাপারে তিতাস থানা অফিসার ইনচার্জ কাজী নাজমুল হক জানান, 'বিষয়টি আমরা গুরুত্বসহকারে দেখছি। এ নিয়ে বিজ্ঞ আদালতে মামলাও রয়েছে। দখল- বে'দখল নিয়ে সং'ঘর্ষে উভয় পক্ষের লোকজন আ'হত হয়েছে। সমস্যা সমাধানের লক্ষে আমরা কাজ করছি।'
সম্পাদক মণ্ডলীর সভাপতি: প্রফেসর নূর মো. রহমত উল্লাহ। নির্বাহী সম্পাদকঃ ব্যারিস্টার মো. ইমরান খাঁন, ব্যবস্থাপনা সম্পাদক: মো. ওমর ফারুক
ইমেইল: mdibrahimkhalil494@gmail.com মোবাইল: ০১৭৫৪-২২২৫০২
অফিসঃ গ্রামঃ শ্রীমদ্দি(আলোনিয়াকান্দি), পোঃ- হোমনা, উপজেলাঃহোমনা, জেলাঃ কুমিল্লা।
সম্পাদক ও প্রকাশক: মো. ইব্রাহিম খলিল কর্তৃক কুমিল্লা জেলা থেকে সম্পাদিত ও প্রকাশিত।