মোঃ পারভেজ আলম, জেলা প্রতিনিধি, ঢাকা :

ঢাকার ফকিরাপুলে ১০ বছর বয়সী এক পথশিশুর গায়ে আগুন দেওয়ার ঘটনায় মামলার পর জড়িতদের গ্রেপ্তারের নির্দেশ দিয়েছেন মহামান্য হাইকোর্ট।
হাইকোর্টের একটি বেঞ্চে (১৮ ডিসেম্বর) মতিঝিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে এ আদেশ পালন করতে বলেছেন আদালত।
আবেদনের শুনানি শেষে বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো.মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
এছাড়া পথ শিশুদের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে ৪০ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে নারী ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়কে জানাতে বলেছেন আদালত। আদালতে আবেদনটি করেন আইনজীবী মো. মনিরুজ্জমান।
গত কয়েক দিন থেকেই এ বিষয়ে বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। ওইসব প্রতিবেদনে বলা হয়, রাজধানীর ফকিরাপুল এলাকায় ১০ বছর বয়সী পথশিশু সেলিমের গায়ে সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) বিকেলে আগুন দেওয়া হয়। শিশুটির মাথা ছাড়া শরীরের অন্যান্য অংশ পুরোপুরি আগুনে পুড়ে যায়। শিশুটি শুধু নিজের নাম পুলিশকে বলতে পেরেছে। বাবা-মা বা বাড়ির কোনো ঠিকানা কিছুই সে বলতে পারেনি।
অগ্নিদগ্ধ শিশুটি শুধু তার নাম বলেছে সেলিম। তবে যারা তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে নিয়ে আসে, তারা শিশুটির নাম নিবন্ধন করিয়েছেন শাহীন নামে।
বার্ন ইউনিটে কর্তব্যরত চিকিৎসক রাত সাড়ে ১০টার দিকে বলেন, আগুনে পোড়া শিশুটির দেহের শতকরা ২৫/৩০ ভাগ পুড়ে গেছে। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক বাচ্চু সাংবাদিকদের বলেন, আগুনে পোড়া শিশুটিকে বিকেল সাড়ে ৩ টার পর একজন লোক ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসে। ঠিক কোথায়, কী কারণে, কে শিশুটির গায়ে আগুন ধরায়, সে ব্যাপারে বিস্তারিত তথ্য এখনো জানতে পারেনি পুলিশ।
তবে মতিঝিল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) জালাল উদ্দিন বলেন, আগুনে পোড়া শিশু সেলিমের সঙ্গে কথা বলেছেন তিনি। শিশুটি বলছে, কোন এক রিকশাওয়ালা তার গায়ে আগুন দিয়েছে। এর সত্যতা যাচাই করার জন্য কমলাপুর ও ফকিরাপুল এলাকার প্রত্যক্ষদর্শীদের খুঁজে বের করার চেষ্টা করছেন। প্রত্যক্ষদর্শী খোঁজ পেলে আসল ঘটনা জানা সম্ভব হবে।
পুলিশ কর্মকর্তা জালাল উদ্দিন জানান, শিশুটি নিজের নাম ছাড়া তার বাবা-মা কিংবা তার বাড়ির কোনো ঠিকানা জানাতে পারেনি। তবে শিশুটি কমলাপুর রেল স্টেশন এলাকায় থাকত।