আনিছুর রহমান মানিক, ডোমার (নীলফামারী) প্রতিনিধি>>
এই প্রচণ্ড ঠাণ্ডায় ঘর থেকে বের হয়ে কাজের সন্ধানে যাওয়া কর্মজীবী মানুষের সংখ্যা কমে গেছে বললেই চলে। দিন শেষে একটু সূর্যের আলো দেখা পাওয়া গেলেই সেই স্থানে একটু উষ্ণ তাপের জন্য ছুটছে শীতে কাবু হওয়া মানুষগুলো। এই অগ্রহায়ণের তীব্র ঠাণ্ডায় ও পৌষের আগমনে গ্রামাঞ্চলের নিম্ন আয়ের মানুষগুলো খড়কুটো জ্বালিয়ে কিছুটা উষ্ণতা পাওয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
ভারতের হিমেল পাহাড়ের কাঞ্চনজঙ্ঘা চুড়াটি কাছে হওয়ায় প্রায় এক সপ্তাহ যাবৎ নীলফামারী জেলার ডোমার উপজেলাসহ পার্শ্ববর্তী জেলাগুলোতেও শীতের তীব্রতার ঠিক একই চিত্র। দেখে মনে হয় শীত যেন জেঁকে বসেছে প্রত্যেকটি জায়গায়। হাজার হাজার গ্রামাঞ্চলের নিম্ন আয়ের মানুষরা শীতবস্ত্র বিতরণের একটু খবর পেলেই ছুটছে সেই স্থানে। ভাগ্যচক্রে দুই/একটি পরিবার শীতবস্ত্র পেলেও বাকিরা খালি হাতে চলে যায়। এর মূল কারণ, প্রত্যেকটি এলাকার ইউপি চেয়ারম্যান, যেকোন দানশীল ব্যক্তি বা কোন এনজিওর পক্ষ থেকে কোন প্রকার শীতবস্ত্র বিতরণ করা হলে পূর্ব থেকেই ২৫০/৩০০ পরিবারের নাম লিপিবদ্ধ করা হয় এবং এই পরিবারগুলোর মধ্যেই কম্বল প্রদান করা হয়। অথচ সেই স্থানে ছুটে আসে একটি কম্বলের জন্য শত শত মানুষ। নীলফামারী জেলার প্রতিটি উপজেলার ইউনিয়ন পরিষদের মাধ্যমে সামান্য কিছু কম্বল বিতরণ করা হলেও এখনও শত শত নিম্ন আয়ের মানুষরা প্রশাসনের দিকে তাকিয়ে আছে একটি কম্বলের জন্য। অপরদিকে, এই প্রচণ্ড ঠাণ্ডায় বিভিন্ন ঠাণ্ডাজনিত রোগে ভুগছে শিশু ও বৃদ্ধরা। বিশেষকরে ছোট ছোট শিশুরা ডাইরিয়া, নিউমোনিয়া, জ্বর, বমিসহ বিভিন্ন সংক্রামক রোগে ভুগছে। এই ঠাণ্ডায় বৃদ্ধারা ঘর থেকে বের হওয়া তো দূরের কথা, বিভিন্ন ব্যথাজনিত রোগে কাতর হয়ে আছে।
এ ব্যপারে ডোমার উপজেলা স্বাস্থ্য প.প. কর্মকর্তা ডা.মোহাম্মদ ইব্রাহিম-এর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন,“আমি এখানে যোগদানের পর থেকে স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকলল্পনা বিষয়ে ব্যাপক দৃষ্টি রেখেছি। এলাকার মানুষ যাতে স্বাস্থ্য সেবা থেকে বঞ্চিত না হয় সেই দিকে লক্ষ রাখার জন্য প্রত্যেকটি কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। শীতকালে বিভিন্ন রকম রোগে ভুগে হাজারো মানুষ। বর্তমানে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ বেশি হওয়ায় একটু জ্বর হলেই এলাকার মানুষরা আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। এতে ভয়ের কিছু নেই। একটু সাবধানতা বজায় রাখলেই সকল রোগ থেকে আমরা মুক্তি পাব”। বর্তমানে দেশের বেশিরভাগ স্থানে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় সমান যার কারণে এই শীতের অনুভূতি একটু বেশি বলে মনে হচ্ছে।
সম্পাদক মণ্ডলীর সভাপতি: প্রফেসর নূর মো. রহমত উল্লাহ। নির্বাহী সম্পাদকঃ ব্যারিস্টার মো. ইমরান খাঁন, ব্যবস্থাপনা সম্পাদক: মো. ওমর ফারুক
ইমেইল: mdibrahimkhalil494@gmail.com মোবাইল: ০১৭৫৪-২২২৫০২
অফিসঃ গ্রামঃ শ্রীমদ্দি(আলোনিয়াকান্দি), পোঃ- হোমনা, উপজেলাঃহোমনা, জেলাঃ কুমিল্লা।
সম্পাদক ও প্রকাশক: মো. ইব্রাহিম খলিল কর্তৃক কুমিল্লা জেলা থেকে সম্পাদিত ও প্রকাশিত।