আনিছুর রহমান মানিক, ডোমার (নীলফামারী) প্রতিনিধি>>
নীলফামারীর ডোমারে হোটেলের পাওনা টাকা চাইতে গেলে রাম প্রসাদ (১৫) নামে এক শিশু শ্রমিককে খড়ি দিয়ে পিটিয়ে আহত করার গুরুতর অভিযোগ উঠেছে হোটেল মালিক তরিকুলের বিরুদ্ধে।এ বিষয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন শ্রমিকের ভাই দীন বন্ধু। বর্তমানে শিশুটি হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে।
অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, উপজেলার ছোটরাউতা আন্ধারু মোড় এলাকার রিফাত হোটেলে রাম প্রসাদ নামে ওই শ্রমিক দীর্ঘদিন যাবত কাজ করতো। ৩/৪ দিন ধরে সে অসুস্থ থাকার কারণে হোটেলে আসতে পারেনি। ঘটনার দিন রোববার সকাল ১১টায় রাম প্রসাদ হোটেলে আসে এবং হোটেল মালিক তরিকুলের কাছে তার পূর্বের ৩শত পাওনা টাকা দাবি করে। তরিকুল তাকে হোটেলে কাজ করতে বলে ।ছেলেটি এতে রাজি না হওয়ায় হোটেল মালিক তরিকুল ছেলেটিকে তার দোকানে থাকা কাঠের খড়ি দিয়ে বেধরক মারপিট করে বলে রামপ্রসাদ জানান। ছেলেটি তরিকুলের আঘাতে গুরুতর আহত হলে চিকিৎসার জন্য ডোমার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। এ বিষয়ে ছেলেটির বড় ভাই দিনোবন্ধু বাদী হয়ে হোটেল মালিক তরিকুলের বিরুদ্ধে ডোমার থানায় অভিযোগ করেন। ভুক্তভোগী রামপ্রসাদ সদর ইউনিয়নের ছোট রাউতা তুহিন স্কুল পাড়া গ্রামের মৃত প্রসন্ন রায়ের ছেলে। অভিযুক্ত তরিকুল আন্ধারু মোড় এলাকার নান্দু মামুদের ছেলে এবং সাবেক ইউপি সদস্য ফরিদা বেগমের স্বামী।
এ বিষয়ে তরিকুলের কাছে জানতে চাইলে মারধরের বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, আমি শুনেছি রাম প্রসাদ দোকানের টাকা চুরি করে পালানোর সময় মাটিতে পড়ে গিয়ে আঘাত প্রাপ্ত হয়। আমি তাকে মারধর করি নি।
হোটেল মালিক তরিকুলের ছেলে ফরিদুল ইসলাম মারধরের বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, রামপ্রসাদ ৩ দিন দোকানে আসেনি, আমি বাড়িতে গিয়ে ডেকে আনি। এসে মিষ্টি চেয়েছে আত্মীয়ের বাড়ি যাবে বলে। যার কারণে আমার সাথে হাতাহাতি হয়। আমি খড়ির ছাল দিয়ে দুটো বারি দিয়েছি মাত্র, সেও আমাকে আঘাত করেছে। আমার আব্বু তার গায়ে হাত দেয় নি।
শিশু নির্যাতনের বিষয়টির স্ষ্ঠু বিচার দাবি করেন রামপ্রসাদের পরিবার।
সম্পাদক মণ্ডলীর সভাপতি: প্রফেসর নূর মো. রহমত উল্লাহ। নির্বাহী সম্পাদকঃ ব্যারিস্টার মো. ইমরান খাঁন, ব্যবস্থাপনা সম্পাদক: মো. ওমর ফারুক
ইমেইল: mdibrahimkhalil494@gmail.com মোবাইল: ০১৭৫৪-২২২৫০২
অফিসঃ গ্রামঃ শ্রীমদ্দি(আলোনিয়াকান্দি), পোঃ- হোমনা, উপজেলাঃহোমনা, জেলাঃ কুমিল্লা।
সম্পাদক ও প্রকাশক: মো. ইব্রাহিম খলিল কর্তৃক কুমিল্লা জেলা থেকে সম্পাদিত ও প্রকাশিত।