আনিছুর রহমান মানিক, ডোমার (নীলফামারী) প্রতিনিধি>>
নীলফামারী ডোমার জোড়াবাড়ীতে সাবেক সেনা সদস্য জাকারিয়া আর্মির অত্যাচারে ও মিথ্যা মামলার শিকার হয়ে ৪টি পরিবারের প্রায় ২৫ জন মানুষকে নাজেহাল করার অভিযোগ উঠেছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার জোড়াবাড়ী ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড বিএসসি পাড়া গ্রামের গ্রামের মৃত ফজল উদ্দিন (আবুল দাড়িয়া)’ র ছেলে সাবেক সেনা সদস্য জাকারিয়া আর্মির সাথে একই গ্রামের মৃত ইব্রাহিম আলী বাচ্চাউয়ের ছেলে শুকুর আলী ও বাবলুর পরিবারের সাথে দীর্ঘদিন ধরে পারিবারিক বিষয় নিয়ে শত্রুতা চলে আসছে। এরই জের ধরে গত বৃহস্পতিবার (২৩ মে) শুকুর আলীর স্ত্রী মেরী বেগম ও রতনের স্ত্রী শাপলা বেগম উক্ত গ্রামের রাস্তায় ধান শুকানোর কাজ করছিল। ওই জাকারিয়া বিকালে রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় রাস্তায় ধান শুকানো দেখতে পেয়ে ধানগুলো পাশের জমিতে পানিতে ফেলে দেয়। মেরী ও শাপলা প্রতিবাদ করতে গেলে তাদের বেধরক মারপিট করে বিবস্ত্র করে শ্লীলতাহানি ঘটায়। তাদের চিৎকারে শাপলার স্বামী রতন ও তার ভাই রিপন এগিয়ে এলে জাহিদুলের ছেলে মানিক ও জাকারিয়ার স্ত্রী লিপিসহ তাদের সন্ত্রাসী বাহিনীর লোকজন মিলে শাঠি শোটা ও দা দিয়ে মেরী, শাপলা, রতন, হাজেরা ও রিপনকে ভীষণভাবে মারধর করে। জাকারিয়াদের নির্যাতনের ফলে মেরী, শাপলা, রতন ও রিপন গুরুত্বর অসুস্থ হয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়। অপরদিকে, নিজের গা বাঁচাতে জাকারিয়া ওই রাতে ডোমার থানার এএসআই ইবনে দায়িদকে ম্যানেজ করে গভীর রাতে এলাকার নিরীহ ও অসহায় ৪টি পরিবারের ১১জন সদস্যকে আসামী করে বিভিন্ন ধারায় একটি মিথ্যা মামলা দায়ের করে, মামলা নং-১৭, তারিখ-২৪/০৫/১৯। পরদির সকাল ১০টায় ডোমার থানার করিত কর্মা এএসআই ইবনে দায়িদ মামলার ৩নং আসামী শুকুর আলী (৫২) কে তার নিজ বাড়ী থেকে আটক করে দ্রুতগতিতে নীলফামারী জেলা কারাগারে পাঠায়। সেই থেকে ওই এলাকার ৪টি পরিবারের ২০/২৫জন সদস্য মামলার ভয়ে আতঙ্কে পালিয়ে বেড়াচ্ছে।
এবিষয়ে ওই এএসআই দায়িদ বলেন, ওসি সাহেব মামলা রেকর্ড করেছে আমি সেই ভিত্তিতে আটক করে হাজতে পাঠিয়েছি।
ভুক্তভুগী পরিবারের রতন আলী বলেন, আর্মি জাকারিয়া একজন দাদন ব্যবসায়ী এলাকার সবাই তার কাছ থেকে চড়া লাভে ধান ও টাকা গ্রহণ করে একমাত্র আমাদের পরিবার ছাড়া। তাই আমাদের ওপর ক্ষিপ্ত। এর আগেও বেশ কয়েকবার ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে আমাদের মরধর করে এবং যার ফলে আমার স্ত্রী শাপলার পেটে লাথি মেরে সন্তান গর্ভপাত ঘটায়। বিষয়টি স্থানীয়ভাবে মীমাংসা হয়। এরই জের ধরে সামান্য বিষয় নিয়ে আমাদের ওপর নির্যাতন চালায় তারা।
মৃত কেফার উদ্দিনের ছেলে মিন্টু জানান, জাকারিয়া আর্মির ক্ষমতা দেখিয়ে এলাকার সহজ- সরল অসহায় মানুষের ওপর প্রায় সময়ই শারীরিক ও মানুষিক নির্যাতন চালায়। তার অত্যাচারে আমরা অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছি। আমাদের নামে মিথ্য মামলা দেয়াতে এখন পালিয়ে বেড়াচ্ছি। তার অত্যাচারের হাত থেকে রেহাই পেতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন ভুক্তভুগী পরিবার।
সম্পাদক মণ্ডলীর সভাপতি: প্রফেসর নূর মো. রহমত উল্লাহ। নির্বাহী সম্পাদকঃ ব্যারিস্টার মো. ইমরান খাঁন, ব্যবস্থাপনা সম্পাদক: মো. ওমর ফারুক
ইমেইল: mdibrahimkhalil494@gmail.com মোবাইল: ০১৭৫৪-২২২৫০২
অফিসঃ গ্রামঃ শ্রীমদ্দি(আলোনিয়াকান্দি), পোঃ- হোমনা, উপজেলাঃহোমনা, জেলাঃ কুমিল্লা।
সম্পাদক ও প্রকাশক: মো. ইব্রাহিম খলিল কর্তৃক কুমিল্লা জেলা থেকে সম্পাদিত ও প্রকাশিত।