আনিছুর রহমান মানিক, ডোমার (নীলফামারী) প্রতিনিধি>>
নীলফামারীর ডোমারে শত্রুতার জের ধরে খাসজমি থেকে বালু উত্তোলন করায়, ব্রিজসহ আশপাশের বাঁশঝাড় ও পুকুর ধ্বংস করার চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
ঘটনাটি উপজেলা জোড়াবাড়ী ইউনিয়নের পূর্ব জোড়াবাড়ী ৩নং ওয়ার্ডের ডাঙ্গাপাড়া গ্রামে। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উক্ত গ্রামের খাস জমির ওপর দিয়ে একটি ডারা চলমান আছে। এলাকার মৃত আমিনুর রহমানের ছেলে হাসিবুল ইসলামের সাথে প্রতিবেশী মোকবুল হোসেনের ছেলে বাবলু হোসেনের র্দীঘদিন যাবত জমিজমা নিয়ে বিবাদ চলে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় চৈত্র ও বৈশাখ মাসে ডারার পানি শুকিয়ে যাওয়ায় শত্রুতার জের ধরে মোকবুল হোসেনের ছেলে বাবলু ও তার পরিবারের লোকজন নুর আলম, মিলন, সুজন ও সুমন ব্রিজের নিচে ও ডারার মধ্য থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করতে থাকে। এতে করে গত কয়েকদিন পূর্বে টানা বৃষ্টি হওয়ায় ডারার পার্শ্বে থাকা হাসিবুলের বাঁশঝাড় ও পুকুর ধসে ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হয়। এ বিষয়ে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মনোয়ার হোসেনকে অভিযোগ দিলে তিনি ইউপি সদস্য আব্দুস সালাম ও সিরাজুল ইসলামকে পাঠিয়ে বালু উত্তোলন বন্ধ করে দেন। তবুও তারা বাধা- নিষেধকে উপেক্ষা করে রাতের অন্ধকারে বালু ও মাটি উত্তোলন করে নিজ বাড়ি ভরাট করে। এ বিষয়ে হাসিবুলের স্ত্রী আসমা বেগম বাদী হয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শাহিনা শবনম এর বরাবরে গত ২৮ মে অভিযোগ দায়ের করে। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বিষয়টি আমলে নিয়ে অদ্য ৩জুন সকাল ১১টায় উভয় পক্ষকে নোটিশের মাধ্যমে তলব করে। বিষয়টি তদন্ত করে আগামী ১০জুন শুনানীর দিন ধার্য করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শাহিনা শবনম। তিনি জানান, দোষী প্রমাণিত হলে বাবুলের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। সংরক্ষিত ইউপি সদস্য রুনা আক্তার বলেন, মাটি ও বালু উত্তোলনের ফলে পাশের আবাদী জমি, বাঁশঝাড় ও ব্রিজটি ধ্বংস হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
সম্পাদক মণ্ডলীর সভাপতি: প্রফেসর নূর মো. রহমত উল্লাহ। নির্বাহী সম্পাদকঃ ব্যারিস্টার মো. ইমরান খাঁন, ব্যবস্থাপনা সম্পাদক: মো. ওমর ফারুক
ইমেইল: [email protected] মোবাইল: ০১৭৫৪-২২২৫০২
অফিসঃ গ্রামঃ শ্রীমদ্দি(আলোনিয়াকান্দি), পোঃ- হোমনা, উপজেলাঃহোমনা, জেলাঃ কুমিল্লা।
সম্পাদক ও প্রকাশক: মো. ইব্রাহিম খলিল কর্তৃক কুমিল্লা জেলা থেকে সম্পাদিত ও প্রকাশিত।