আনিছুর রহমান মানিক, ডোমার (নীলফামারী) প্রতিনিধি>>
নীলফামারীর ডোমারে জেঁকে বসেছে শীত, মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্তরা পুরাতন কাপড়ের দোকানে ভিড় জমিয়েছে। শীতের তীব্রতা থেকে রক্ষা পেতে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে রেল লাইনের পাড়ে জমে উঠা পুরাতন কাপড়ের দোকানে উপচে পড়া ভিড়। মহামারী করোনা ভাইসাসের মতো মরণ ব্যাধির দ্বিতীয় ঢেউ প্রতিহত করতে সরকার নানামুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা এবং বাধ্যতামূলক মাস্ক ব্যবহার নিশ্চিত করেছে। এর কোন প্রকার প্রভাব পড়েনি রেল লাইনের উপরে পুরাতন কাপড়ের দোকানে। রেল লাইনের স্লিপার ঘেঁষে ছোট বড় প্রায় শতাধিক দোকান গাদাগাদি করে বসেছে। এমনকি রেল লাইনের উপরে ত্রিপল বিছিয়ে বসেছে পুরাতন কাপড়ের পসরা। ট্রেন আসা- যাওয়ার সময় দোকানিরা তড়িঘড়ি করে দোকান সরানোর কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়ে, এতে করে ট্রেন চলাচলে বড় ধরণের দুর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কা রয়েছে। সকাল থেকে শুরু করে রাত পর্যন্ত চলে ওই রমরমা বেচাকেনা।
ডোমার সদর এলাকার ক্রেতা পারভীন আক্তারের সাথে আলাপকালে জানা যায়, গত কয়েকদিনে তীব্র শীতের কারণে বাচ্চাদের নিয়ে স্বল্পমূল্যে গরম কাপড় কিনতে আসি, এসে জানতে পারলাম জ্যাকেট, সোয়েটারের পকেট থেকে মাস্ক ও টিসু পেপার পাওয়া যাচ্ছে। তাই ভয়ে ফিরে যাচ্ছি, বেশি টাকা লাগলেও গার্মেন্টেস থেকে কিনবো বলে মনস্থ করেছি।
উপজেলার জোড়াবাড়ী ইউনিয়ন থেকে আসা ক্রেতা সহিদুল ও তার স্ত্রী সন্তানের জন্য পুরাতন কাপড় কিনতে আসে। কথা হয় তার সাথে। তিনি জানান, অল্প দামে শীতের কাপড় কিনতে এলাম কিন্তু ক্রেতারা গাদাগাদি করে বিদেশী কাপড় কিনছে, কারো মুখে মাস্ক নেই, মানছে না সামাজিক দূরত্ব¦। করোনার কথা ভেবে কাপড় না কিনে বাড়ি ফিরে যাচ্ছি, যেহেতু কাপড় থেকে মাস্ক ও টিসু পাওয়া যাচ্ছে। সে কারণে ওইসব বিদেশী পুরাতন কাপড় না কিনাটাই ভালো বলে মনে করি।
কাপড় বিক্রেতা আনজারুল জানান, যে সব কাপড়ের গাইড থেকে জ্যাকেট ও কোট বের হচ্ছে তাদের পকেট থেকে মাস্ক ও টিস্যু পাওয়া যাচ্ছে। তবে আমরা সেগুলো কাউকে না দিয়ে ফেলে দেই।
কনিকা হলের পাশের পুরাতন কাপড়ের গাইড বিক্রেতা রেজাউল বলেন, সোয়েটার, জ্যাকেট ও কম্বল বাহিরের দেশের পণ্য। সে গুলো তাইওয়ান ও কোরিয়া থেকে আসে। আমি গাইড বিক্রি করি, খুচরা বিক্রি করি না। সোয়েটার ও জ্যাকেটের পকেট থেকে কি বের হচ্ছে তা আমি জানি না। তবে এসব ব্যাপারে প্রশাসনিকভাবে পদক্ষেপ না নিলে যে কোন মুহূর্তে বড় ধরনের রেল দুর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে অনেকে ধারণা করেন।
এ বিষয়ে সৈয়দপুর রেলওয়ে থানা অফিসার ইনচার্জা আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, ওইসব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের অভিযান এই সপ্তাহের মধ্যে আমরা পরিচালনা করবো।
সহকারী কমিশনার (ভূমি) মনোয়ার হোসেন জানান, বিষয়টি আসলেই ঝুঁকিপূর্ণ ব্যাপার, আমরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সাথে কথা বলে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
সম্পাদক মণ্ডলীর সভাপতি: প্রফেসর নূর মো. রহমত উল্লাহ। নির্বাহী সম্পাদকঃ ব্যারিস্টার মো. ইমরান খাঁন, ব্যবস্থাপনা সম্পাদক: মো. ওমর ফারুক
ইমেইল: [email protected] মোবাইল: ০১৭৫৪-২২২৫০২
অফিসঃ গ্রামঃ শ্রীমদ্দি(আলোনিয়াকান্দি), পোঃ- হোমনা, উপজেলাঃহোমনা, জেলাঃ কুমিল্লা।
সম্পাদক ও প্রকাশক: মো. ইব্রাহিম খলিল কর্তৃক কুমিল্লা জেলা থেকে সম্পাদিত ও প্রকাশিত।