crimepatrol24
৬ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, এখন সময় রাত ১২:৫৫ মিনিট
  1. অনুসন্ধানী
  2. অপরাধ
  3. অর্থনীতি
  4. আইটি বিশ্ব
  5. আইন-আদালত
  6. আঞ্চলিক সংবাদ
  7. আন্তর্জাতিক
  8. আফ্রিকা
  9. আবহাওয়া বার্তা
  10. আর্কাইভ
  11. ইউরোপ
  12. ইংরেজি ভাষা শিক্ষা
  13. উত্তর আমেরিকা
  14. উদ্যোক্তা
  15. এশিয়া

ডোমারে বিদ্যালয়ে শ্রেণিকক্ষ সংকটে খোলা আকাশের নিচে চলছে পাঠদান

প্রতিবেদক
মো: ইব্রাহিম খলিল
ফেব্রুয়ারি ২০, ২০২০ ৩:২২ অপরাহ্ণ

আনিছুর রহমান মানিক, ডোমার (নীলফামারী) প্রতিনিধি>>
নীলফামারীর ডোমারে শ্রেণিকক্ষ সংকটের কারণে খোলা আকাশের নিচে পাঠদান করতে দেখা গেছে।
এমন দৃশ্যটি চোখে পড়ে, উপজেলা ভোগডাবুরী ইউনিয়নের প্রামানিক পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। ইউনিয়নের ঐতিহ্যবাহী পুরনো বিদ্যালয়টি ১৯৪০সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। প্রথমে কুঁড়ে ঘর পরে টিনের ঘর সর্বশেষ ১৯৮৪ সালে পাকা ওয়াল দিয়ে ওপরে টিন দিয়ে নির্মাণ করা হয়েছিল ,তখন রুম সংখ্যা ছিল ৩ টি। কয়েক বছর পর ২০০১ সালে নতুন ভবন নির্মাণ করা হয়। যাহার রুম সংখ্যা ৩ টি কিন্তু অফিস রুম না হওয়ার কারণে সিঁড়ি ঘরে শিক্ষকরা অফিস করছেন। বর্তমানে ছাত্র/ছাত্রীর সংখ্যা প্রায় ৩শত জনের মত দুই শিফটে স্কুল চালানো হয় ওয়ান, টু, থ্রি , সকাল ৯ টা থেকে দপুর ১২টা পর্যন্ত এরপর ফোর, ফাইভ ১২ টা থেকে সাড়ে ৪ টা পর্যন্ত।

স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা মতিয়া বেগম জানান, ৬ টি ক্লাসের জন্য ছাত্র- ছাত্রীর সংখ্যানুপাতে বসার জায়গা হয় না। ছাত্র ছাত্রীরা গাঁদাগাদি করে কোন রকম ক্লাস করে। আর শিশু শ্রেণির কচি বাচ্চাদের কোন রুম বা জায়গা নেই, তাই মাঠে বসে ক্লাস করানো হয়।

তিনি আরো বলেন, নতুন ভবনের জন্য আবেদন করা হয়েছে। কিন্তু আজ পর্যন্ত তা কার্যকর হয়নি। আংশিক মেরামতের জন্য টাকা বরাদ্ধ হয়েছে প্রায় ৭ লক্ষ। নানান জটিলতার কারণে সেই টাকার কাজ আজও হয়নি। বিদ্যালয়টিতে শিক্ষকেরও সংকট রয়েছে। ৫টি পদ থাকলেও মাত্র ৩ জন শিক্ষিকা বিদ্যালয়ে কর্মরত আছে। এর মধ্যে জান্নাতুন ফেরদৌস নামে এক শিক্ষিকা দীর্ঘদিন যাবত অনুপস্থিত রয়েছে। এক মাসের মেডিকেল ছুটি নিয়ে গত ৩ মাস ধরে সে অনুপস্থিত আছে বলে জানা গেছে। সেই শিক্ষিকা আবার শিশু শ্রেণির শিক্ষিকা।

বিদ্যালয়ের সভাপতি আব্দুল মোবিন বলেন, ৭লাখ টাকা মেরামতের জন্য বরাদ্দ হয়েছে কিন্তু যেভাবে তারা কাজ করতে চায় তাহা সঠিক নয় বলে আমরা কাজ করিনি, হয়ত টাকা ফেরত চলে যাবে। আমি নতুন ভবনের জন্য বহুবার এম,পি সাহেবের নিকট আবেদন করি কিন্তু নতুন ভবনের বরাদ্দ এ পর্যন্ত পাইনি। শ্রেণিকক্ষ না থাকলে কোমল মতি শিশুরা হতাশ হয়ে পড়বে। এতে করে বিদ্যালয়ের উপস্থিতির হার কমে গিয়ে শিক্ষার মান ব্যাহত হবে বলে অভিভাববক রবিউল ইসলাম জানান। নতুন ভবন তৈরীর জোর দাবি জানান এলাকাবাসী।

Share This News:

সর্বশেষ - জাতীয়

আপনার জন্য নির্বাচিত