আনিছুর রহমান মানিক, ডোমার (নীলফামারী) প্রতিনিধি>>
নীলফামারীর ডোমার কেতকীবাড়ী ইউনিয়নের গুচ্ছগ্রাম এলাকার মৃত-আঃ কাদের এর ছেলে দুলাল হোসেন (৫২) এলাকার বেকার যুবকদের স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে বিভিন্ন পদে চাকুরি দেয়ার নাম করে প্রায় ২০ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়ে পলাতক রয়েছে। এ বিষয়ে এক ভুক্তভোগী দুলালের বিরুদ্ধে ডোমার থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।
মামলা সুত্রে জানা যায়, ডোমার- ডিমলার সাবেক এমপি ইঞ্জিঃ শাহরিন ইসলাম তুহিন সাহেবের গাড়ী চালক ছিলেন দুলাল। বিএনপির ক্ষমতা চলে যাওয়ার পর থেকে দুলাল তার ৬ তম স্ত্রী রানু বেগমকে নিয়ে ঢাকায় অবস্থান করে। চলাফেরার ভাব ছিলো রাজকীয়, এলাকায় আসতেন বিভিন্ন ধরণের দামি গাড়ী নিয়ে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের লোগো স্টিকার লাগিয়ে মানুষের সাথে সখ্যতা তৈরি করে। নিজেকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ডিজি'র গাড়ী চালকের পরিচয় দিয়ে নিয়োগপত্র দেখিয়ে এলাকার বেকার অনেক যুবককে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে বিভিন্ন পদে চাকুরি দেয়ার নাম করে প্রায় ২৫ লক্ষ টাকা হা'তিয়ে নেয়। টাকা নেওয়ার পর মোবাইল ফোন থেকে শুরু করে সবধরনের যোগাযোগ বন্ধ করে দেয় প্র'তারক দুলাল। বিষয়টি সন্দেহ হলে ভুক্তভোগীরা ঢাকায় খোঁজখবর নিয়ে জানতে পারে তারা কোনো চাকুরি করে না, স্বামী -স্ত্রী এবং দুলালের ছেলে ইমরান খান (২৪) তারা একটি ঐক্যবদ্ধ চ'ক্র ঢাকা তুরাগ থানা এলাকার ভাবনার টেক মাতবর বাড়ীতে হাজী আঃ রশিদের ৩ তলা ভবনে ভাড়া থেকে বিভিন্ন এলাকায় এধরণের প্র'তারণামূলক কর্মকাণ্ড চালায়।
গত ৬মার্চ ২৪ তুরাগ থানা এলাকার মাতবর বাড়ী হাজী আঃ রশিদের বাড়ীতে গিয়ে বাসা ওয়ালার কাছ থেকে জানাযায়, তার বন্ধু হাজী জাফর আলীর ছেলেকে চাকুরি দেয়ার নাম করে ২ জনের কাছে ৯ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়ে গত ২৭ ফেব্রুয়ারি ৪ মাসের ঘর ভাড়া না দিয়ে রাতের অন্ধকারে মালামাল রেখে স্বামী- স্ত্রী ও ছেলে পালিয়ে যায়।
এ বিষয়ে হাজী জাফর আলী জানান, 'আমি গতবার হজে যাওয়ার আগে মিষ্টি মিষ্টি কথা বলে সখ্যতা তৈরি করে। এক পর্যায়ে বলে আপনি হজ থেকে এসে দেখবেন আপনার ছেলে চাকুরিতে জয়েন করেছে। এমনিভাবে ৮ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয়। এক সময় তার মা রংপুর মেডিকেলে ভর্তির কথা বলে এবং শেষে মা মারা গেছে, লাশ বাড়ীতে নেয়ার কথা বলে ৫০ হাজার টাকা নেয় দুলাল। অথচ পরে জানতে পারি তার মা বেঁচে আছে। এমন প্র'তারকের নামে মামলা করবে বলে তিনি জানান।
দুলালের ফুফা কেতকীবাড়ী চান্দখানা ইন্দিরার পাড় এলাকার আশরাফ আলী মুন্সি বলেন, 'দুলাল আমার ভাতিজা হয়,আমার ছেলে রবিউলের চাকুরি দেয়ার নামে প্রথমে বিশ্বাস স্থাপন করার জন্য সামান্য কিছু। পরে ধাপে ধাপে ডিও লেটার, ভুয়া নিয়োগ পত্র দেখিয়ে মোট ৩ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়ে ফোন নম্বর বন্ধ করে রাখে। সে কতটা খারাপ লোক নিজ গ্রামে ফুফা, বোনের শ্বশুর, এমন কি মেয়েকে উকিল দিয়ে সেই নতুন জামাইকেও ছাড় দেয়নি প্র'তারক দুলাল।
চিলাহাটি আদর্শ পাড়ার ওছমান গনির ছেলে নাজমুল ইসলাম বলেন, 'তার কাছ থেকে ভুয়া নিয়োগপত্র দেখিয়ে মোট ৩ লক্ষ ৭৫ হাজার, সিরাজুল ইসলামের ছেলে গোলাম হোসেনের কাছে ২ লক্ষ ৮০ হাজার হাতিয়ে নিয়ে প'লাতক রয়েছে ওই প্র'তারক চক্রটি।
এ বিষয়ে একজন ভুক্তভোগীর অভিভাবক আনিছুর রহমান মানিক বাদী হয়ে গত ১৬ মার্চ ডোমার থানায় দুলাল ও তার স্ত্রী রানু বেগম এবং ছেলে ইমরানের নামে একটি মামলা দায়ের করেন।
ডোমার থানা অফিসার ইনচার্জ আবু সাঈদ চৌধুরী জানান, 'তদন্ত সাপেক্ষে প্রতিবেদন দাখিল করে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।'
চক্রের মূল হোতা দুলালসহ সহযোগীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি জানান ভুক্তভোগী পবিাররের সদস্যগণ।
সম্পাদক মণ্ডলীর সভাপতি: প্রফেসর নূর মো. রহমত উল্লাহ। নির্বাহী সম্পাদকঃ ব্যারিস্টার মো. ইমরান খাঁন, ব্যবস্থাপনা সম্পাদক: মো. ওমর ফারুক
ইমেইল: mdibrahimkhalil494@gmail.com মোবাইল: ০১৭৫৪-২২২৫০২
অফিসঃ গ্রামঃ শ্রীমদ্দি(আলোনিয়াকান্দি), পোঃ- হোমনা, উপজেলাঃহোমনা, জেলাঃ কুমিল্লা।
সম্পাদক ও প্রকাশক: মো. ইব্রাহিম খলিল কর্তৃক কুমিল্লা জেলা থেকে সম্পাদিত ও প্রকাশিত।