আনিছুর রহমান মানিক, ডোমার (নীলফামারী) প্রতিনিধিঃ
প্রত্যেকটি মানুষের দাম্পত্য জীবন সুখময় হয়ে উঠুক, এটা সকলের ইচ্ছা। কিন্তু, খুব কম মানুষ আছে, যাদের এই মনের ইচ্ছাটি পূরণ হয়ে থাকে। কেউ স্বামী-সন্তান ও আত্মীয়-স্বজন নিয়ে সুখে জীবন কাঁটায়। আবার কেউ স্বামীর অবহেলা অথবা স্ত্রীর অগচরে স্বামীর দ্বিতীয়বার বিয়ে করায় একটি স্ত্রীর জীবনে নিয়ে আসতে পারে অশান্তির ঝড়। বেশিরভাগ সময় দেখা যায়, পরকিয়া প্রেমের কারণে স্ত্রীকে সু-কৌশলে হত্যা, দ্বিতীয়বার বিয়ে করা বা যৌতুকের টাকার জন্য স্ত্রীকে তালাক দেওয়ার মত ঘটনা ঘটে থাকে।
ব্যাপক জল্পনা- কল্পনার অবসান ঘটিয়ে “হত্যা না আত্মহত্যা” এমন একটি ঘটনা ঘটেছে, নীলফামারী জেলার ডোমার উপজেলার কেতকীবাড়ি ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের বোদাপাড়া গ্রামে শনিবার ভোরের দিকে। ঘটনাস্থলে গিয়ে জানা যায়, বোদাপাড়া গ্রামের মৃত-আব্দুল কাদেরের কন্যা নিলুফা বেগম (৪০)-এর সঙ্গে একই গ্রামের আবুলের পুত্র তৈয়বুর রহমান (৫০)-এর বিয়ে হয় প্রায় ২৫ বছর পূর্বে। দাম্পত্য জীবনে ২ কন্যা ও ১ পুত্র রয়েছে। দুই মেয়ের বিয়ে দেওয়ার পর ১২ বছরের পুত্র স্বাধীনকে নিয়ে সুখেই দিন কাটছিল পরিবারটির। ঠিক সেই মুহূর্তে পরকিয়া প্রেমের হাতছানি দেয় তৈয়বুরের জীবনে। লুকিয়ে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে কথা বলতে গিয়ে ধরা পরে স্ত্রীর হাতে। সেখান থেকেই শুরু হয় পরিবারে অশান্তির ঝড়। শেষ পর্যায়ে গত শুক্রবার রাতে এলাকার মহৎ ব্যক্তিরা তাদের পরিবারের সমস্যাটি নিয়ে তৈয়বুরের বাড়িতে বসে আলোচনা করলে, তৈয়বুরের পরকিয়া প্রেমের মাধ্যমে বিয়ে করার কথাটি স্বীকার করেন। শুরু হয় ২৫ বছরের দাম্পত্য জীবনের ইতিহাস। মৃত-নিলফার পরিবারবর্গ বলেন,“নিলফাকে হত্যা করে ঘরের সরের সঙ্গে ঝুলিয়ে রেখেছে তার স্বামী। নিলফা যে ঘরে মৃত্যুবরণ করেন, সেই ঘরে থাকত তার সন্তান। মৃত্যুর স্থানটি দেখে মনে হয়না, একটি মানুষ সেখানে ফাঁসি দিয়ে আত্মহত্যার পথ বেছে নিতে পারে”। রাতের বেলায় একটি ঘরে নিলফা, তার স্বামী ও ১২ বছরের সন্তান ঘুমিয়েছিল। সকালের দিকে পাশের ঘরের দরজা বন্ধ দেখে তার সন্তান বেড়ার ফাঁক দিয়ে হাত ঢুকিয়ে ঘরের দরজাটি খুলে দেখতে পায় তার মা ঝুলে আছে। ঘটনাটি এলাকায় দ্রুত ছড়িয়ে পড়লে সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (সার্কেল) জয়ব্রত পাল, ডোমার থানা অফিসার ইনচার্জ মোস্তাফিজার রহমান, চিলাহাটি পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ নুরুল ইসলাম ঘটনাস্থলে এসে প্রথমেই নিলফার স্বামীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে থানায় নিয়ে যান। ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে লাশ ময়না তদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করা হয়।
এ ব্যাপারে সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (সার্কেল) জয়ব্রত পাল, স্থানীয় সাংবাদিকদের জানান, জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তার স্বামীকে আটক করা হয়েছে। যদি কোন সন্দেহমূলক মিথ্যা তথ্য প্রদান করে, তাহলে তাকে গ্রেফতার করা হবে। লাশের ময়না তদন্তের রিপোর্ট পেলেই ‘হত্যা না আত্মহত্যা” রহস্যের উদঘাটন হবে।
সম্পাদক মণ্ডলীর সভাপতি: প্রফেসর নূর মো. রহমত উল্লাহ। নির্বাহী সম্পাদকঃ ব্যারিস্টার মো. ইমরান খাঁন, ব্যবস্থাপনা সম্পাদক: মো. ওমর ফারুক
ইমেইল: [email protected] মোবাইল: ০১৭৫৪-২২২৫০২
অফিসঃ গ্রামঃ শ্রীমদ্দি(আলোনিয়াকান্দি), পোঃ- হোমনা, উপজেলাঃহোমনা, জেলাঃ কুমিল্লা।
সম্পাদক ও প্রকাশক: মো. ইব্রাহিম খলিল কর্তৃক কুমিল্লা জেলা থেকে সম্পাদিত ও প্রকাশিত।