আনিছুর রহমান মানিক, ডোমার (নীলফামারী) প্রতিনিধি>>
নীলফামারীর ডোমার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহিনা শবনম ও উপজেলা সাবেক বীর মুক্তিযোদ্ধা কমাণ্ডার নুরননবীর বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছে সাধারণ মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের সন্তানরা।
বুধবার দুপুর ১২টায় ডোমার প্রেস ক্লাব হলরুমে সাধারণ মুক্তিযোদ্ধার ব্যানারে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা সমশের আলী। এ সময় বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল জব্বার, আলহ্জ্ব রফিকুল ইসলাম, আব্দুস সাত্তার, মফিজুল হক প্রামানিক, প্রফুল্ল্য চন্দ্র রায়,আবুল কাসেম, হীরা মোহন , আব্দুল মোতালেব, পমির উদ্দিনসহ ১৭জন মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের সন্তানরা উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, গত ২৭ মার্চ কয়েকটি জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় “ডোমারে স্বাধীনতা দিবসে মুক্তিযোদ্ধাদের অনুষ্ঠান বর্জন” শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়। স্বাধীনতা দিবসে শুধুমাত্র বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরননবী ও জসিয়ার রহমান বর্জন করেন। আর সকল মুক্তিযোদ্ধা স্বাধীনতা দিবসের সকল অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করে। গত ২০১৯ সালের ১০মার্চ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে নৌকা প্রতিকের প্রার্থী তোফায়েল আহমেদের কাছে মোটরসাইকেল প্রতিক নিয়ে নুরননবী ভোটে হেরে যান। এর পর থেকে নুরননবী তোফায়েল আহমেদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ষড়যন্ত্র করে আসছে। তিনি বিভিন্ন সময় সাংবাদিকদের ভুল বুঝিয়ে তোফায়েল আহমেদকে রাজাকারের পুত্র দাবি করে সংবাদ প্রচার করায়। প্রকৃতপক্ষে উপজেলা চেয়ারম্যান তোফায়েল আহমেদের বাবা স্বাধীনতার পক্ষের একজন মানুষ ছিলেন বলে তারা দাবি করেন।
বীর মুক্তিযোদ্ধারা অভিযোগ করেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরননবী ১৯৭৪ সালে বঙ্গবন্ধুর ছবি অবমাননা করায় তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা হয়। যার মামলা নম্বর-১৩, তারিখ ২৮/০৫/১৯৭৪ইং।
তারা আরো অভিযোগ করে বলেন, স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠান মাত্র দুইজন মুক্তিযোদ্ধা বর্জন করে। কিন্তু ওই সংবাদে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অধিকাংশ মুক্তিযোদ্ধা বর্জন করেছে বলে মন্তব্য করেছিল। আমরা সাধারণ মুক্তিযোদ্ধারা গত ২৯ মার্চ দুপুরে ওই মন্তব্যের বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে জানতে তার কার্যালয়ে যাই। তিনি আমাদের তিন ঘন্টা অপেক্ষায় রেখে, পাশে উন্নয়ন মেলায় ছিলেন। পরে আমাদের অফিসে নিয়ে যায়। সেখানে আমাদের বলে, আমারা নাকি তোফায়েলের এজেন্ডা বাস্তাবায়ন করতে এসেছি।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহিনা শবনম বলেন, আমি মুক্তিযোদ্ধাদের অপেক্ষমান রাখি নাই। আমি উন্নয়ন মেলায় ব্যস্ত ছিলাম। সংবাদ সম্মেলন করার অধিকার সবার আছে।
সম্পাদক মণ্ডলীর সভাপতি: প্রফেসর নূর মো. রহমত উল্লাহ। নির্বাহী সম্পাদকঃ ব্যারিস্টার মো. ইমরান খাঁন, ব্যবস্থাপনা সম্পাদক: মো. ওমর ফারুক
ইমেইল: mdibrahimkhalil494@gmail.com মোবাইল: ০১৭৫৪-২২২৫০২
অফিসঃ গ্রামঃ শ্রীমদ্দি(আলোনিয়াকান্দি), পোঃ- হোমনা, উপজেলাঃহোমনা, জেলাঃ কুমিল্লা।
সম্পাদক ও প্রকাশক: মো. ইব্রাহিম খলিল কর্তৃক কুমিল্লা জেলা থেকে সম্পাদিত ও প্রকাশিত।