
মো. সাইফুল্লাহ খাঁন, জেলাপ্রতিনিধি, রংপুর: দিদার-কিশোর-মোস্তাক-কাজলসহ ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে আটককৃতদের মুক্তি এবং গণবিরোধী ডিজিটাল আইন বাতিলের দাবিতে আজ ১০ মে রবিবার সকাল সাড়ে ১১টায় বিক্ষুব্ধ নাগরিক সমাজ ও রাষ্ট্রচিন্তা’র উদ্যোগে শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে স্থানীয় রংপুর প্রেসক্লাব চত্বরে মানববন্ধন ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। রাষ্ট্রচিন্তা রংপুর ইউনিটের সংগঠক অ্যাড.. রায়হান কবীরের সঞ্চালনায় মানব বন্ধন- সমাবেশে বক্তব্য রাখেন রাষ্ট্রচিন্তা রংপুর এর সদস্য চিনু কবির, শ্রমিক অধিকার আন্দোলনের আহবায়ক ও রাজনীতিক পলাশ কান্তি নাগ, নিপীড়ণ বিরোধী নারীমঞ্চের সদস্য সচিব সানজিদা আক্তার,ছাত্রনেতা যুগেশ ত্রিপুরা,সংগঠক আহমেদ বাবু, রাষ্ট্রচিন্তার সদস্য জাকির বিশ্বাস, রংপুর পদাতিকের নাসির সুমন, সাংবাদিক সাইফুল্লাহ খাঁন, কবি জয়েস আরিফ, খালিদ রাজা প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, একটি স্বাধীন গণতান্ত্রিক দেশে মধ্যযুগীয় কায়দায় দেশের সাধারণ নাগরিকদের তুলে নিয়ে যাওয়া, ভয় দেখানো এবং মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো কোনভাবেই মেনে নেয়া যায় না। গণতন্ত্রের সৌন্দর্য হল সেখানে মত প্রকাশের স্বাধীনতা থাকবে। সরকার জনগণের বাকস্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করছে। ৩০ লক্ষ মানুষের রক্তের বিনিময়ে আমরা যে স্বাধীনতা পেয়েছি সেখানে মানুষের কোন অধিকার নেই, চাকুরী নেই, শিক্ষা নেই, খাওয়া পড়ার নিশ্চয়তা নেই। গণতান্ত্রিক উপায়ে এর প্রতিবাদ করলে সরকার দমন পীড়ন করছে। কার্যত এক ব্যক্তির শাসন আমাদের বিপর্যয়ের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। বিদ্যমান আইন ও সংবিধান পরিবর্তন না করলে এভাবে জবাবদিহিতাহীন পরিবেশে নির্যাতনের স্বীকার মানুষ হতেই থাকবে। তাই সংবিধান পরিবর্তন করে গণমুখী ও জবাবদিহিতার আওতায় আনতে হবে। বক্তারা আরো বলেন, এই যে করোনা পরিস্থিতিতে মানুষ সাহায্য পাচ্ছেনা, ত্রাণ চুরি হচ্ছে, মানুষ বিপদে আছে এটা দেখার কেউ নেই। যারা এইসব দেখবে তারাই লুটপাটের সাথে জড়িত। সরকার যতই বলুক তারা পূর্ব প্রস্তুতি নিয়েছিল কিন্তু আমরা দেখেছি, তারা আসলে কোন পূর্ব প্রস্তুতিই নেয়নি। ফলে করোনা পরিস্থিতি খুবই খারাপ পর্যায়ে চলে গেছে। তাই আমরা দেখি সরকার ডা. জাফরুল্লাহর গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের সাথে কী আচরণ করেছে। আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ জরুরি সেবাদানকারী সবাই আজ বিপদে আছে। শুধুমাত্র তাদের পর্যাপ্ত পিপিই না দেয়ার কারণে। গার্মেন্টস শ্রমিকদের সাথে অন্যায় করা হচ্ছে। সারাদেশে কোথাও ত্রাণ পর্যাপ্ত দেয়া হচ্ছে না। আবার যতটুকু দেওয়া হচ্ছে সেখানেও লুটপাট হচ্ছে, চুরি হচ্ছে। নেতৃবৃন্দ, রাষ্ট্রচিন্তার সদস্য দিদারুল সহ কুখ্যাত আইসিটি আইনে বন্দি সকলকে নিঃশর্ত মুক্তিদানের দাবি জানান। বক্তারা আরো বলেন,দিদার মোস্তাক কাজল কিশোরদের অপরাধ কী? তারা সরকারের ত্রাণ নিয়ে হযবরল ব্যবস্থাপনার প্রতিবাদ করেছে, অসংগতিগুলো দেখিয়েছে। তার প্রতিদান কী গুম, জেল, জরিমানা? তাদের তো পুরষ্কার দেয়া উচিত। অবিলম্বে আমাদের দাবি মানতে হবে তা না হলে বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।